শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রথম স্ত্রী’র স্বজনদের ভোটে মেম্বার হয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দেয়ার অভিযোগ 

প্রথম স্ত্রী’র স্বজনদের ভোটে মেম্বার হয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দেয়ার অভিযোগ 

পটুয়াখালী প্রতিনিধি।।পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলায় ১৭’জুলাই অনুষ্ঠিত শ্রীরামপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে  দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দেয়ার শর্তে প্রথম স্ত্রীর আত্মীয় স্বজনরা ভোট  দিয়েছেন। এতে নির্বাচিত হয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী নার্গিস বেগমকে তালাক দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য মো. নাসির উদ্দিন মৃধার বিরুদ্ধে। এসময় ওই গৃহবধূর হাত-পা বেঁধে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে । এঘটনায় দুমকি থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
সোমবার (১৮ জুলাই) রাতে উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের দুমকী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত নব-নির্বাচিত ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন মৃধা দুমকি উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের দুমকী গ্রামের মো.সফিজ উদ্দিন মৃধার ছেলে। সে দুমকী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক এবং শ্রীরামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। তার প্রথম স্ত্রী মোসাঃ নাসিমা বেগম একই প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষিকা। তালাক হওয়া নার্গিস বেগমের বাবার বাড়ি বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ  উপজেলার কলসকাঠি ইউনিয়নের আমিনপুর গ্রামে। সে দুমকি উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে চাকরি করেন।
মোসা. নার্গিস বেগম  বলেন, মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার পরে বাড়িতে এসে হাত-পা বেঁধে মারধর করা হয়েছে। এক পর্যায়ে তালাক দেয়ি বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে আমাকে ।  এছাড়াও আমার ২২মাস বয়সী কন্যা সন্তানকে আটকে রেখেছে নাসির উদ্দিন । সন্তান ফিরে পেতে দুমকি থানায় গিয়ে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। কেন মারধর এবং তালাক দিয়েছেন ইউপি সদস্য এবিষয়ে কথা বলতে রাজিনা নার্গিস বেগম।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৬ বছর আগে উপজেলার দুমকি ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের বাদশা প্যাদার সাথে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয় মোসাঃ নার্গিস বেগমের।  পরে দুমকি ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক নাসির উদ্দিন মৃধারা সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন  নার্গিস । একটি কন্যা সন্তান রেখে বাদশা প্যাদাকে তালাক দিয়ে আড়াই বছর আগে নাসির উদ্দিন মৃধাকে বিয়ে করেন নার্গিস । তখন নাসির উদ্দিনের প্রথম স্ত্রী নাসিমা বেগম মেনে নিলেও ইউপি সদস্য হিসেবে নির্বাচনে দাড়ালে বাদে বিপত্তি। তার স্বজন ও প্রথম স্ত্রী নাসিমা বেগমের আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে নাসির উদ্দিনের কাছে আপত্তি করেন  দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দিতে হবে, না হলে তারা ভোট দিবেনা। এসময় নাসির উদ্দিন তাদের সাথে ওয়াদা করেন সে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হলে দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দিবেন। এতে নির্বাচিত হওয়ার পরদিনই সে দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালিক দিয়েছেন বলে দাবি স্থানীয়দের।
শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য  নাসির মৃধা বলেন, তাকে জোরপূর্বক তালাক দেওয়া হয়নি। তার সম্মতিক্রমে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে তালাক হয়েছে।
এবিষয়ে দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  তারেক মো. হান্নান বলেন, আমি আজকে নতুন যোগদান করেছি। এবিষয়ে থানায় অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এবিষয়ে দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল ইমরান বলেন, তাদের কাছে থেকে শুনে বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করবো। আর না হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।###
১১৪ বার ভিউ হয়েছে
0Shares