শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
কুড়িগ্রামে ন্যাশনাল সার্ভিস প্রকল্প স্থায়ীকরণের দাবিতে ৩৮ হাজার ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মীর অবস্থান কর্মসূচি 

কুড়িগ্রামে ন্যাশনাল সার্ভিস প্রকল্প স্থায়ীকরণের দাবিতে ৩৮ হাজার ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মীর অবস্থান কর্মসূচি 

মোঃবুলবুল ইসলাম,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ “বেকার করো নিরসন দেশের হবে উন্নয়ন, অপেক্ষার সময় শেষ জেগে উঠো বাংলাদেশ” এই শ্লোগানে প্রকল্প স্থায়ীকরণের দাবিতে কুড়িগ্রামে ৩৮ হাজার ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মী অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে। অবিলম্বে ন্যাশনাল সার্ভিস প্রকল্প স্থায়ীকরণের দাবি মেনে না নিলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন নেতা-কর্মীরা।

রবিবার (১৫ জানুয়ারী) সকাল ১১টায় কুড়িগ্রাম কলেজ মোড় থেকে জেলা প্রশাসক কার্যালয় পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে কুড়িগ্রামের ৩৮ হাজার ন্যাশনাল সার্ভিস প্রকল্পের কর্মীরা। অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে তারা।
অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন-বাংলাদেশ ন্যাশনাল সার্ভিস পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিক হাসান রাজা। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন-ন্যাশনাল সার্ভিস পরিষদের কুড়িগ্রাম সভাপতি কেএম রমজান আলী, সাধারণ সম্পাদক মাইদুল ইসলাম প্রমূখ।

বক্তারা অবিলম্বে ন্যাশনাল সার্ভিস প্রকল্প স্থায়ীকরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজকের মধ্যে কুড়িগ্রামের বেকার সমস্যা নিরসনে ন্যাশনাল সার্ভিস প্রকল্প স্থায়ীকরণের ঘোষণা না দিলে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান কর্মসূচি পালন সহ বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন নেতারা।

উল্লেখ্য, বর্তমান সরকারের ২০০৮ সালের নির্বাচনী অঙ্গীকার বাসত্মবায়নের জন্য শিক্ষিত বেকার যুবকদের অস্থায়ী কর্মসংস্থান সৃষ্টির  লক্ষ্যে ২০০৯-১০ অর্থ বছরে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। সেময় কুড়িগ্রাম, বরগুনা ও গোপালগঞ্জ জেলার সকল উপজেলা (মোট ১৯টি) এ কর্মসূচিভুক্ত বাস্তবায়িত হয় । এসব জেলা ও উপজেলায় কর্মসূচির কার্যক্রম ২০০৯-১০ অর্থ বছরে শুরু হয়ে ২০১৩ সালে শেষ হয়েছে। এ পর্বে মোট সুবিধাভোগী ৫৬০৫৪জন । কর্মসূচির মেয়াদপূর্তির পর সুবিধাভোগীদের মধ্য হতে ৩০২১ জন সরকারী- বেসরকারী কর্মসংস্থান এবং ২২৪৪৯জন আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছিল। এ কর্মসূচির অধীনে একজন শিক্ষিত বেকার যুবক/ যুবমহিলাকে নীতিমালা অনুযায়ী ১০টি নির্ধারিত সিডিউলে ৩ মাস প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছিল এবং প্রশিক্ষণোত্তর তাকে ২ বছর মেয়াদী অস্থায়ী কর্মসংস্থান দেয়া হয়েছিল। প্রত্যেক যুবক/যুবমহিলা প্রশিক্ষণকালীন দৈনিক ১০০/- টাকা এবং কর্মকালীন দৈনিক ২০০/- টাকা হারে ভাতা পেতেন।

এ বিষয়ের কুড়িগ্রাম জেলার যুব উন্নয়ন উপ পরিচালক আলী  আর রেজা বলেন, আমি বিষয়টি অবগত নই। আমার জানামতে ন্যাশনাল সার্ভিস বৃদ্ধি কারণের কোন চিন্তাভাবনা আপাতত সরকারের নেই।

৩৩ বার ভিউ হয়েছে
0Shares