বুধবার- ২৬শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১২ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
 মান্দায় বন্যায় আত্রাই নদীর বেড়িবাঁধে চার ভাঙন: ভোগান্তিতে দুই হাজার পরিবার

 মান্দায় বন্যায় আত্রাই নদীর বেড়িবাঁধে চার ভাঙন: ভোগান্তিতে দুই হাজার পরিবার

 এম এম হারুন আল রশীদ হীরা ; মান্দা (নওগাঁ) :   নওগাঁর মান্দায় বন্যায় আত্রাই নদীর উভয়তীরের চার স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত দুই হাজার পরিবার। ইতিমধ্যে তলিয়ে গেছে দেড় হাজার বিঘা জমির আউশ ও আমন ধানের খেত। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ। বর্তমানে রাত জেগে কাটছে নদের দু’পাড়ের  মানুষের  জীবন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ নদীর পানি বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ মূল বাঁধের বেশকিছু এলাকা চরম ঝঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নদীপাড়ের মানুষরা। এ অবস্থায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ টিকিয়ে রাখতে ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বস্তায় বালু ভরে সোমবার সন্ধ্যা থেকে মেরামতের একটানা কাজ করছে শ্রমিকেরা। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সহায়তা এসব কাজ বাস্তবায়ন করছে উপজেলা প্রশাসন।
 বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে নুরুল্লাবাদ ইউনিয়নের সাতটি গ্রাম। এ ইউনিয়নের নুরুল্লাবাদ ও পারনুরুল্লাবাদ এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ৬শ পরিবার এবং ফকিন্নি নদীর তীরবর্তী এলাকায় আরও অন্তত ৭শ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া প্রসাদপুর ইউনিয়নের বাইবুল্যা ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কয়লাবাড়ী এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৭শ পরিবার। এছাড়া পানি নিষ্কাশনের প্রধান নালা (মাস্টার ড্রেন) দিয়ে বন্যার পানি (প্রসাদপুর বাজারে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পূর্ব দিক) প্রসাদপুর বাজারে ঢুকে পড়েছে। এতে বাজারে বসবাসকারী লোকজন পানিবন্দি হয়ে যাচ্ছেন। তাছাড়া বাজারে আসা  ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে পড়েছেন।
নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার সকাল থেকে আত্রাই নদে পানি বাড়তে শুরু করে। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত এ নদীর পানি বেড়ে এখন বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামীকাল বুধবার পর্যন্ত এ নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। তবে ধারণা করা হচ্ছে কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে আরও কয়েকদিন পানি বাড়তে পারে।
নুরুল্লাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়াছিন আলী প্রামানিক বলেন, আত্রাই নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এ ইউনিয়নের সাতটি গ্রামের প্রায় ১ হাজার ৩শত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বর্তমানে এসব গ্রামের পানিবন্দি মানুষ সীমাহীন  দুর্ভোগের শিকার হয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা আঞ্জুমান বানু বলেন, ইতিমধ্যে বন্যা কবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বস্তায় বালু ভর্তি করে মেরামতের কাজ চলছে। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সার্বক্ষনিক তদারকি করা হচ্ছে বলেও তিনি আরো জানান।
৬৬ বার ভিউ হয়েছে
0Shares