সোমবার- ১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৭ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
রাণীশংকৈলে ইউপি নির্বাচনে পুলিশের গুলিতে শিশু নিহতের তিন সদস্য কমিটি গঠন 

রাণীশংকৈলে ইউপি নির্বাচনে পুলিশের গুলিতে শিশু নিহতের তিন সদস্য কমিটি গঠন 

মাহাবুব আলম, রানীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি।। ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় ইউপি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ ও ফলাফল গণনা শেষে সাধারণ সদস্য পদে প্রার্থীদের পক্ষের উত্তেজনার জেরে সৃষ্ট সহিংসতার ঘটনায় পুলিশের গুলিতে সুরাইয়া আক্তার ১৮ মাস নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে রানীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের টেকিয়া মহেশপুর ভি এফ নিম্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।নিহত শিশু রাণীশংকৈল উপজেলার মীরডাঙ্গী দিঘির পাড় গ্রামের বাদশা আলমের তৃতীয় সন্তান।
এ বিষয় নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ও ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপার এবং এঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট  একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক। নিহত শিশুটির চাচা মাসুম পারভেজ বলেন, ‘আমার ভাইয়ের বউ তার ছোট মেয়েটিকে নিয়ে বাড়ির বাইরে ছিল। মেয়েটি তার কোলে ছিল। সেখানেই পুলিশের গুলিতে ভাজতির মৃত্যু হয়।’নিহত শিশুটির মা মিনারা বেগম বলেন, ‘আমি আমার মেয়েকে নিয়ে ভোটের ফলাফল শুনার  জন্য ভোট কেন্দ্রের বাড়ির পাশের গলিতে দাড়াই ছিলাম। একটু পর পুলিশের গুলি আমার মেয়ের মাথায় এসে লাগে। আর মাথার খুলি ছিন্ন বিছিন্ন হয়ে যায়।
ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, নির্বাচন কেন্দ্রের ফলাফল শেষে যখন তারা কেন্দ্র ত্যাগ করছিলো তখন পরাজিত মেম্বার প্রার্থীদের থেকে আমাদের মোবাইল টিম ও সদর সার্কেলের উপর অ্যাটাক করে। কিছু সময় অতিক্রম হওয়ার পর পরিস্থিতি আরো অস্বাভাবিক হয়ে যায়। আমাদের সদস্যদের উপর তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা শুরু করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠি চার্জ করে। এতে পরিবেশ আরো বেশী খারাপ হওয়ায় জান-মালের রক্ষার্থে পুলিশ  রাবার বুলেট ছোড়ে। আমাদের দুইজন পুলিশ সদস্য আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনায়  ১৮ মাস বয়সী শিশু মারা যায়। আসলে কীভাবে মারা গেল- এটি এখনো জানা যায়নি। এটির জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আজ ২৮ জুলাই  নিহত শিশুটির মরদেহটি পোষ্ট মোর্টেমের পর দাফন কার্য সম্পন্ন করা হয়েছে। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, বিষয়টি আসলে দুখঃজনক। সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আমরা তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। এক সপ্তাহের মধ্যে তারা তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবেন। আর শোক সন্তপ্ত পরিবারকে আমরা ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। সেই সাথে তাদেরকে সকল সরকারি সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে।
৫০ বার ভিউ হয়েছে
0Shares