শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ফুলবাড়ীতে পোড়া সালের জাল দলিল সৃষ্টিকারীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

ফুলবাড়ীতে পোড়া সালের জাল দলিল সৃষ্টিকারীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি ; দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে পোড়া সালের জাল দলিল সৃষ্টিকারী মোস্তাফিজুর রহমান দুলাল এর বিরুদ্ধে ফুলবাড়ী থানা প্রেসক্লাবে বিভিন্ন অনিয়ম দূর্নীতি তুলে ধরে তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন মোঃ দুলাল হোসেন। গতকাল বৃহ:স্পতিবার দুপুর ১২টায় ফুলবাড়ী থানা প্রেসক্লাবে মোস্তাফিজুর রহমান দুলাল এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে চাকুরী দেওয়ার নাম করে টাকা আত্মসাত, স্বাধীনতার যুদ্ধের পর পোড়া দলিল সৃষ্টি করে জাল দলিল তৈরি সহ নানাবিধ অপকর্ম, দূর্নীতি তথ্য তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে মোঃ দুলাল হোসেন লিখিত অভিযোগ তুলে বলেন খাজাপুর গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিন প্রমানিক এর পুত্র মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান দুলাল পাওয়ার অফ এ্যাটনি দলিল নং-১৪৬৬, তারিখ- ১৯/০৩/২০১৫, উক্ত পাওয়ার অফ এ্যাটনি দলিলের মুলে হেবার ঘোষণা দলিল নং-১৫৮৩/২৯-০৩-২০১৫ এ্যাটনি আইন ৩৫ ধারা ১৪ এর প্রদত্ত ক্ষমতা বলে উক্ত ব্যক্তি পাওয়ার অফ এ্যাটনি দলিলে মাধ্যমে হেবার ঘোষণা দলিল করিতে পারিবেনা মর্মে আইনে সুস্পষ্ট রহিয়াছে। মোস্তাফিজুর রহমান দুলাল ফুলবাড়ী উপজেলার গণিপুর মৌজার জে.এল নং-৮, খতিয়ান নং-২০০, দাগ নং- ৩০৮২, পরিমাণ-১ একর ৮২, পার্বতীপুর, জে.এল নং-১২, খতিয়ান নং-৭৪, দাগ নং-৪১৮, পরিমান ৩ একর ১৪ শতক এর মধ্যে ১ একর ৫৯ শতক, মৌজা পার্বতীপুর, জে.এল নং-১২, খতিয়ান নং-৩৫, দাগ নং- ৪০৯, পরিমান- ৮১ শতক, যাহা হোল্ডিং নং-২৩৭, ২৬৭, ঐ জমির মালিক ফাবাসসিরিন ও মনোয়ারা খাতুন। যাহার হোল্ডিং নং বর্তমান চলমান রহিয়াছে। পার্বতীপুর থানার বানিহারি মৌজার জে.এল নং-৯৯, খতিয়ান নং-৬৫, দাগ নং-৩৮৮, আরএস খতিয়ান ২০০, দাগ নং- ১৮৬, পরিমান ২ একর ৮৭। উক্ত সম্পত্তি ফুলবাড়ী থানা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে ১৯৬৪ হইতে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পোড়াসালের দলিল সৃষ্টি করেছেন। দলিল নং-২১৮৫/০৩-০২-১৯৬৪। দলিল নং- ২৬২০/০৩-০৩-১৯৬৯ ইং, দলিল নং- ২১৬/৩০.০১.১৯৬৯ উক্ত সালের পোড়া দলিলের মাধ্যমে ফুলবাড়ী সহকারী জজ আদালতে মিথ্যা মামলা করেন। নং- ২০৮/২০২১ অন্য, মামলা নং- ৭২/২০১৭ অন্য, বিজ্ঞ সিনিয়র জর্জ আদালত দিনাজপুর, মামলা নং- ১২৪/২০১৮ অন্য, ফুলবাড়ী সহকারী জজ আদালত দিনাজপুর, মামলা নং- ২৬৭/২০২১ অন্য ফুলবাড়ী সহকারী জজ আদাল দিনাজপুর। এই মামলাগুলি বাদী হিসেবে মোস্তাফিজুর রহমান দুলাল ও তাহার স্ত্রী ফাতেমা রহমান লিপি, সাধারণ মানুষকে হয়রানি করিয়া সম্পত্তি কাড়িয়া নেয়ার একটি অপকৌশল করছেন। এছাড়া পূর্ব রাজারামপুর গ্রামের মৃত বছির উদ্দিনের পুত্র মোঃ হাবিবুর রহমান, তেতুলিয়া গ্রামের আব্দুর রশিদ খন্দকারের পুত্র সাজু খন্দকার, চকচকা গ্রামের মৃত আকতার হোসেনর স্ত্রী মোছাঃ সাবিনা ইয়াসমিন, এই ৩ জনকে সেনাবাহিনী পুলিশ ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে মোট ২৩ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেন এবং চাকুরী দিতে না পারলে সমুদয় টাকা ফেরৎ দিবেন মর্মে ২৫/০২/২০১৮ ইং তারিখে ৩০০/- টাকার নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে দেন। কিন্তু তাদেরকে কোন চাকুরী বা টাকা ফেরত দেন নাই বলে সংবাদ সমম্মেলনে উল্লেখ করেন। সংবাদ সম্মেলনে আরো উল্লেখ করেন, চেক জালিয়াতির দায়ে তার বিরুদ্ধে ফুলবাড়ী থানায় ওয়ারেন্ট রয়েছে। তাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ম্স্তোাফিজুর রহমান দুলালের বিরুদ্ধে সম্পত্তি জাল দলিল, ও বিভিন্ন জাল দলিল সৃষ্টি করে মানুষকে হয়রানি করতে না পারে এবং তার বিরুদ্ধে প্রশাসন যাতে আইনগত ব্যবস্থা নেয় সেই জন্যে ভুক্তভোগী মোঃ দুলাল হোসেন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তার বিভিন্ন অপকর্ম তুলে ধরে বিচারের দাবী জানান প্রশাসনের কাছে। এ সময় ভুক্তভোগীগণ উপস্থিত ছিলেন।

২৫০ বার ভিউ হয়েছে
0Shares