সোমবার- ১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৭ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ঈশ্বরদীতে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শোক র‍্যালী

ঈশ্বরদীতে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শোক র‍্যালী

স্টাফ রিপোর্টার মোঃ রাকিব বিশ্বাস; পাবনার ঈশ্বরদীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ঈশ্বরদীতে বিশাল শোক র‍্যালি বের করা হয়।মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট)পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শাকিবুর রহমান শরীফ কনক বলেন, ১৫ আগস্ট সারাবিশ্বের শোষিত, বঞ্চিত মানুষের নেতা জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এহত্যাকান্ডের সময় জিয়াউর রহমান সেনা কর্মকর্তা ছিলেন। তার নির্দেশে এ হত্যাকান্ড হয়েছে। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান দেশের ক্ষমতা দখল করে শত শত আওয়ামী লীগ নেতা ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের বিনা বিচারে হত্যা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর যেসব খুনি এখনো পলাতক রয়েছেন তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে হত্যার রায় কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি।:৩০মিনিটের সময় ঈশ্বরদী খায়রুজ্জামান বাবু বাসটার্মিনাল থেকে এই শোক র‍্যালি শুরু হয়ে শহরের প্রধান ১ নং গেট সংলগ্ন হয়ে সড়ক প্রদণি শেষে আমবাগান পুলিশ ফাঁড়ি মাঠে শেষ হয়। এতে আওয়ামী লীগসহ দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী কালো রংয়ের ব্যানার ফেষ্টুনসহ শোক মিছিলে অংশগ্রহণ করেন।
শোক র‍্যালীর আগে খায়রুজ্জামান বাবু বাসটার্মিনালে সংক্ষিপ্ত পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র ইছাহক আলী মালিথার সভাপতিত্বে পথসভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম লিটন, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শাকিবুর রহমান শরীফ কনক, ঈশ্বরদী শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি ও পৌর আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বাচ্চু, ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি আসাদুজ্জামান বীরু, পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হামিদুর রহমান, লীকুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনিসুল হক মোল্লা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল আলম, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবিনা ইয়াসমিন, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম লিটন, উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহানা পারভীন রুনা
শোক র‍্যালীতে উপস্থিত ছিলেন ঈশ্বরদী ট্রাক চালক সমিতির সভাপতি ও পৌর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজাহার আলী মালিথা, আওয়ামী লীগ নেতা সফিকুল ইসলাম মুকুল,প্রকৌশলী কবিরুল ইসলাম, এনামুল হক, উপজেলা যুবলীগ নেতা মিলন চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আরমান, পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ হাসান, মুলাডুলি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি খন্দকার মিলন, সলিমপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান স্বপন, যুবলীগ নেতা আব্দুল হান্নান রবিন মালিথা আরো অঙ্গসংগঠন উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন,১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার পর জেনারেল জিয়াসহ তার পরিবার ও আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় পাকিস্তানী দোষররা বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল, এই দেশকে মিনি পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিলো। কিন্তু আল্লাহু রহমতের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের  সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে এসে ১৯৮১ সালের ১৭ মে আওয়ামীলীগের হাল ধরে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়ে আজ দল এবং দেশকে এ পর্যায়ে নিয়ে আসতে  পেরেছেন । তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের যে অগ্রযাত্রা ও উন্নতি হচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতার যে আদর্শ
এই দেশকে একটি পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া, তাঁর কন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার হাত ধরেই আজকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শাকিবুর রহমান শরীফ কনক বলেন, ১৫ আগস্ট সারাবিশ্বের শোষিত, বঞ্চিত মানুষের নেতা জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এহত্যাকান্ডের সময় জিয়াউর রহমান সেনা কর্মকর্তা ছিলেন। তার নির্দেশে এ হত্যাকান্ড হয়েছে। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান দেশের ক্ষমতা দখল করে শত শত আওয়ামী লীগ নেতা ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের বিনা বিচারে হত্যা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর যেসব খুনি এখনো পলাতক রয়েছেন তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে হত্যার রায় কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি।

২০ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS