শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সুবর্নচরে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মাদরাসা ছাত্রীকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে আটকিয়ে রেখে ধর্ষণ

সুবর্নচরে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মাদরাসা ছাত্রীকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে আটকিয়ে রেখে ধর্ষণ

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম শায়েস্তানগরী ,নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় রং নম্বর পরিচয়ের পর প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক মাদরাসা ছাত্রীকে (১৯) জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে আটকিয়ে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে চরজব্বর থানায় মামলা করেছে ভূক্তভোগী মাদরাসা ছাত্রী।

সোমবার (৮ মে) নির্যাতিতা তরুণী নিজে বাদী হয়ে অভিযুক্ত যুবক জেলার সদর উপজেলার নেওয়াজপুর ইউনিয়নর প‚র্ব সাহাপুর গ্রামের হাজী মজিবুল হকের ছেলে নাজিমুল হক প্রকাশ সুমন (২৬)। তার বোন রুমি আক্তার (২৩) ও উপজেলার লক্ষীনারায়নপুর গ্রামের মোঃ শাহীনের স্ত্রী খালা মর্জিনা আক্তার (৪৩) নাম উল্লেখ্য সহ অজ্ঞাত আরো ৩-৪জনকে অজ্ঞাত আসামি করে চরজব্বর থানায় নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলা ও ভুক্তভোগীর পরিবার স‚ত্রে জানা যায়,ভিকটিম উপজেলার স্থানীয় একটি ফাজিল মাদরাসার আলিম দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। গত চার মাস আগে তার ব্যবহৃত নম্বর থেকে তার একজন সহপাঠিকে কল দেওয়ার সময় একটি নম্বর ভুল হয়ে নাজিমুল হক সুমনের (২৬) মুঠোফোনে কল চলে যায়। পরবর্তীতে সুমন তাকে প্রতিনিয়ত কল করত। এরপর সুমন ভিকটিমকে প্রেমের প্রস্তাব সহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখায়। ভিকটিম তার প্রস্তাবে রাজি না হলে, সে শুধুমাত্র ভিকটিমের সাথে একবার দেখা করার অনুরোধ করে। ভিকটিম তার কথা বিশ্বাস করে দেখা করার প্রস্তাবে রাজি হয়। এক পর্যায়ে গত ২৯ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সুমন অজ্ঞাত আসামিদের সহযোগীতায় প‚র্বপরিকল্পিত ভাবে ভিকটিম মাদরাসায় যাওয়ার পথে তাকে জোরপ‚র্বক অপহরণ করে তুলে নিয়ে জেলা শহর মাইজদীতে নিয়ে যায়। ওই সময় সুমন ভিকটিমকে সদর উপজেলার লক্ষীনারায়নপুর গ্রামের ইসমাইলা মিয়া চৌকিদার বাড়ির তার খালা মর্জিনা আক্তারের ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে রুমি আক্তার ও মর্জিনা আক্তারের সহযোগীতায় ভিকটিমকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করে সুমন এবং ভিকটিমকে তাদের বসত ঘরে আটকে রাখে। ভিকটিম গত রোববার ৭ মে ভোরে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য উঠলে, একটি মোবাইল দেখে কৌশলে তার ভাইয়ের মুঠোফোনে খুদে বার্তা (ম্যাসেজ) দিয়ে সংক্ষেপে ঘটনার বিষয়ে জানিয়ে ঘটনাস্থলের নাম লিখে দেয়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা সবাই পালিয়ে যায়।

চরজব্বর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেব প্রিয় দাশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে।

৮১ বার ভিউ হয়েছে
0Shares