শুক্রবার- ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নিউ ইয়র্কে ফোরক্লোজারে উঠেছে কথিত জালালাবাদ ভবন

নিউ ইয়র্কে ফোরক্লোজারে উঠেছে কথিত জালালাবাদ ভবন

 ইমা এলিস/ বাংলা প্রেস, নিউ ইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহ্যবাহী জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন চার দশকের ঐতিহ্য হারিয়ে কমিটি কমিটি খেলায় মেতে উঠেছে। একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর কবলে পড়ে ফোরক্লোজারে উঠেছে নিউ ইয়র্কের কথিত জালালাবাদ নামধারী মইনুল ভবন। গতকাল জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে আয়োজিত মত বিনিময় সভায় মার্কিন অ্যাটর্নি জোসেফ ম্যাটেন বলেছেন, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন ভবন নামের বাড়িটি এখনও ফোরক্লোজারে (ফোরক্লোজার হল একটি প্রক্রিয়া যা শুরু হয় যখন একজন ঋণগ্রহীতা তাদের বন্ধকী অর্থ প্রদান করতে ব্যর্থ হয়)। যুক্তরাষ্ট্রের বাংলা সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস এ খবর জানিয়েছে।
অ্যাটর্নি জোসেফ ম্যাটেন উল্লেখ করেন সাবেক সাধারন সম্পাদক মইনুল ইসলাম নিয়ম বর্হিভূতভাবে সংগঠনের তহবিল থেকে সাড়ে ৩ লাখ ডলার তুলে সকলের অগোচরে নিজ নামে বাড়ি কিনে জালালাবাদ ভবন নামকরণ করেন। নিজের তৈরি করা প্রতিষ্ঠানের নামে অ্যাস্টোরিয়ায় তিনি বাড়িটি ক্রয় করে পরে বাড়ির নাম দেন ‘জালালাবাদ ভবন’। কিন্তু ম্ইনুল ইসলাম গত ১ বছর ধরে এই ভবনের মর্টগেজ পরিশোধ করছেন না। যার কারণে ওয়াশিংটন ইকুয়েটি ব্যাংক বাড়িটি ফরক্লোজারে দিয়েছে। বাড়িটি ক্রয়কালে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের অর্থ ব্যয় করেছেন মইনুল। আমার ক্লায়েন্টের (অ্যাসোসিয়েশন) অর্থ এই বাড়ির সাথে সংশ্লিষ্ঠ। জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের নাম লিয়েন হিসেবে রয়েছে বাড়িটিতে। এমতাবস্থায় বাড়িটি ব্যাংক পুরোপুরিভাবে নিয়ে নিলে জালালাব অ্যাসাসিয়েশন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
এতে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ ও প্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক রোকন হাকিম বলেন, সংগঠনের অর্থে কেনা বাড়ির ভাড়া তুলছেন মইনুল। তারই (মইনুল) হিসেব মতে মর্টগেজ দেবার পরও ৮ শত ডলার হাতে থাকে প্রতিমাসে। এমতাবস্থায় মইনুল গত ১ বছর ধরে বাড়িটির মর্টগেজ না দিয়ে সব অর্থই আত্মসাৎ করছেন।
মত বিনিময় সভায় প্রমানাদি উত্থাপন করে এটর্নি জোসেফ ম্যাটেন বলেন, বাড়িটি এখনও ফরক্লোজারে রয়েছে। মইনুল কমিটির অনুমোদন না নিয়ে ব্যাংক থেকে ২ দফা অর্থ তুলেছে। প্রথম দফায় আব্দুল আজিজের একাউন্টে আড়াই লাখ ডলার ট্রান্সফর করেন। পরে অবশ্য তা ফান্ডে ফেরত আসে। পরে নিজ সংগঠনের নামে বাড়ি কিনতে সাড়ে ৩ লাখ ডলার তুলে ফেলে। মজার বিষয় হচ্ছে এই বাড়ি কিনতে ব্রোকারিজ ফি বাবদ দেখানো হয়েছে ৮৭ হাজার ডলার। অথচ এই ব্রোকারিজ কোম্পানীর মালিকও মইনুল। তার সকল অপকর্ম ও অনিয়মের বিরুদ্ধে আদালতে দায়ের করা মামলা পর্যালোচনা করে বিজ্ঞ আদালত তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক রায় প্রদান করবেন বলে আশা করছেন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা।
মত বিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সভাপতি বদরুল হোসেন খান। পরিচালনা করেন রোকন হাকিম। অন্যান্যের মধ্যে উপস্তিত ছিলেন কামরুজ্জামান কয়েস, বদরুন নাহার খান মিতা, আতাউর রহমান সেলিম, মিজবাহ মজিদ, মিজবাহ আহমেদ, রেজাউল আলম অপু, জাবেদ আহমেদ, শামীম আহমেদ, এডভোকেট নাসির উদ্দীন, মোজাহিদুল ইসলাম, কিনু চৌধুরী ও রিজু মোহাম্মদ।

৪৬ বার ভিউ হয়েছে
0Shares