শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ডোমারে বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের সন্তানদের মানববন্ধন সহ সংবাদ সম্মেলন

ডোমারে বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের সন্তানদের মানববন্ধন সহ সংবাদ সম্মেলন

রবিউল  হক  রতন  নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডোমারে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তার সন্তানদের গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের জাতীয় পতাকা উত্তোলনে বাধা প্রদান করায় লাঞ্ছিতকারী সদ্য অব্যাহতি প্রাপ্ত উপজেলা আ” লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদকে আজীবনের জন্য বাংলাদেশ আ”লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবীতে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করেছেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্দরা। ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স হলরুমে এক  সংবাদ সম্মেলনে অংশ গ্রহণ করেন নেতৃবৃন্দরা।
বৃহস্পতিবার ৫ মে দুপুর সাড়ে বারোটায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের ব্যানারে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডসহ সর্বস্তরের জনগণ।
উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপজেলার সাবেক ডেপুটি কমান্ডার এমএ কবির দুলুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়ন এর সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার কানু, বীর মুক্তিযোদ্ধা জসিয়ার রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের আহবায়ক আল-আমীন রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক ও ডোমার প্রেসক্লাবের সভাপতি আসাদুজ্জামান চয়ন, সন্তান কমান্ডের সদস্য আজিজুর রহমান নাসিম প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের জাতীয় পতাকাটি সংসদ নির্বাচনে ফ্রিডম পার্টির নির্বাচন কালিন সময় ডোমার উপজেলার নির্বাচন পরিচালনার দ্বায়িত্বে নিয়োজিত সমন্বয়কারী, যুদ্ধাপরাধীর সন্তান ও রাজাকার পুত্র উপজেলা আ”লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদের হাতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন হবে এটা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান  বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানেরা  কখনোই মেনে নিতে পারেনা। রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন করেছি একজন রাজাকারের সন্তানের হাতে পতাকা উত্তোলন করার জন্য। পরিশেষে বক্তারা বাংলাদেশ আ”লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন অবিলম্বে ফ্রিডম পার্টির সাবেক নেতা, যুদ্ধাপরাধীর সন্তান তোফায়েল আহমেদকে সকল পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের দাবী তোলেন। অনতিবিলম্বে তারা আরও কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন।
মাবনবন্ধন অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন উপজেলা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম  সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির রাকিব।
দুপুর দেড়টায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্সের হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কবির দুলু। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট আবেদন জানিয়ে বলেন যে ১৯৭১ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধাগন স্বাধীনতার মহান স্থপতি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের দোসর যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকারদের প্রতিহত করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছেন। তারই যোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের গর্ব, ক্ষমতা থাকাকালীন সময়ে সুপরিকল্পিত ভাবে বাংলাদেশ আ”লীগ ডোমার উপজেলায় অনুপ্রবেশ করে উপজেলা আ”লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত যুদ্ধাপরাধীর সন্তান ও রাজাকার পুত্র তোফায়েল আহমেদ। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের লাঞ্ছিত করে আসছে এবং বিভিন্ন দূর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে সরকারি বেসরকারি জমি দখল চাকুরী দেওয়ার নাম করে টাকা আত্নসাতসহ নানা অপকর্মের সাথে লিপ্ত যাহা ইতিপূর্বে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এরই সূত্র ধরে নীলফামারী জেলা শাখার বিশেষ বর্ধিত সভায় আ”লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করায় ডোমার উপজেলা সাধারণ সম্পাদক পদ ও জেলার সদস্য পদ থেকে নীলফামারী জেলা আ”লীগের সভাপতি /সাধারণ সম্পাদক এর যৌথ স্বাক্ষরে তোফায়েল আহমেদকে অব্যাহতি প্রদান করে। এরই কয়েকদিন পর এক ইফতার মাহফিলে নীলফামারী -২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুরের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে জানা যায় যে, আবারও ঐ ফ্রিডম পার্টির উপজেলা সমন্বয়কারী ও রাজাকার পুত্র তোফায়েল আহমেদকে সাধারণ সম্পাদক পদে পূর্ণবহালের সুপারিশ করে স্ববিরোধী কর্মকান্ড লিপ্ত হওয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ তাদের সন্তানগন তীব্র প্রতিক্রিয়া, ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করছে এবং যারা তোফায়েল আহমেদের পক্ষে বিভিন্ন বক্তব্য ও কর্মকান্ডে সহযোগিতা করছেন তাদের প্রতি নিন্দা প্রকাশ করছি এবং যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকারদের সমর্থন করা থেকে বিরত থাকার আহবান জানাচ্ছি। পরিশেষে তিনি বাংলাদেশে আ”লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন অব্যাহতি প্রাপ্ত ডোমার উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমেদকে স্থায়ী ভাবে এবং আজীবনের জন্য সাধারণ সম্পাদক পদ ও দল থেকে বহিষ্কারসহ উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি প্রদানের দাবী জানাচ্ছি।
১০২ বার ভিউ হয়েছে
0Shares