![মধুখালীতে সুবিধাবাদীদের রোষানলে পশুর হাট মধুখালীতে সুবিধাবাদীদের রোষানলে পশুর হাট](https://spnewsbd.com/wp-content/uploads/2023/09/MADHUKHALI-GOPALDI-HAT-PIC.jpg)
মধুখালীতে সুবিধাবাদীদের রোষানলে পশুর হাট
![](https://spnewsbd.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
শাহজাহান হেলাল,ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি ৩ সেপ্টেম্বর রোববারঃ ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বড় গোপালদী পশুর হাটটি সুবিধাবাদীদের রোষানলে পড়ে ভেস্তে যেতে বসেছে। আইন শৃংখলা বাহিনী কর্তৃক সাংবাদিকের সাথে অসৌজন্য মুলক আচরন।
বড় গোপালদীর পাশ্ববর্তী ফরিদপুর সদরের পরমানন্দপুরে একটি পশুর হাট সৃষ্টির পর থেকেই দুটি হাট ইজারা নেয়া কর্তৃপক্ষের স্বার্থের দ্বন্দে উদ্ভুত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। যা উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। গত ২৭ আগস্ট ২০২৩ তারিখ ফরিদপুর জেলা প্রশাসন কার্যালয় কর্তৃক মধুখালী উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রতি একটি নির্দেশনা বাস্তবায়নের প্রেক্ষিতে ভেস্তে যেতে বসেছে সরকারিভাবে ইজারা গ্রহণকৃত ঐতিহ্যবাহী বড় গোপলদী পশুর হাটটি। সরেজমিনে দেখা যায় পূর্ববর্তী হাটের স্থান ফাঁকা রেখে বড় গোপালদী ইক্ষু ক্রয় কেন্দ্রের বিপরীতে মিনি ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে গরু এনেছেন ব্যাপারীরা। ক্রয় বিক্রয় কার্যক্রম না থাকলেও ক্রেতা বিক্রেতাদের পাশাপাশি আইন শৃংখলা বাহিনীর কয়েকজন সদস্যকে সেখানে দেখা যায়। ইতোমধ্যে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামীম আরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গাড়ীর মধ্য থেকেই হাট বসাতে নিষেধ করার পাশাপাশি তাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে চলে যেতে বলেন। এসময় মধুখালী প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক মানবকন্ঠের মধুখালী উপজেলা প্রতিনিধি শাহজাহান হেলাল পশুর হাট সংক্রান্ত দাপ্তরিক কিছু কাগজপত্র নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শামীম আরা’র সাথে কথা বলার চেষ্টাকালে মধুখালী থানার এস.আই কাইয়ুম তাকে বাঁধা প্রদানের পাশাপাশি তর্কে লিপ্ত হন। একজন সিনিয়র সাংবাদিকের সাথে তার আচরণ ও কথাবার্তা ছিলো অত্যন্ত অপেশাদার সুলভ। যা পেশাগত দায়িত্বপালনকারী একজন সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার সমূতুল্য। পরবর্তীতে ফোর্সসহ মধুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত ক্রেতা বিক্রেতাসহ হাট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা লোকজনকে সরিয়ে দেন। এসময় হাটে আগত ব্যাপারীদের মিনি ট্রাক ও পিকআপ যোগে তাদের গরু নিয়ে চলে যেতে দেখা যায়। তারা ক্ষুদ্ধতার সাথে বলেন রবিবার হাট পরিচালনা নিয়ে সুবিধাবাদীদের রোষালনে যে আর্থিক ক্ষতি তাদের হলো তা কে পূরণ করবে। স্থানীয় লোকজনসহ ক্রেতা বিক্রেতারাও ঐতিহ্যবাসী হাটটি বন্ধ করে দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।