সোমবার- ১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৭ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
কবিরহাটে নৈশ প্রহরীকে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা

কবিরহাটে নৈশ প্রহরীকে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম শায়েস্তানগরী,নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট পশ্চিম বাজারে নৈশ প্রহরী মোঃ শহিদ উল্যাহ (৫০) কে হত্যা করে দুটি স্বর্ণের দোকান লুটের ঘটনায় থানায় পৃথক দ্ইুটি মামলালা দায়ের করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক বা গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। গতকাল শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মিন্টু নাথ বাদী হয়ে ওই ঘটনায় খুনসহ ডাকাতি আইনে অজ্ঞাত ১০-১৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। এর আগে, একই দিন ভোর রাতের দিকে এ ঘটনা ঘটে। লুট হওয়া স্বর্ণালঙ্কারের বাজারমূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা বলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন।নিহত নৈশ প্রহরীর মোঃ শহিদ উল্যাহ একই উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নের চর গুল্লাখালী গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায় শুক্রবার রাত ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে দিকে ২৫ থেকে ৩০ জনের একদল সশস্ত্র ডাকাত পিকআপ ভ্যান নিয়ে চাপরাশিরহাট বাজারের পশ্চিম অংশে মা-মণি জুয়েলার্সের লোহার ফটক কেটে ডাকাতি শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা সঙ্গে করে নিয়ে আসা গ্যাস ওয়েল্ডিং যন্ত্র দিয়ে দোকানের লকার কেটে স্বর্ণালঙ্কার লুট করে। এ সময় বাজারের নৈশপ্রহরী মোঃ শহিদ উল্যাহ ডাকাতদের বাধা দিলে ডাকাতেরা তাকে মাথায় আঘাত দিয়ে হত্যা করে। এরপর ডাকাতেরা একই বাজারের নূর জুয়েলার্সেরও লোহার ফটক কেটে সেখান থেকে স্বর্ণালঙ্কার লুট করে। একই সময় বাজার দিয়ে পণ্য কেনার জন্য যাওয়ার সময় শরিফ ক্লথ স্টোরের মালিককে মারধর করে সঙ্গে থাকা টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

মা-মণি জুয়েলার্সের মালিক মিন্টু চন্দ্র নাথ জানান, ডাকাতেরা তার জুয়েলারি দোকানের লকার কেটে প্রায় ২৫০ ভরি সোনা, ১৫০ ভরি রুপা ও তিন লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। একই সময় তারা দোকানের ভেতরের অন্য জিনিসপত্র ভাঙচুর ও তছনছ করে। নূর জুয়েলার্সের মালিক নূর আলম জানান, ডাকাতেরা তার দোকান থেকে প্রায় ৭ ভরি সোনা, ২৫০ ভরি রুপা লুট করে নিয়ে গেছে।

কবিরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা নেওয়া হয়েছে। ওই মামলায় ১০-১৫জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে।

১৯ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS