![কলমাকান্দায় চাল সংগ্রহ আশানরুপ হলেও ,ধান শুন্য কলমাকান্দায় চাল সংগ্রহ আশানরুপ হলেও ,ধান শুন্য](https://spnewsbd.com/wp-content/uploads/2023/02/IMG_20230221_100730.jpg)
কলমাকান্দায় চাল সংগ্রহ আশানরুপ হলেও ,ধান শুন্য
![](https://spnewsbd.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি: নেত্রকোনার কলমাকান্দায় অভ্যন্তরীণ আমন সংগ্রহ ২০২২-২০২৩ এ চাল সংগ্রহ আশানরুপ হলেও কোন ধান সংগ্রহ করতে পারেনি উপজেলা খাদ্য গুদাম।
আমন মৌসুমে কলমাকান্দা উপজেলায় চাল ও ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৮৪৩ মে টন ও ৬৭০ মে টন। এবার আমন মৌসুমে সরকার নির্ধারিত চালের দাম ছিল প্রতি কেজি ৪২ টাকা ও ধানের দাম ছিল প্রতি কেজি ২৮ টাকা। যেখানে গত বোর সংগ্রহের সময় প্রতি কেজি চালের দাম ছিল ৪০ টাকা কেজি ও ধানের দাম ছিল ২৭ টাকা কেজি।
কলমাকান্দা উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল আলম জানান, উপজেলা খাদ্য গুদামে এবার আমন মৌসুমে আশানরুপ চাল সংগ্রহ হয়েছে। আমাদের ৮৪৩ মে টন চালের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ইতিমধ্যে ৭১০ মে টন চাল সংগ্রহ সম্পন্ন হয়েছে।যা লক্ষ্যমাত্রার ৮৪.২২ শতাংশ। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি সংগ্রহের সময় শেষ হবে। উক্ত সময়ের মধ্যে শতভাগ সংগ্রহ হবে আশা করা হচ্ছে। তবে এই আমন মৌসুমে কৃষকেরা গুদামে ধান নিয়ে না আসায় কোন ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।
কলমাকান্দা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাওসার আহমেদ জানান, এবার আমন মৌসুমে সংগ্রহ অভিযানকে সফল করার লক্ষে মিলার ও কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। যার ফলে আশানরুপ চাল সগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু মৌসুমের শুরু থেকেই বাজারে ধানের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় জন্য কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।
অজন্তা অটো রাইস মিলস লিঃ এর চেয়ারম্যান অজন্তা রায় জানান, মৌসুমের শুরু থেকেই ধানের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। ফলে সরকারের সাথে চুক্তিকৃত চাল সরবরাহ করতে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। তবে ইতিমধ্যে নব্বই শতাংশ চাল সরবরাহ করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাকি চাল সরবরাহ করার চেষ্টা করা হবে।
কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এবার ফলন খুবই ভাল হয়েছে। শুরু থেকে ধানের বাজারও ভাল ছিল। গুদামের থেকে বাইরে বাজার বেশি হওয়ার কারনে গুদামে ধান বিক্রিতে তাদের কোন আগ্রহ নেই।
এছাড়া যেখানে বাইরের বাজারে কিছুটা দুর্বল ধান আনায়াসে বিক্রি করা যায় সেখানে গুদামে বেছে বেছে ধান কেনায় নানা ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয়। অনেক কৃষকই ব্যাংকিং ব্যবস্থা না বুঝার ফলেও ব্যাংকের মাধ্যমে বিল দেয়ার কারনে কৃষকরা গুদামে ধান দিতে আগ্রহী নয়।