বুধবার- ২২শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ফেনীতে আওয়ামী লীগ নেতা কর্তৃক প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ, অতঃপর বিয়ে

ফেনীতে আওয়ামী লীগ নেতা কর্তৃক প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ, অতঃপর বিয়ে

ফেনী সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নের অলিপুর গ্রামের এক প্রতিবন্ধী নারী (৩৫)-কে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মাহবুব হোসেন (৬৩)-এর বিরুদ্ধে। এরপর বাধ্য হয়েই গতকাল সোমবার রাতে ওই নারীকে বিয়ে করেন তিনি। মাহবুবের এক স্ত্রী ও ৩ ছেলে-মেয়ে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিবন্ধী নারীকে সরকারি অনুদানের সহায়তা দেওয়ার সময় তার সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে। তাকে প্রতিবন্ধী কার্ডসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা দিতেন মাহবুব। এ সুযোগে তার ঘরে গিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করতো। সর্বশেষ রোববার দুপুরে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে গেলে বাড়ির লোকজন দেখে ফেলে। বাড়ির লোকজন প্রতিবন্ধী নারীকে জিজ্ঞেস করলে সে দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা খুলে বলে। পরবর্তীতে সে বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানায়। ওই প্রতিবন্ধী মহিলা তার বাবার বাড়িতে থাকে। তার ছেলে সন্তান মা-বাবা কেউ নেই। মানুষের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে চলে।

ধলিয়া ইউনিয়নের কাজীর প্রতিনিধি আজিজুল হক জানান, দেড় লাখ টাকার মোহরানায় বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে উসুল ধরা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। মাহবুবের বউয়ের সম্মতিতে বিয়ে হয়েছে।
আজিজ আরও বলেন, আমি নিজে গিয়ে মাহবুবের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। আমার সঙ্গে সাক্ষীও ছিল। কিন্তু লিখিত নেওয়ার বিধান থাকলেও সে পরিস্থিতি না থাকায় লিখিত নিতে পারিনি। পরে লিখিত নিব। বিয়ে হয়েছে মাহবুবদের বাড়ির তৃতীয় পক্ষের একটি ঘরে। আমি যতক্ষণ ছিলাম, ততক্ষণ ওই নারীকে মাহবুবদের ঘরে নেওয়া হয়নি।
ধলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আহম্মদ মুনশী বলেন, এ ঘটনায় মৌখিকভাবে মাহবুবকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রতিবন্ধী নারী বিষয়টি নিয়ে আমার কাছে এসেছেন, আমি বিচার পাওয়ার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছি।ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুর রহীম সরকার জানান, এ ব্যাপারে  লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১০৭ বার ভিউ হয়েছে
0Shares