শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তাহেরপুর পৌরসভায় প্রশাসন নিরব থাকায় লাগামহীন হয়ে পড়েছে পেঁয়াজের দাম

তাহেরপুর পৌরসভায় প্রশাসন নিরব থাকায় লাগামহীন হয়ে পড়েছে পেঁয়াজের দাম

নাজিম হাসান,রাজশাহী থেকে:
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় তাহেরপুরে লাগামহীন হয়ে পড়েছে পেঁয়াজের দাম। দেশের সবচেয়ে বেশী পেঁয়াজ উৎপাদনকারী উপজেলা হিসেবে পরিচিত রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা অন্যতম। এ উপজেলার বিখ্যাত তাহেরপুরী পেঁয়াজের সমাদর বেশ আগে থেকেই বাংলাদেশে রয়েছে। তাহেরপুরের আসপার্শে সেচা ও কন্দ ল্যাইলা জাতের পেঁয়াজ উৎপাদন সবচেয়ে বেশি হয়। কিন্তু শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) হাটবার তাহেরপুর কলেজ মাঠে অবস্থিত পাইকারি বাজারে কেজি প্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকা থেকে ১২০ টাকার মতো। এবং শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকে খুচরা দোকানে পেঁয়াজ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা থেকে ১৮০ টাকায়। জনমনে প্রশ্ন আর কত বাড়লে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সরকার যদি এখন থেকে লাগাম টেনে না ধরলে আরও বাড়তে পারে পেঁয়াজের দাম। পাইকারি ও খুরচা বাজারে পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দাম বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে বাজারে আসা ক্রেতা নমির,উদ্দিন,খালেক,জালাল,আক্কাছ,সুনিল,কামাল,আসিশ,আলতাব,মসলেম,জব্বার,লিয়াকত,কাউছার,লালন,কাসেম,মামুন ও ডিএসবি পুলিশ সদস্য বলেন, সারাদেশের সব ক্রেতা চলে এসেছে তাহেরপুরে। এখান থেকে পেঁয়াজ কিনে বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যাচ্ছেন তারা। এর ফলে চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। তাই অস্বাভাবিক ভাবেই দাম বাড়ছে। তাই পেঁয়াজ না কিনেই বাজার থেকে ফিরেছেন অনেকে। এদিকে পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার প্রভাব সঙ্গে সঙ্গেই পড়েছে খুচরা বাজারে। প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপই পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। তবে তাহেরপুরে হাট-বাজারে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের তদারকি না থাকায় গত কয়েক দিন ধরে আবারও লাগামহীন হয়ে পড়েছে পেঁয়াজের দাম। লাগামহীন পেঁয়াজের বাজার জনজীবনে সৃষ্টি করেছে অস্থিরতা। গতকাল শুক্রবার তাহেরপুরে হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা পর্যায়ে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১শ’৩০ টাকা থেকে ১৪০ টাকায়। এদিকে,ক্রেতাদের আভিযোগ তাহেরপুরের হাট-বাজারে নিয়মিত বাজার মনিটরিং না থাকা এবং প্রতিটি খুচরা দোকানে দাম নির্ধারণ করে তালিকা না দেওয়ায় ইচ্ছামত দাম হাকিয়ে নিচ্ছে খুচরা দোকানীরা। তাই স্বস্তিতে নেই নিম্ন মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র শ্রেণীর মানুষরা। একাধিক ক্রেতারা জানান, সব ধরনের তরকারী রান্নাতে পিয়াজের প্রয়োজন। যেখানে পিয়াজ ছাড়া সাদ হয়না। এখন বাধ্য হয়ে তরকারীতে পিয়াজ দেয়া হচ্ছে কিন্তু পরিমাণে অনেক কম। নিম্ম আয়ের,লোকজন জানান,পিয়াজ কিনতে এসে বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে। এত দাম হলে কিভাবে চলা যায়। বেশি দাম হবার কারনে পিয়াজ অর্ধেক করে কেনা হচ্ছে। এবং পিয়াজের বাজার কে নিয়ন্ত্রন করেন। খুরচা ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমত দাম নির্ধারণ করেন। হাটে আসা একাধিক ক্রেতা জানান, সরকারী মুল্যের চেয়ে খাজনা আদায় হয় কয়েকগুন বেশি। আর এসবের জের টেনে সাধারন নিম্ম আয়ের মানুষের পকেট কাটা হচ্ছে বেপরোয়া ভাবে। বাগমারায় প্রশাসনের কোন ধরনের বাজার মনিটরিং না থাকার কারনে ইচ্ছেমত খুরচা ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা দাম নিচ্ছেন বলে তারা অভিযোগ করেন। পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান,ভারত পেঁয়াজের রপ্তানি বন্ধ করায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তবে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি চালু না হলে দাম কমার সম্ভাবনা নেই।

৪৮ বার ভিউ হয়েছে
0Shares