মঙ্গলবার- ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
রাণীশংকৈলে পুনরায় স্থলবন্দর চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও লংমার্চ এলাকাবাসীর 

রাণীশংকৈলে পুনরায় স্থলবন্দর চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও লংমার্চ এলাকাবাসীর 

মাহাবুব আলম, রাণীশংকৈল ঠাকুরগাঁও  প্রতিনিধি।। ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড় ইউনিয়নে পাকিস্তান সময়ের ১৯৫৮-৬৫ সালে ধর্মগড়-দেবীগঞ্জ স্থলবন্দরটি পুনরায় চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও লংমার্চ কর্মসূচি পালন করেছে স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ধর্মগড়-দেবীগঞ্জ স্থলবন্দর বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে উপজেলার চেকপোস্ট, কাউন্সিল বাজারে এটি চালুর দাবিতে বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে নিয়ে ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন করা হয়েছে।
এসময় ধর্মগড়-দেবিগঞ্জ স্থলবন্দর বাস্তবায়ন সম্পর্কিত কমিটির আহ্বায়ক সফিকুল ইসলাম মুকুলের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন উপজেলা আ’লীগ সভাপতি সইদুল হক, পৌর মেয়র আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান,বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মেহেদী হাসান শুভ,পৌর আ’লীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম সরকার,
ধর্মগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কাশেম, ধর্মগড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু হানিফ, লক্ষীরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোকসেদ মাস্টার সহ আরো অনেকে৷
মানববন্ধনে ধর্মগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, ‘পাকিস্তান আমলে আমাদের এখানে চেকপোস্ট ও স্থলবন্দর চালু ছিল দীর্ঘ দিন। কিন্তু ৭১ এর পরে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। তাই এটিকে পুনরায় চালু কারার দাবিতে আমরা মানববন্ধন ও লংমার্চ কর্মসূচিতে নেমেছি। সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ও এলাকাবাসী উন্নয়নের কথা চিন্তা করে আবার এটিকে চালু করার দাবি জানাচ্ছি।
ধর্মগড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান স্থলবন্দর বাস্তবায়ন সম্পর্কিত কমিটির আহব্বায়ক সফিকুল ইসলাম মুকুল বলেন ‘যেহেতু আমাদের এখানে চেকপোস্ট ও স্থলবন্দর চালু ছিল সেহেতু এটি আমাদের শুধু দাবি নয় এটা আমাদের প্রাপ্য। এটি আমাদের এলাকা বাসীর প্রাণের দাবি। তাই সরকারকে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে এটিকে চালু করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মেহেদী হাসান শুভ বলেন, ১৯৫৮ সালে যখন এখানে চেকপোস্ট ও স্থলবন্দর চালু ছিল তখন এখানকার ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ছিল। বর্তমানে প্রতিবছর এখানে ৩৭৩ ও ৩৭৪ নং পিলারের কাছে দুই দেশের মানুষের মিলন মেলা বসে। এপার ওপার বাংলার লাখ লাখ মানুষ এই মেলা অংশ নেন।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ আইন, ২০০১ এর ৩ ধারা ও কাস্টমস আইন, ১৯৬৯ এর ৯ ধারার আইন প্রয়োগের মাধ্যমে আবার এই বন্দরটিকে চালু করে তাহলে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ শির উঁচু করে দাঁড়াবে এবং এটি চালু হলে দেশের এলাকার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা বাণিজ্যের অনেক উন্নয়ন হবে। তাই স্থানীয় প্রশাসনসহ সরকারে স্থলবন্দরটি পুনরায় চালু করা অনুরোধ ও দাবি করছি।,
এছাড়াও স্থল বন্দর চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও লংমার্চ কর্মসূচি হিসেবে দুপুরে রাণীশংকৈল উপজেলা পরিষদের সামনেও তারা মানববন্ধন করেন।এসময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল হক, মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল কাদের,পৌর আঃলীগ সভাপতি  জাহাঙ্গীর আলম সরকার, প্রেসক্লাব সভাপতি ফারুক আহাম্মদ সরকার পরে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবরের স্মারকলিপি প্রদান করেন।
রাণীশংকৈল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল সুলতান জুলকারনাইন কবির স্টিভ বলেন, বন্দর চালুর বিষয়ে স্মারকলিপি পেয়েছি। আমি এটি চালুর বিষয়ে উর্ধ্বতন দপ্তরের নিকট প্রেরণ করবো। এটি হলে রাণীশংকৈলের জীবনযাত্রার মান বদলে যাবে।
৪৫ বার ভিউ হয়েছে
0Shares