শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ডোমারে সাংবাদিক দম্পতির বাসায় চুরির ঘটনায় গ্রেফতার

ডোমারে সাংবাদিক দম্পতির বাসায় চুরির ঘটনায় গ্রেফতার

রবিউল হক রতন , ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ  নীলফামারীর ডোমারে সাংবাদিক দম্পতি কাওছার আল হাবীব ও নূরে রোকসানার বাসায় চুরির ঘটনায় মামলার পর বেলাল হোসেন(৩৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে ডোমার থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুপুরে উপজেলার সোনারায় মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
বেলাল হোসেন ডোমার উপজেলার পূর্ব চিকনমাটি হুজুর পাড়ার মৃত আজিজুল ইসলাম ওরফে এসলামের ছেলে।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডোমার থানার উপ পরিদর্শক জামিলুর রহমান।
এস আই জামিলুর রহমান বলেন, বেলালের গতিবিধি ছিল সন্দেহজনক। চুরির ঘটনার পর থেকে বেলাল গা ঢাকা দিয়েছে এবং অবস্থান বার বার পরিবর্তন করেছে। কিছুদিন পুর্বে তার বাড়িতে গিয়ে থানায় আসতে বললে তার স্ত্রী খারাপ আচরণ করেছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ জুন দিবাগত রাতে সাংবাদিক দম্পতি কাওছার আল হাবীব ও নূরে রোকসানার বাসার দরজার লক কেটে রুমে প্রবেশ করে প্রায় ১০ লাখ টাকা, স্বর্ণ অলংকারসহ দামী আসবাবপত্র নিয়ে যায়। এ ঘটনায় অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে ডোমার থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ বাদীর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ও বাড়ির ভাড়াটিয়াসহ স্থানীয় কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদকে সবাই স্বাভাবিকভাবে মেনে নিলেও স্থানীয় বাসিন্দা মুদি দোকানী বেলাল চুরির পর থেকেই পলাতক অবস্থায় থেকে তাকে যেন জিজ্ঞাসাবাদ না করা হয় তার জন্য বিভিন্ন পেশার লোক দিয়ে থানায় একাধিকবার সুপারিশ করেন। অজ্ঞাত নামে মামলা হলেও প্রধান সন্দেহভাজন তালিকায় ছিল পলাতক বেলাল। পুলিশ তাকে আটক করার চেষ্টা করলে পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে বেড়াতেন । গত ঈদুল আযহার সময় তদন্ত কর্মকর্তা ছুটিতে গেলে সে বাড়িতে এসে মামলার পক্ষে কথা বলায় স্থানীয় কয়েকজনকে হুমকী ধামকী প্রদান করে বেলাল ও তার স্ত্রী। ঈদের ছুটি শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অফিসে যোগদান করলে সে আবারও আত্মগোপনে চলে যায়। এলাকায় মাঝে মাঝে দেখা গেলেও অধিকাংশ সময়েই আত্বগোপনে থাকেন।
মামলার বাদী কহিনুর বেগম বলেন, আমরা মামলা করেছি অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে। কিন্তু মামলার পর থেকেই বেলাল বিভিন্ন লোক দিয়ে আমাকে এবং আমার ছেলেকে ফোন দিয়েছে যাতে তার নাম উল্লেখ না করি । এছাড়াও আমার বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনকেও ফোন দিয়েছে যাতে বেলালকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ না করে। অন্যদিকে স্থানীয় মেম্বার, রাজনৈতিক নেতাসহ বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে ফোন দিয়ে থানায় হস্তক্ষেপ করেছে। আমার কথা সে যদি জড়িত না থাকে তাহলে এতো কিছু করবেই বা কেন আর পালাতক থাকবেনই বা কেন। আমরা চাই না কোন নির্দোষ লোক হয়রানির শিকার হোক। জড়িত যেই হোক না পুলিশ তাকে গ্রেফতার করবে বলে আমাদের আস্থা ছিলো।
কহিনুর বেগম আরও বলেন, আমার দুই ছেলে বাইরে থাকায় ব‍্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন, জমি বন্দকসহ পরিবারের অধিকাংশ লেনদেন তার মাধ্যমে করতাম, সেই সুবাদে সে টাকা রাখার বিষয়টি জানত।
ডোমার থানার ওসি মাহমুদ উন নবী বলেন, মামলার তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই জামিলুর রহমান সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেফতার করেছেন। ইতিমধ্যে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
১৮ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS