মঙ্গলবার- ১৮ই জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৪ঠা আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
রেলওয়ে বানিজ্যিক কর্মকর্তা আলোচিত নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতি ও ৭৫ লাখ টাকার চেক জালিয়াতি  সহ  নানা অভিযোগ 

রেলওয়ে বানিজ্যিক কর্মকর্তা আলোচিত নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতি ও ৭৫ লাখ টাকার চেক জালিয়াতি  সহ  নানা অভিযোগ 

ময়নুল ইসলাম ঈশ্বরদী থেকে: অভিযোগ থেকে জানা যায় ,পাকশী রেলওয়ে সদরদপ্তরের বানিজ্যিক কর্মকর্তা ( ডিসিও) নাসির উদ্দিনের  বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজ পরিবার ও নিকট আত্বীয়  লোকজনের মধ্যে চাকরি দেয়া হয়েছে প্রায় ডজন খানেক যুবক কে। তারা হলেন মোঃ সোলাইমান কবির (অস্হায়ী গেট কিপার ) পিতা মোঃ রুহুল আমিন (নাসিরের বড় ভাইয়ের ছেলে  গ্রাম হলুদিয়া মধুপুর টাঙ্গাইল ,  মোঃ হাবিবুর রহমান হবি (গেট কিপার ) পিতা সাহেব আলী (নাসিরের চাচার ছেলে)
গ্রাম হলুদিয়া,মধুপুর, টাঙ্গাইল, মোঃ শহীদুল ইসলাম (অস্থায়ী গেট কিপার)  পিতা হামিদ (নাসিরের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে) গ্রাম হলুদিয়া, মধুপুর, টাঙ্গাইল ,মোঃ রাসেল (অস্থায়ী গেট কিপার পিতা আমীর আলী(নাসিরের আপন বোনের ছেলে) গ্রাম বোকারবাঈদ, মধুপুর, টাঙ্গাইল,  মোঃ সাইফুল ইসলাম টুটুল (অস্থায়ী গেট কিপার)  পিতা অঙ্গাত (নাসিরের আপন বোনের ননদের ছেলে) ম ছাতারকান্দি, গোপালপুর, টাঙ্গাইল,  রানা পারভেজ (অস্থায়ী গেট কিপার) পিতা শামছুউদ্দীন (নাসিরের আপন শ্যালক) গ্রাম শাজনপুর, গোপালপুর, টাঙ্গাইল।

এছাড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট “সদর” আমলী আদালত টাঙ্গাইলে  সি আর মামলা  নং ১৩১২ /২০১৯  থেকে জানা যায় ৭৫ লাখ টাকার চেক জালিয়াতির বিচারাধীন মামলা রয়েছে   (ডিসিও) নাসিরের বিরুদ্ধে । মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়  মোঃ  নাসির উদ্দিন বি বি এ (অনার্স) ২য় বর্ষের ছাত্র থাকা কালে  ১১/০৮/২০১৮ ইং তারিখে রেজিঃ কাবিন মুলে বিবাহ হয়। দাম্পত্য স্বত্ব পালন করা কালে সুচতুর নাসির উদ্দিন নাসরিন সুলতানার উপর মানষিক ও শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে । একপর্যায়ে নাসরিন সুলতানার পিতা আঃ গনি কন্যার সুখের আশায় সুচতুর নাসির উদ্দিন কে লেখা পড়ার  খরচ বাবদ মোটা অংকের টাকাও দিয়েছিলেন বলে অভিযোগে উল্লেখ । এই মামলার বাদী  নাসরিন সুলতানা পিতা মৃত আঃ গনি গ্রাম জাহিদ মন্জিল, ধনবাড়ী জেলা টাঙ্গাইল।

বহু বিতর্কিত পাকশী বিভাগীয় বানিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও)  বিরুদ্ধে অপর একটি বিচারাধীন  মামলা  রয়েছে টাঙ্গাইলের উপজেলা মধুপুর সিনিয়র সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতে।যাহার মোকদ্দমা নং ৪৬ (পারিবারিক)। তবে এই দুটি বিচারাধীন মামলায় হাজিরা দিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে ছুটি নিয়ে ছিলেন কিনা সেটা জানা যায়নি।

তাছাড়া এই বিতর্কিত বিভাগীয় বানিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) পাকশীতে এসিও থাকা কালীন সময়ে অফিসের কর্মচারী দের সাথে অশালীন আচারন করায় কর্মচারী দের হাতে পিটুনী খেয়ে এখান থেকে বদলী হয়ে চট্রগ্রামে চলে যায় সুত্র মতে জানা যায়।

২০১৯ সালে চট্রগ্রামে বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) থাকাকালীন সময়ে “গেইটম্যান  চাকরি তে যোগদানের  কয়েক মাসের মধ্যেই পদোন্নতি ৭ জনের।  অনিয়মের কারনে এই বহু বিতর্কিত বর্তমান (ডিসিও) নাসির উদ্দিন ষ্ট্যান্ড রিলিজ হয়ে ছিল।  লাকসাম-আখাউড়া ডাবল লাইন প্রকল্পে ।

এদিকে পাকশী বিভাগীয় বানিজ্যিক  কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিনের পারিবারিক অবস্থা তার বাবা মোঃ নওয়াব আলী একজন হতদরিদ্র কৃষক তার ৫ ছেলের মধ্যে ছোট ছেলে নাসির উদ্দিন তার সংক্ষিপ্ত  চাকরি জীবনে  এলাকাবাসীর মতে এতো  অর্থ সম্পদের উৎস বলে তাদের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

এব্যাপারে পাকশি বিভাগীয় বানিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিনের সাথে তার দপ্তরে দুই গিয়ে তাকে পাওয়া না গেলেও আজ তার দপ্তরে কথা বলতে চাইলে তিনি প্রায় এক ঘন্টা বাহিরে বসিয়ে রেখে কথা না বলে দ্রুত সটকে পড়েন।

অপরদিকে এসব বিষয়ে পাকশি বিভাগীয় জেনারেল ম্যানেজার মোঃ শাহীদুল ইসলারে সাথে কথা বলে জানতে চাইলে নাসির উদ্দিন টাঙ্গাইল আদালতে মামলা হাজিরা দিতে যায়।  অফিস থেকে ছুটি নিয়ে যায় কিনা তার উওরে তিনি বলেন কোন স্হানে মুভ করতে চাইলে সে আমার কাছে ছুটি মাঝে মাঝেই নেয়।

উল্লেখ্য তার ক্ষমতার এতোটাই দাপট যে গত ৫ মে গভীর রাতে টিটিই শফিকুল ইসলাম কে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছিলেন। যাকিনা পরবর্তীতে সেই টিটিই’র বরখাস্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বরখাস্ত করা সেই ডিসিও কে কারন দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়েছে।তার সাত কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দেওয়ার ১৮ ই মে শেষ দিন ।  কারন দর্শানো জবাব দিয়েছেন কিনা এবিষয়ে ডি আর এম পাকশি শাহীদুল ইসলাম বলেন বিকেলে নোটিশের জবাব দেয়ার কথা রয়েছে#

১৯১ বার ভিউ হয়েছে
0Shares