শুক্রবার- ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীর তাহেরপুরে আগুন ঝরা তাপদাহে পশুপাখি ও মানুষের জীবন দুর্বিষহ

নাজিম হাসান,রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি: রাজশাহীর তাহেরপুর পৌরসভাজুড়ে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে পশু-পাখিসহ জনজীবন। বৈশাখ মাসের তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আদ্রতাও বেড়ে যাওয়ায় তীব্র গরমে দিনভর তাপদাহে পশুপাখি ও মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। আগুন ঝরা এ আবহাওয়ায় চারিদিকে মানৃুষের মাঝে বৃষ্টির জন্য হাহাকার পড়ে গেছে। কিন্তু এক ফোটা আল্লাহ দেওয়া কাঙ্খিত বৃষ্টির দেখা নেই। ফলে প্রচন্ড গরমে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। এতে খেটে খাওয়া ও হাট-বাজারের রাস্তায় বের হওয়া মানুষরা পড়েছেন ব্যাপক দুর্ভোগে। তাপমাত্রা ও গরম বাড়তে বাড়তে উঠে গেছে একেবারে অসহনীয় পর্যায়ে। তাপমাত্রা বাড়ার সাথে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে জনজীবন। এছাড়া কাঠ ফাটা রোদে মানুষের জীবন আজ দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। তেঁতে উঠেছে বাড়ি ঘরে থাকা আসবাবপত্রগুলোও। গতকাল বুধবার সকাল থেকে দাবদাহ রোদ ও ভ্যাপসা গরমে মানুষের প্রাণ যায় যায় অবস্থা। তাই গাছ-পালা ছুয়ে কোনোভাবেই শীতলতা নামছেনা এই অগ্নিশালায়। সবুজ বৃক্ষরাজি তামাটে বর্ণ ধারণ করতে চলেছে আবারও। এদিকে, তীব্র গরম থেকে মুক্তির জন্য কোথাও কোথাও পশু পাখি নেমে পড়ছে পানিতে। পানি যতটুকু হোকনা কেন সেখানে নেমে পড়ছে পাখিসহ বিভিন্ন পশু। এ বিষয়ে রাজশাহী আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা বলেন, বুধবার দুপুর ১২টায়  রাজশাহীর তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বেলা ৩টায় রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ৪৩ ডিগ্রি ৮ সেলসিয়াস। রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ এপ্রিলের পর থেকে শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। বৃষ্টি না হওয়ায় সেই তাপপ্রবাহ ক্রমেই দীর্ঘায়িত হচ্ছে। সাধারণত ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বলা হয় মৃদু তাপপ্রবাহ। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বলা হয় তীব্র তাপপ্রবাহ। এছাড়া দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠলেই তা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়।

৩০ বার ভিউ হয়েছে
0Shares