মঙ্গলবার- ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
রাজশাহীর বাগমারায় টাকার দাবিতে এক তরুণকে অপহরণ

রাজশাহীর বাগমারায় টাকার দাবিতে এক তরুণকে অপহরণ

কাজী এনায়েত উল্লাহ, রাজশাহী অফিস:

রাজশাহী জেলার বাগমারায় টাকার দাবিতে এক তরুণকে অপহরণ করে নির্যাতন করার অভিযোগে ৪জন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তাঁদের কাছ থেকে দুইটি মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার হওয়া যুবকরা হলো উপজেলার উপজেলার দেউলা গ্রামের মাসুদ রানা (৩০), মিঠু হোসেন (৩২), উত্তর একডালা গ্রামের নাহিদ হাসান (২৫) ও যাত্রাগাছি গ্রামের সিজার মাহমুদ (২২)। গ্রেপ্তার হওয়া চারজনকে শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপহরণ করে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে জহুরুল ইসলাম বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৯ জুন) রাতে উপজেলার কসবা মোড় এলাকা থেকে হৃদয় হোসেন (২২) নামের এক তরুণকে চার যুবক অপহরণ করেন। ভবানীগঞ্জ সিএনসি স্ট্যান্ড এলাকার একটি ঘরে নিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন অপহরণকারীরা।

এ সময় তরুণের কাছ থেকে একটি মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। তার বিকাশ হিসাবের গোপন নম্বর সংগ্রহ করে একজন এজেন্টের মাধ্যমে ১৫ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়। পরে যুবকের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। টাকা পরিশোধ না করলে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। কাছে টাকা না থাকায় তার মুঠোফোন দিয়ে স্বজনদের কাছে ফোন করে টাকা চাওয়া হয়। এক পর্যায়ে দরদাম করে ৪০ হাজার টাকায় তরুণকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন অপহরণকারীরা।

রাতেই পরিবার থেকে বাগমারা থানাকে জানানো হলে পুলিশ তরুণকে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালায়। গভীর রাতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভবানীগঞ্জ সিএনজি স্ট্যান্ডের একটি কক্ষ থেকে পুলিশ অক্ষত অবস্থায় হৃদয়কে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এসময় এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৪ জনকে আটক করে পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে নগদ ১৫ হাজার টাকা ও অপহরণ কাজে ব্যবহার করা তিনটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

এ বিষয়ে তরুণের বাবা জহুরুল ইসলাম বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে শনিবার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

স্থানীয় একাধিক সূত্র ও গ্রেপ্তার হওয়া যুবকদের স্বজনদের ভাষ্য অনুসারে অনলাইনে জুয়া খেলার টাকা নিয়ে হৃদয়ের সঙ্গে বিরোধের সৃষ্টি হয়। তাঁরা পাওয়া টাকার জন্য হৃদয়কে তুলে নিয়ে এসেছিল। গ্রেপ্তার হওয়া যুবকেরা এলাকায় বখাটে বলে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুর আলম বলেন, মামলার পর গ্রেপ্তারকৃত ৪ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কী কারণে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

৩৩ বার ভিউ হয়েছে
0Shares