বুধবার, ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৫০ বছর পর বেতনা নদী থেকে কোচুড়িপানা পরিষ্কার করার উদ্যোগ

৫০ বছর পর বেতনা নদী থেকে কোচুড়িপানা পরিষ্কার করার উদ্যোগ

Views

আব্দুল মান্নান, শার্শা (যশোর) থেকে \ ৫০ বছর পর বেতনা নদী থেকে কোচুড়িপানা পরিষ্কার করার উদ্যোগ নিয়েছেন উপজেলা প্রশাষন। খোজ খবর নিয়ে জানা যায় উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় মিটিংএ কোচুড়িপানা পরিষ্কার করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহন ও বাস্তবায়ন করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব প্রাপ্তদের কে নির্দ্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বেতনা নদীগুলি এবং প্রত্যেক ইউনিয়নে যেখানে যতটুকু বেতনা নদীর অংশ আছে ঐ সকল বেতনা নদীর পানি ব্যবহার উপযোগি করে তোলার জন্য উপজেলা প্রশাষন এ উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। এলাকার তথা বেতনা নদীর পাড়ে বসবাসকারী পরিবার গুলি উপজেলা প্রশাষনকে এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। শার্শা বেতনা নদীর পাড়ে বসবাসকারী ইসমাইল হোসেন এক স্বাক্ষাতকারে জানান, বেতনা নদীর কোচুড়িপানা পরিষ্কার করা এটা এক ধরনের মহতি উদ্যোগ। কারন আমরা বেতনা নদীর পাড়ে বসবাস করি। মসার কামড়ের কি যন্ত্রনা তা আমরা জানি। তাছাড়া কোচুড়িপানা থাকলে বদ্ধ জলাশয় সৃষ্টি হয়ে পানি গন্ধ হয়ে পরিবেশ নষ্ট হয়। বিভিন্ন ধরনের পানি বাহিত রোগ ছড়ায়। একই কথা বলেন রাজনগর গ্রামের মতিয়ার রহমান। তিনি বলেন কোচুড়িপানা চাষিদের বিভিন্ন উপকারে আসে। কোচুড়িপানা দিয়ে কম্পোষ্ট সার তৈরী করা যায়। তাছাড়া কোচুড়িপানা শুকানর পর শবজি খেতে দিলে ঐ জমিতে ঘাষ জন্ময় না। জমির পর্যাপ্ত জৈবরস ধরে রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া পটলের বেড, রসুনের বেড, মুখি কচুর বেড সহ বিভিন্ন প্রকার সবজী খেতে ব্যবহার করা যায়। সূবর্ণখালি গ্রামের কৃষক আবু জাফর এবং নিজামপুর গ্রামের আবুল হাসান এক স্বাক্ষাতকারে জানান, বিভিন্ন সময় আমরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে কোচুড়িপানা পরিষ্কার করার বিষয়ে কথা বলেছি, কিন্তু কোন সময় আমাদের কথার কর্ণপাত করেননি। তবে উপজেলা প্রশাষন যে পদক্ষেপ গ্রহন করেছে আমরা এলাকাবাসী স্বাদুবাদ জানাই। এ প্রকল্পটি যাতে অব্যাহত থাকে সে বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্থার সুদৃষ্টি কামনা করছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজি নাজিব হাসান বেতনা নদী থেকে কোচড়ীপানা পরিষ্কার করার বিষয়টি জানতে চাইলে এক স্বাক্ষাতকারে জানান, জেলা প্রশাষকের নির্দেশে বেতনা নদীর কোচুড়িপানা পরিষ্কার করা হচ্ছে। কোচুড়ীপানা পরিষ্কার করার বিষয়টি বিশেষ করে জনকল্যান মুলক কাজ। কারণ প্রবাহমান বেতনা নদীতে কোচুড়িপানা থাকলে তা বাধা গ্রস্থ করে। নদীর পরিবেশ নষ্ট হয়। পানিবাহিত রোগ সৃষ্টি হয়। বদ্ধ জলাশয়ে সৃষ্টি হয়। নদীর নাব্যতা হারায়, এডিস মশা, ডেঙ্গু মশা সহ বিভিন্ন মশার জন্ম হয়। যা সাধারণ মানুষের জন্য খুবি ক্ষতির কারণ। এসব কথা চিন্তা করে যেসমস্ত ইউনিয়নে খাল বিল ক্যানেল ও বেতনা নদী আছে ঐ সমস্ত এলাকায় পর্যায়ক্রমে কোচুড়ীপানা পরিষ্কার করে তা ব্যবহার উপযোগি করে তোলা হবে এবং সুপেয় পানির ব্যবস্থা করাও সম্ভব। এলাকাবাসী স্বেচ্ছা শ্রমের ভিত্তি¡তে কোচড়ীপানা পরিষ্কার করার এগিয়ে আসলে অতি দ্রুুতই পরিষ্কার করনের কাজ সম্পন্ন করা যেত।

Share This

COMMENTS