মঙ্গলবার- ১৮ই জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৪ঠা আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ট্রিপল  মার্ডারের  সাথে জড়িত ভাগ্নে রাজীবের দায় স্বীকারোক্তি

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ট্রিপল  মার্ডারের  সাথে জড়িত ভাগ্নে রাজীবের দায় স্বীকারোক্তি

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :  সিরাজগঞ্জের তাড়াশ  উপজেলা সদরের বারোয়ারি বটতলা মহল্লার নিজ বাড়িতে  খুন হওয়া কালিচরণ সরকারের ছোট ছেলে বিকাশ সরকার (৪৫), তাঁর স্ত্রী স্বর্ণা রানী সরকার(৪০) ও মেয়ে তাড়াশ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী পারমিতা সরকার তুষি (১৫)কে   কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করার ঘটনায় জড়িত ভাগ্নে রাজীব ভৌমিকের দায় স্বীকারোক্তি।
৩০ (জানুয়ারি) বুধবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার আরিফুল রহমান মন্ডল বিপিএম পিপিএম বার প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। হত্যার ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে তাড়াশ থানায় বাদী  হয়ে  নিহত স্বর্ণা সরকারের বড় ভাই  সুকমল চন্দ্র সাহা হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এরই সূত্র ধরে সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ, সিআইডি, পিবিআই, ডিবি ও তাড়াশ থানা পুলিশের একটি চৌকসদল  ট্রিপল মার্ডারের সাথে জড়িত ভাগ্নে রাজিব ভৌমিককে আটক করে। হত্যার সাথে জড়িত ভাগ্নে রাজীব ভৌমিক উল্লাপাড়া উপজেলার তেলিপাড়া গ্রামের বিশ্বনাথের ছেলে।
পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে রাজিব ভৌমিক জানান, নিহত মামা বিকাশ চন্দ্র সাহা ভাগ্নে রাজীব ভৌমিকের সঙ্গে মাছের খাদ্যের ব্যবসা করতেন ।
ভাগ্নে রাজিব ভৌমিকের ব্যবসার জন্য মামা বিকাশ সরকারের নিকট  থেকে ২০ লক্ষ টাকা নেয়।নিহত বিকাশ সরকার মূলধন সহ সমুদয় টাকা ফেরত চাইলে ভাগ্নের সাথে সম্পর্কের অবনতি হয়।
এরই জের ধরে গত(২৭ জানুয়ারি) বিকেলে রাজিব  মামার বাসায় আসে। মামা বাসায় না থাকায় সেই সুযোগে মামীকে কফি আনার জন্য বাহিরে পাঠায়। সেই সুযোগে মামাতো বোন পারমিতা সরকার তুষিকে হত্যা করে। মামি কফি নিয়ে বাসায় আসলে স্বর্ণা সরকারকে রড দিয়ে পিটিয়ে অজ্ঞান করে হাসুয়া দিয়ে গলা কেটে হত্যা নিশ্চিত করে। পরে মামাকে মোবাইল ফোন দিয়ে  বাসায় আসতে বলে। মামা বিকাশ সরকার বাসায় আসলে তাকেও একই কায়দায়  হত্যা করে। লাশ তিনটি বেড রুমে রেখে দরজায় তালা দিয়ে উল্লাপাড়ায় চলে যায়।হত্যায় ব্যবহৃত রড ও হাসুয়া উদ্ধার করেছে পুলিশ।
৪৯ বার ভিউ হয়েছে
0Shares