শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বোদায় অগ্নিসংযোগ ও হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

বোদায় অগ্নিসংযোগ ও হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

পঞ্চগড় :  পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও হামলার প্রতিবাদে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভূক্তভোগী পরিবার।
সোমবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার চন্দনবাড়ি ইউনিয়নের সাকোয়া প্রধানপাড়া এলাকায় ভূক্তভোগী পরিবারের বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভূক্তভোগী পরিবারের প্রধান ও প্রধানপাড়া জামে মসজিদ এবং প্রধানপাড়া হাফেজিয়া মাদরাসা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের সভাপতি আজহারুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৪২ বছর ধরে নিজ বাড়ির পাশের ১৫ শতক জমি তিনি ভোগদখল করে আসছেন। তবে প্রধানপাড়া হাফেজিয়া মাদরাসা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের পরিচালনা কমিটির সদস্যরা সহ স্থানীয়রা জমিটি মাদরাসার দাবী করছে আসছে।
জমিটির বদল হিসেবে তাদের অন্যত্র জমি দেয়া হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগি পরিবার। সেই সাথে সর্বমোট ৩০ শতক জমি তাদের দিতে চাওয়া হলেও তারা মানতে নারাজ।
এনিয়ে একাধিকবার শালিস ডাকা হলেও তারা সালিশে উপস্থিত হয়নি। এরই মাঝে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জমিটি দখলে নিতে গত ৬ অক্টোবর (শুক্রবার) জুমআর নামজের পরে হায়াতুন নবী বেবি, ইকবাল হোসেন, রিয়াদুল হাসান, মোন্নাফ হোসেন, আব্দুল হান্নান, শাহিনুর রহমান সহ ৩৫ থেকে ৪০ জন আমাদের পুকুরের এসে জোড় করে মাছ ছেড়ে দেয়। এসময় আমার পরিবারের লোকজন তাদের বাধা দিতে গেলে তারা আমার ভাই রমজান ও চাচাতো ভাই আফজাল হোসেন প্রধানকে পুকুরের পানিতে ফেলে ডুবিয়ে ধরে হত্যার চেষ্টা করে।
এদিকে এক পর্যায়ে তারা আমাদের বসত বাড়ির পাশের একটি সারের গুদামে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় গুদামে রাখা মাছের খাবার, রাসায়নিক সার, ২০ কার্টুন কীটনাশক, ফার্নিচারের ৮০ সিএফটি কাঠ,একটি স্যালো মেশিন,দুইটি কাঠের খাট সহ অসংখ্য মালামাল পুড়ে যায়। এতে আমাদের প্রায় ৪ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
পরে স্থানীয়রা আমার ভাইকে উদ্ধার করে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
এ ঘটনায় আমার চাচাতো ভাই আফজাল হোসেন প্রধান বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৩০/৩৫ জনকে আসামী করে বোদা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী করে দ্রুতই তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের কাছে জোড় দাবী জানান ভুক্তভোগি পরিবারের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে আফজাল হোসেন প্রধান,মসজিদের কোষাধ্যক্ষ রেজোয়ানুল হক, রমজান আলী, মসজিদের সদস্য মতিফুল ইসলাম সহ ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রধানপাড়া জামে মসজিদের মুসল্লী রিয়াদ হোসেন বলেন, একটি মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে তারা আমাদের উপর মামলা দায়ের করেছেন। সত্য চিরস্থায়ী, মিথ্যা ক্ষণস্থায়ী। আশা করি অচিরেই প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ পাবে।
এবিষয়ে বোদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুজয় কুমার রায় বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আমরা ঘটনাটি তদন্ত করছি। আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

২০০ বার ভিউ হয়েছে
0Shares