মঙ্গলবার- ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
জিটিসি কর্তৃক মধ্যপাড়া পাথর খনিতে আরো একটি নতুন মাইল ফলক

জিটিসি কর্তৃক মধ্যপাড়া পাথর খনিতে আরো একটি নতুন মাইল ফলক

একরামুল হক বেলাল, পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :  দেশের উত্তর অঞ্চলের পার্বতীপুরের মধ্যপাড়া পাথর খনি পরিচালনা, উৎপাদন এবং উন্নয়নে জিটিসি’এর সাথে দ্বিতীয় দফা চুক্তির পর গত জুলাই মাসে খনি থেকে মাসিক উৎপাদনের পূর্বের সকল রেকর্ডকে ছাড়িয়ে পাথর খনির উৎপাদন ইতিহাসে পাথর উত্তোলনের আবারও আরো একটি নয়া মাসিক রেকর্ড সৃষ্টি করল বেসরকারি সংস্থা জিটিসি।

দিনাজপুরের পার্বতীপুরের মধ্যপাড়া পাথর খনি থেকে গত জুলাই মাসে ১ লক্ষ ৩৯ হাজার মেট্রিক টনের উপরে মাসিক সর্বোচ্চ পাথর উত্তোলন করে খনির বর্তমান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মাানীয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি)। গত ২০০৭ সালে পাথর খনির বাণিজ্যিক উত্তোলনের শুরু থেকে ইতিপুর্বে এক মাসের মধ্যে এতো পরিমান পাথর উত্তোলন করা কখনোই সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য বর্তমান চুক্তির সময়কালে ধারাবাহিকভাবে প্রায় প্রতিমাসেই জিটিসি পাথর উত্তোলনের নিজেদের গড়া রেকর্ড দিয়ে নতুন মাইল ফলক স্থাপন করে বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রæত আর্থ সামাজিক উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছে।

জানা গেছে, বর্তমান সরকার ইতিপূর্বে সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন ব্যবস্থাপনায় লোকসানে চলা পাথর খনিটিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে গত ২০১৩ ইং সালে জার্মাানীয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) এর সাথে খনি কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা, রক্ষনাবেক্ষন,উৎপাদন এবং পরিচালনা চুক্তি হয়। জিটিসি খনির উন্নয়ন ও উৎপাদনকে গুরুত্বের সাথে নিয়ে পাথর উত্তোলন শুরু করে এবং প্রথম দফা চুক্তির মেয়াদে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা, অসহযোগিতা সহ নানা প্রতিকূলতার মাঝেও জিটিসি গত ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছর থেকে টানা ৪ অর্থ বছরে খনিটিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে। যার ফলশ্রæতিতে পাথর উত্তোলনে জিটিসি’র এই সফলতার পর প্রথম দফা চুক্তির মেয়াদ শেষে জিটিসি’র সাথে নতুন করে আবারো খনি কর্তৃপক্ষের ০৬ বছরের জন্য চুক্তি হয়। দ্বিতীয় দফা চুক্তির প্রথম বছরে নির্ধারিত সময়ে বাৎসরিক উত্তোলনের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশী পরিমান পাথর উত্তোলন করে জিটিসি তাদের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে।

মধ্যপাড়া পাথর খনি থেকে উৎপাদনের মাসিক এই নতুন নতুন রেকর্ড সৃষ্টির ফলে খনিটি বর্তমানে সরকারের লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়ার ফলে বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে। এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে খনি সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণের অর্থনৈতিক এবং জীবন মানের প্রভুত উন্নতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের সহযোগি হিসেবে মধ্যপাড়া পাথর খনির অবদান অব্যাহত রাখতে খনি সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা পেলে জার্মানীয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) এর মাধ্যমে মধ্যপাড়া পাথর খনি দেশের অর্থনীতির একটি মডেল হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট সচেতন মহল। তবে এই খনির পাথর সরকারি ও বে-সরকারি নির্মান কাজে ব্যবহার করলে টেকসই মজমুত হবে। ইটের চেয়ে পাথর ব্যবহার বেড়েছে দ্বিগুণ। অর্থনৈতিক ভাবে খনিটি এখন লাভবান হচ্ছে।

১৮৬ বার ভিউ হয়েছে
0Shares