শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাঘায় ফাল্গুনের বৃষ্টিতে আমের মুকুলের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা 

বাঘায় ফাল্গুনের বৃষ্টিতে আমের মুকুলের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা 

বাঘা (রাজশাহী) সংবাদদাতা : রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় আম প্রধান এলাকা হিসাবে খ্যাত।   সোমবার (৪ মার্চ)ভোর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত বৃষ্টিতে অত্র অঞ্চলের প্রধান অর্থকারী ফসল আম মুকুলের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এমনিতে এ বছর আমের মকুল অনেক কম,তার উপরে হটাৎ বৃষ্টি হওয়ায় চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এ অঞ্চলের আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় লোকজন বলছেন, বিগত বছর গুলোর চেয়ে এ বছর আমের মুকুল তুলনা মূলক ভাবে অনেক কম এসছে। এই মুহুর্তে কিছু-কিছু গাছে আমের মুকুল এবং কিছু গাছে কলি লক্ষ করা যাচ্ছে। এ দিক থেকে নানা রকম বালাই নাশক প্রয়োগ করে বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার কারছেন অত্র অঞ্চলের আম চাষি ও ব্যবসায়ীগণ। তবে হটাৎ করে সোমবার ভোর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের আম চাষিরা।
বাঘার আমোদপুর গ্রামের আম চাষি মহাসিন আলী জানান, বৃষ্টি কখনো কখনো আমাদের জন্য আর্শিবাদ হলেও কখনো-কখনো এটি অভিশাপে পরিনত হয়। এই মুহুর্তে অন্যান্য ফসলের জন্য বৃষ্টির প্রয়োজন থাকলেও আমের জন্য এটি চরম ক্ষতি বয়ে এনেছে। কারণ আমরা এর আগেও লক্ষ্য করেছি, গাছ থেকে মুকুল বের হওয়ার সময় বৃষ্টি হলে সেইবার আমে বিপর্যয় ঘটে। পক্ষান্তরে গুটি দাড়িয়ে যাওয়ার পর যদি বৃষ্টি হয় , সেটা হয় আমের জন্য আর্শিবাদ।
সার্বিক বিষয়ে বাঘা উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, রাজশাহীকে আমের জন্য বিখ্যাত বলা হলেও আম প্রধান অঞ্চল হিসাবে খ্যাত বাঘা উপজেলা। এই জেলায় ৯ টি উপজেলার মধ্যে ৮টিতে যে পরিমান আম চাষ হয়, তার সমপরিমান চাষাবাদ হয় বাঘায়। তিনি বলেন, এখানে প্রাচীন কালে নির্মিক ঐতিহাসিক শাহী মসজিদের টেরাকোটায় আমের ছবি রয়েছে। এ ছাড়াও প্রতিবছর বাঘার আম বিদেশে রপ্তানী হয়।
এদিকে আকষ্মিক বৃষ্টি হওয়ায় মুকুলের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদি সকালে বৃষ্টি চলমান থাকতো তাহলে কৃষকরা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ্য হতো। কিন্তু যে হেতু ,সকাল ৯ টার পর থেকে রোদ বের হয়েছে, এ দিক থেকে বড় ধরনের কোন ক্ষতির সম্ভাবনা নাই।
৩৭ বার ভিউ হয়েছে
0Shares