শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাগমারায় জমিজমা নিয়ে প্রতিপক্ষের মারপিটে গুরুত্বর আহত ১,থানায় মামলা নেয়নি পুলিশ

বাগমারায় জমিজমা নিয়ে প্রতিপক্ষের মারপিটে গুরুত্বর আহত ১,থানায় মামলা নেয়নি পুলিশ

নাজিম হাসান,রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের মারপিটে এক ব্যাক্তি গুরুত্বর আহত হয়েছে। তাকে আহত অবস্থায় এলাকাবাসী উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়নের কোনাবাড়িয়া গ্রামেতে। আহত ব্যাক্তির নাম আব্দুস সাত্তার দুলু মোল্লা (৫৫)। তার শারীরিক অবস্থা আশংকা জনক। এ ঘটনায় গুরুত্বর আহত আব্দুস সাত্তার দুলু এর স্ত্রী সেলিনা বেগম বাদি হয়ে বাগমারা থানায় মামলা করতে গেলে তার মামলা না নিয়ে পুলিশ লিখিত অভিযোগ নিয়েছেন। এবং বাদী লিখিত অভিযোগের রিসিভ কপি বার বার চাইলেও থানা থেকে তাকে লিখিত অভিযোগের রিসিভ কপি দেওয়া হয়নি বলেও তিনি অভিযোগ করেন। থানায় দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগ সুত্র ও সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়নের কোনাবাড়িয়া উত্তর পাড়া গ্রামে প্রতিপক্ষরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে (০৩ জানুয়ারি) মঙ্গলবার আনুমানিক সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে পূর্ব পরিকল্পনা ভাবে জেএমবির ক্যাডার আবেদ আলী,আনসার,কামাল,জামাল, রাকিব,আক্কাস,আলাউদ্দিন,মুঞ্জুরসহ বেশকেছু লোকজন আব্দুস সাত্তার মোল্লা দুলুকে (৫৫) হাসুয়া, কুড়াল, সাবল এবং লোহার রড দিয়ে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে তার মাথায় আঘাত করে গুরুত্বর জখমসহ হাতে পায়ে এবং শরিরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত বিক্ষত করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত দুলুর পরিবার ও এলাকাবাসী দেখতে পেয়ে জেএমবি ক্যাডারদের হাত থেকে দুলুকে উদ্ধার করে বাগমারা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেন। এদিকে,স্থানীয় সাংবাদিকরা আহত সাত্তারের সাথে দেখা করে কথা বললে তিনি জানান, প্রায় ৬ মাস আগে মাত্র তিন শতাংশ আমার খাজনা খারিজকৃত জমি নিয়ে দন্দ শুরু করেন তারা। আমি প্রতিবাদ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় ভাগনদি তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে আমাদেরকে অন্যায় ভাবে বিভিন্ন সময় হয়রানি করে যাচ্ছেন তারা। এছাড়া মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে আমি জমির কাছে গেলে তারা পূর্ব পরিকল্পনা ভাবে এসে আমাকে হাসুয়া, সাবল এবং লোহার রড দিয়ে
আমার মাথায় আঘাত করলে আমি মাটিতে লুটে পরি। এর পর তারা আমার হাতপায়ে আঘাত করে তারা পালিয়ে যায়। কোনাবাড়িয়া,তালঘরিয়া বাজারের একাধিক ব্যাক্তি অভিযোগ করে বলেন,আব্দুস সাত্তার মোল্লা ওরফে দুলুর মত একজন ভালো মানুষকে মারপিট করে জখম করার পরও পুলিশ কোন ব্যাবস্থা না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং উব্ধ্র্তন কতৃপক্ষের জরুরী পদক্ষেপ কামনা করেন। এবিষয়ে ভাগনদি তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ডিউটি অফিসার আব্দুল মজিদ এর সাথে কথা বলেন এবং তিনি বলতে পারবেন। তবে ডিউটি অফিসার আব্দুল মজিদের মোবাইল নাম্বার চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন। পরে আব্দুল মজিদ এর নাম্বার সংগ্রহ করে তার মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন না ধরায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।#

১১৭ বার ভিউ হয়েছে
0Shares