বৃহস্পতিবার- ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
দিনাজপুরের মধ্যপাড়া কঠিন শিলা প্রকল্পের বর্জ্য পানি নিস্কাসন ড্রেন নির্মানকে কেন্দ্র করে  উত্তেজনা ও মানববন্ধন 

দিনাজপুরের মধ্যপাড়া কঠিন শিলা প্রকল্পের বর্জ্য পানি নিস্কাসন ড্রেন নির্মানকে কেন্দ্র করে  উত্তেজনা ও মানববন্ধন 

বিশেষ প্রতিনিধি – দিনাজপুরের মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনি প্রকল্পের বজ্য পানি নিস্কাসন ড্রেন নির্মানের কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে বসত ভিটা বাঁশ বাগান কবরস্থান হারানোর আশংকায় ন্যাটার ডাঙ্গা নামক মহল্যা বাসী প্রতিবাদি মানব বন্ধন করেছে। এলাকা বাসীর দীর্ঘদিনের কাংঙ্খিত  প্রত্যাশা  পাথর খনি উত্তোলনের  বজ্য পানি নিস্কাসনে পাশ্ববর্তী নদী পর্যন্ত একটি ড্রেন নির্মিত হোক। এতে করে জলাবদ্ধতার কারনে প্রায় ৩০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ বিনষ্টের হাত থেকে রক্ষা পাবে।  গত  ২৩ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে মানব বন্ধন কারী মহল্যাবাসি ড্রেন নির্মানের উদ্যগকে স্বাগত জানালেও তাদের আশংকা ইতিমধ্যে কঠিন শিলা কর্তৃপক্ষ আগামী ৫ বছরের জন্য গুড়গুড়ি মৌজা ৩৭৮ দাগ নং পর্যন্ত ড্রেনের সিমানা নির্দ্ধারন করে জমিদাতাদের সঙ্গে চুক্তি বদ্ধ হয়েছে। অথচ ৩৭৭ দাগ নং থেকে  জমি লিজের আওতায় না এনে প্রস্তাবিত ড্রেনের বাম পার্শ্বস্হ্য  আব্দুর রফিক   সোলাইমান সরকার  ময়নাল মিয়া এবং আবদুল জলিলের বাঁশ বাগান বসত ভিটা   মহল্যাবাসীর কবরস্থান  সহ সরকারি বন বিভাগের বনায়নকৃত বাগানকে   চিহ্নিত করে ড্রেন নির্মানের পরিকল্পনা করেছে। মহল্যা বাসি সোলাইমান সরকার  আব্দুর রফিক ও ময়নাল মিয়া অভিযোগ করে বলেন ৩৭৮ দাগ পরবর্তী আমাদের ৫০ বছরের  ভোগ দখলীয় জমির ওপর দিয়ে কৌশলে কঠিন শিলার কতিপয় চাটুকার  সরকারি বন বিভাগের ভিতরে ড্রেন ঢুকানোর চেষ্টা করছে। আমরা মহল্যাবাসি কোন অবস্হাতেই  বসত ভিটা বাঁশ বাগান নষ্ট হতে দিব না। এ বিষয়ে মধ্যপাড়া রেন্জ অফিসার  উজ্জ্বল আহমেদ জানান  সরকারি বন বাগানে ভিতর দিয়ে বনায়ন ক্ষতি করে ড্রেন নির্মানের আদৌ কোন বৈধতা এবং সুযোগ নেই  বন মন্ত্রনালয়  হতে  যদি  আইনানুগ  বৈধতা নিতে পারে  সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত।  ১০ নং হরিরামপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোজাহিদুল ইসলাম সোহাগ বলেন – ওই মহল্যাবাসি আমার নিকট আপত্তি নিয়ে এসেছিল বিষয়টি আমি শুনেছি  কারো বসত ভিটা বাঁশ বাগান নষ্ট করে ড্রেন নির্মানের সিদ্ধান্ত হতে পারে না। আমি কঠিন শিলার জিএম মহোদয় কে জানাব।  মধ্যপাড়া কঠিন শিলা প্রকল্পের জিএম মোবাইল ফোনে জানান  ড্রেন নির্মানে এলাকার কারো আপত্তি থাকার কথা নয়  তথাপি বসত ভিটা বাঁশ বাগান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনার কথা আমার জানা নেই।  মানববন্ধন কারীগন নিজের বসত ভিটা বাঁশ বাগান রক্ষায় প্রতিবাদ মূখর হয়ে উঠেছে। সচেতন মহল মনে করে জটিলতা নিরসনে  সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ উদ্যগ গ্রহন করবেন।
২৩৬ বার ভিউ হয়েছে
0Shares