শুক্রবার- ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আদালতের নির্দেশের পর নাটোর সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. সুমনা সরকারসহ ৩জন গ্রেফতার-পলাতক ২

আদালতের নির্দেশের পর নাটোর সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. সুমনা সরকারসহ ৩জন গ্রেফতার-পলাতক ২

ইসাহাক আলী,  নাটোর, ২৬ মে-  নাটোরে এক আইনজীবির করা হত্যা চেষ্টা মামলায় আদালত ২৪ ঘন্টার মধ্যে দুই চিকিৎসকসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করার নির্দেশের পর নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ সুমনা সরকারসহ ৩জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অপর আসামী ডা. সাগরিকাসহ দুইজন পলাতক রয়েছে।  গত রাতে তাদেরকে গ্রেফতার করে নাটোর সদর থানা হেফাজতে রাখা হয়। পরে দুপুরে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আসামীরা আদালতে শুনানীর অপেক্ষায় ছিল।

এর আগে গতকাল বুধবার নাটোরের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলজার রহমান আইনজীবি অজিত সরকারের করা মামলায় নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ডা. সুমনা সরকারসহ তার বোন, বাবা, মা ও এক সহযোগীকে গ্রেফতারের আদেশ দেন। আদালত চলাকালে এজলাসে বসে মুঠোফোনে ওসিকে তিনি ওই নির্দেশ দেন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মামলার আসামী সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ সুমনা সরকার (৪৫), মা করুনা রানী সরকার (৫৫) ও বাবা সুনিতী রঞ্জন সরকার (৬০)। মামলার অপর দুই আসামী সুমনা সরকারের বোন একই হাসপাতালের চিকিৎসক কর্মকর্তা সাগরিকা সরকার (৩০) ও সহযোগী মো.মাসুম (৫০) এখনো পলাতক রয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৫ অক্টোবর নাটোর জজ আদালতের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অজিত কুমার বিশ্বাস বাদি হয়ে সুমনা সরকারসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মৃত্যু ঘটনানোর প্রস্তুতি নেয়ার অভিযোগে দায়ের করা এই মামলাটি দুই দফা তদন্ত হয়। তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে আদালত ওই ৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা দেন। গত ২০ এপ্রিল আদালতের গ্রেফতারী পরোয়ানা নাটোরের পুলিশ সুপার বরাবর পাঠানো হয়। কিন্তু সদর থানা আসামিদের গ্রেফতার না করায় গত ২০ মে মামলার বাদি থানায় গিয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করার অনুরোধ করে আসেন। তবুও আসামিদের গ্রেফতার করা হয়নি।

গতকাল বুধবার ওই মামলাটির ধার্য্য তারিখে বাদির আইনজীবী আদালতকে জানান,আসামি সুমনা সরকার ও সাগোরিকা সরকার সরকারি চিকিৎসক। তারা সদর থানা ভবনের অদূরেই হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এই শহরেই তারা বিচরণ করেন। অথচ পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করছে না। বাদি পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার আবেদন জানানো হয়। শুনানী শেষে আদালত এজলাসে বসেই সদর থানার ওসিকে ফোন দেন। তিনি বাদির অভিযোগ শোনান। বিচারক আগামি ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করাতে বলেন। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ জানান, গতকাল আদালতের নির্দেশের পরই অভিযানে নামে পুলিশ। ৩জনকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করা হয়েছে বাকী দুইজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

চিকিৎসক সুমনা সরকারসহ  ৫ আসামিকে ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছে আদালত।

১৭৫ বার ভিউ হয়েছে
0Shares