সোমবার- ১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৭ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আদিতমারীতে জীবন্ত পুঁতে রাখার এক বছর পর মরদেহ উদ্ধার

আদিতমারীতে জীবন্ত পুঁতে রাখার এক বছর পর মরদেহ উদ্ধার

লালমনিরহাট প্রতিনিধি। লালমনিরহাটে বিমাতা ভাইয়ের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে জীবন্ত পুঁতে রাখার এক বছর পর আলমগীর হোসেন নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার আদিতমারী উপজেলার পলাশি ইউনিয়নের পশ্চিম রামদেব গ্রাম থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃত আলমগীর হোসেন জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের সিরাজুল মার্কেট এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আলমগীরের মায়ের জমি জবর দখল করে ভোগ করছিল তার বিমাতা ভাই খেলান উদ্দিন ও আব্দুস সাত্তার। যা নিয়ে বিমাতা ভাইদের মাঝে মনোমালিন্য চলছিল। এরই জের ধরে বিমাতা ভাই আলমগীরকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে খেলান উদ্দিন ও আব্দুস সাত্তার।পরিকল্পনা অনুযায়ী গত বছরের ১৩ আগস্ট সন্ধ্যায় আলমগীরকে কৌশলে ডেকে নিয়ে আদিতমারি উপজেলার পশ্চিম রামদেব গ্রামে নিয়ে আসেন বিমাতা ভাই খেলান, আব্দুস সাত্তার এবং সাত্তারের ভায়রা (শ্যালিকার স্বামী) পাবনার রাশেদুল ইসলাম ওরফে রাশেদ ড্রাইভার।
এরপর পশ্চিম রামদেব গ্রামের আশরাফ আলী চোর ও সেকেন্দার আলীর হাতে তাকে ন্যস্ত করেন তারা। সেখানে আলমগীরকে কোলড্রিংসের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে অচেতন করানো হয়। তিনি অচেতন হয়ে পড়লে রামদেব গ্রামে আশরাফ চোর ও সেকেন্দার আলীর বাড়ির পেছনে একটি বাঁশ ঝাড়ের গর্তে তাকে জীবন্ত পুঁতে রাখে চক্রটি।
এদিকে, আলমগীরের কোনো খোঁজ না পেয়ে তার পরিবার কালীগঞ্জ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এর দুই মাস পরে একে একে খেলান উদ্দিন ও আব্দুস সাত্তার মারা যান।সাম্প্রতি সাত্তারের ভায়রা পাবনার রাশেদুল ড্রাইভার নিখোঁজ আলমগীরের পরিবারকে ফোন করে হত্যার ঘটনাটি প্রকাশ করেন। অবশেষে এ ঘটনায় নিহত আলমগীরের আপন ভাই সাদ্দাম হোসেন বাদি হয়ে লালমনিরহাট আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নুরুজ্জামান পাবনার রাশেদুল ড্রাইভার এবং আদিতমারীর রামদেবের আশরাফ চোর ও সেকেন্দার আলীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা ঘটনার সত্যতা শিকার করেন।
আটককৃত রাশেদ ড্রাইভারের দেওয়া তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার দুপুরে রামদেব গ্রামে বাঁশ ঝাড়ে গর্ত খুঁড়ে আলমগীর হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে কালীগঞ্জ পুলিশ। বিকেলে লালমনিরহাট পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত আদিতমারী থানার ওসি মোজাম্মেল হক বলেন, আটককৃতদের দেওয়া তথ্যমতে, গর্ত খুঁড়ে মৃত ব্যক্তির কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে। এটি লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
২২২ বার ভিউ হয়েছে
0Shares