বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
কামদিয়ায় মাচায় তিন ধাপে তরমুজের আবাদ ভালো ফলন ও বাজার দরে লাভবান হচ্ছেন কৃষক

কামদিয়ায় মাচায় তিন ধাপে তরমুজের আবাদ ভালো ফলন ও বাজার দরে লাভবান হচ্ছেন কৃষক

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মালচিং পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে মাচায় ধাপে ধাপে তরমুজ চাষ করে সফলতাও পাওয়ায় তরমুজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা। সুষ্ঠু পরিচর্চায় বরেন্দ্র অঞ্চলের মাটিতে এই তরমুজ আবাদে ফলন ও বাজার দর ভালো হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন চাষীরা। বর্তমানে উপজেলার কামদিয়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের এই এলাকায় প্রায় ৭০ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ হচ্ছে।
স্থানীয় কৃষকারা জানান, পাশর্^বর্তী জয়পুরহাট জেলার তরমুজ চাষ দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে ৩ বছর পূর্বে তরমুজ চাষ শুরু করেন। প্রথমে এক দু’জন চাষ করেলেও লাভজনক এখন প্রতি বছরই সম্প্রসারণ ঘটছে তরমুজ চাষ। ধাপে ধাপে তিন বার ফলন পাওয়ায় খরচ বাঁচিয়ে তরমুজ চাষে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন তারা। তরমুজ চাষী রহমান বলেন এক একর জমিতে তরমুজ চাষে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা ব্যয় হলেও তরমুজ বিক্রি হয় প্রায় ৩ লক্ষ টাকা। এখন রঘুনাথপুর গ্রামের জমিতে কৃষকের মাচায় ঝুলছে শত শত তরমুজ। তিনি বলেন এই এলাকার কৃষকরা মাটিতে বেড তৈরি করে মালচিং পেপার বিছিয়ে মাচা পদ্ধতিতে ধাপে ধাপে তরমুজ চাষ করা হচ্ছে। অন্য কৃষকরা বরেন্দ্র অঞ্চল খ্যাত লাল মাটিতে তরমুজ আবাদে সফলতা পাওয়ায় খুশি।
গোবিন্দগঞ্জের কামদিয়া বøকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আরাফাত ইসলাম বেনজির, অন্য আবাদের চেয়ে লাভজনক হওয়ায় দিন দিন তরমুজ চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মেহেদী হাসান বলেন তরমুজ চাষীদের প্রযুক্তিগত পরামর্শ ও সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।পাশাপাশি চাষীদের উৎপাদিত তরমুজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার পাশাপাশি কোন কারনে চাষী যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।

১০ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS