মঙ্গলবার- ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পার্বতীপুরে থানায় গাছ কাটার অভিযোগের দীর্ঘ ২৭ দিনেও কোন অগ্রগতি নেই

পার্বতীপুরে থানায় গাছ কাটার অভিযোগের দীর্ঘ ২৭ দিনেও কোন অগ্রগতি নেই

আতাউর রহমান, পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি।দিনাজপুরের পার্বতীপুরে নিজ সন্তানের নামে কেনা জমির মূল্যবান মেহগনি গাছ জোরপূর্বক কেটে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় থানায় অভিযোগ করার দীর্ঘ ২৭ দিনেও গাছ উদ্ধারে কোন ব্যবস্থা নেয়নি পার্বতীপুর মডেল থানা পুলিশ। এতে ভূক্তভোগি উপজেলার মমিনপুর ইউনিয়নের যশাইমোড় এলাকার বিশিষ্ট ঠিকাদার ও মিলার মো: বুলু মন্ডল থানা পুলিশ ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের কাছে বার বার ধরনা দিয়েও প্রতিকার না পেয়ে হতাশ ও দিশেহারা।

এ ঘটনায় গত ১৪ আগষ্ট রাতে থানায় করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভূক্তভোগি মো: বুলু মন্ডল ২০২০ সালে মোমিনপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুরে মেসার্স মা হাসকিং মিলটি ৭টি মেহগনি গাছসহ ছেলে আবু তৌহিদ মন্ডলের নামে ক্রয় করেন। এর পাশের জমির মালিক স্থানীয় ভবেববাজারের রড ও সিমেন্ট ব্যবসায়ী মমিনুল (৫২)। তিনি গত ১৪ আগষ্ট সকালে ৫/৬ জন লোক নিয়ে প্রায় দেড় লাখ টাকা মূল্যের বড় বড় দুটি মেহগনি গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিবাদীকে গাছ কাটতে নিষেধ করেন এবং জমি পরিমাপ ও মালিকার কাগজপত্র যাচাই করে গাছের প্রকৃত মালিক নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত গাছের ব্যাপারে উভয় পক্ষকে সকল তৎপরতা বন্ধ রাখতে বলা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিনেও পুলিশ মালিকানার বিরোধ নিষ্পত্তির কোন উদ্যোগ গ্রহন না করায় সুযোগ বুঝে বিবাদী মমিনুলের লোকজন কেটে ফেলা দুটি গাছের ৫টি গোলাই গোপনে ভবেববাজারে একরামুল চৌধুরীর স’মিলে সরিয়ে রাখে। এসব গোলাইয়ের ছবি ও তথ্য প্রমাণ বাদীর কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।

বাদী বুলু মন্ডল বলেন, থানায় অভিযোগ না করে আদালতের শরনাপন্ন হতে পারতাম। কিন্তু আদালতে মামলা করলে দীর্ঘদিনেও বিরোধের নিষ্পত্তি হয় না। উপরন্ত বছরের পর বছর মামলা চলায় আর্থিক ভাবে বাদী-বিবাদী উভয়পক্ষই সর্বশান্ত হন। এজন্য তিনি জমি, জমির সীমানা ও সেখানে থাকা গাছের মালিকানা নিয়ে বিরোধের ইউনিয়ন পরিষদ বা থানায় স্থানীয় ভাবে শালিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তি চান। কিন্তু বিরোধের নিষ্পত্তিতে পার্বতীপুর মডেল থানা পুলিশ আন্তরিক উদ্যোগ গ্রহন না করায় চলমান বিরোধের নিষ্পত্তি হচ্ছে না। উল্টো যে কোন মুহুর্তে ঘটনাস্থলে নতুন করে অনাকাংখিত আইনশৃংখলা জনিত গুরুতর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে স্থানীয়দের আশংকা।

গোবিন্দপুর গ্রামের হাজী মোবারক হোসেন বলেন, ১৯৯৫ সালে মিল-চাতাল নির্মান করি। মিলের পিছনে ১৯৯৮ সালে ৭টি মেহগনি গাছ রোপন করা হয়। এরপর ২০২০ সালে মোমিনপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুরে মেসার্স মা হাসকিং মিলটি ৭টি মেহগনি গাছসহ মো: বুলু মন্ডলের ছেলে আবু তৌহিদ মন্ডলের নিকট বিক্রি করি। প্রকৃত গাছের মালিকই হচ্ছেন মো: বুলু মন্ডল। এ ব্যাপারে বিবাদী মমিনুল হক দাবী করেন, ঘটনাস্থলের জমির মালিক আমি। এ সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র আমার কাছে রয়েছে।

অন্যদিকে, একই বিষয়ে পার্বতীপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ও অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা মো: মেহেদী হাসান বলেন, দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই আমি অনত্র বদলী হয়ে যাওয়ায় এ ঘটনার সর্বশেষ অগ্রগতি কি তা আমি জানি না।

৪৪ বার ভিউ হয়েছে
0Shares