শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তানোরে খাস জায়গার বাঁশঝাড় ও শতবর্ষ গাছ কেটে সাবাড় 

তানোরে খাস জায়গার বাঁশঝাড় ও শতবর্ষ গাছ কেটে সাবাড় 

তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে সরকারি খাস জায়গার বাঁশ ঝাড় ও পুকুর পাড়ের শতবর্ষী গাছ কেটে সাবাড় করার অভিযোগ উঠেছে ভূমিদস্যু মকবুল হোসেন ও হারেচ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এতে করে ঘটনাস্থলে ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে ওয়ার্ড মেম্বার মতিউর রহমান উপস্থিত হয়ে কেটে ফেলে রাখা বাঁশ গুলো জব্দ করেন। এবং ঘটনার সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত আর কোন বাঁশ না কাটা হয় সেজন্যেও নিষেধ করা হয়েছে। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার কামারগাঁ ইউপির কাদিরপুর গ্রামে। এঘটনায় এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে উত্তেজনা ও বইছে ভূমিদস্যু মকবুল হোসেন ও হারেচ উদ্দিনের শাস্তির দাবি।
এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে সরকারি রাস্তার বাঁশ ঝাড় কাটার পাশাপাশি তারা সিংড়া খাস পুকুর পাড়ে থাকা শতবর্ষের ইকোলেক্টার গাছও কেটে সাবাড় করেছেন এই ভূমিদস্যুরা। এতে করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় দিন দিন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এই ভূমিদস্যুরা। বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বাঁশ ঝাড় কাটার ঘটনাটি। সেখানে উপস্থিত মকবুল হোসেন ও হারেচ উদ্দিনের সাথে সরকারি খাস জায়গার বাঁশ ও গাছ কাঁটার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা দম্ভোক্তি দেখিয়ে বলেন, জায়গা সরকারি হলে কি হবে, বাঁশ ও গাছ আমরা লাগিয়েছিলাম। সেই জন্য আমরা কাটছি। এতে করে আপনাদের সমস্যা কথাই, মামলা হোক আর যাই হোক সরকারের সাথে আমরা বুজবো বলে দম্ভোক্তি দেখান তারা।
জানা গেছে, কাদিরপুর মৌজায় ১৩৪ দাগের জমি দিয়ে জনসাধারণের যাতায়াতের রাস্তা ছিলো। কিন্তু ভূমিদস্যু মকবুল হোসেন ও হারেচ উদ্দিন সেই খাস জায়গা নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে দখল করে রেখেছেন। ফলে সেই রাস্তা দিয়ে জনসাধারণ জমির ধান নিয়ে আসা যাওয়া করতে চরম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। তবে মকবুল হোসেন ও হারেচ উদ্দিন প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কোনো প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। যার জন্য দিন দিন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তারা। ওয়ার্ড মেম্বার মতিউর রহমান জানান,বাঁশ কাঁটার কথা চেয়ারম্যানকে অবহিত করলে চেয়ারম্যান তাকে খোঁজ খবর নিয়ে বাঁশ গুলো জব্দ করতে বলেন। তাই তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাঁশ গুলো জব্দ করেন ও বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত বাঁশ কাটা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও পংকজ চন্দ্র দেবনাথের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এবিষয়ে তিনি কোন অভিযোগ পাননি। যদি কেউ অভিযোগ করে তাহলে খোঁজ খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৪২ বার ভিউ হয়েছে
0Shares