মঙ্গলবার- ১৮ই জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৪ঠা আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তানোরে ইউএনওর হস্তক্ষেপে ২শ’ বিঘা জমিতে হবে বোরো চাষ

তানোরে ইউএনওর হস্তক্ষেপে ২শ’ বিঘা জমিতে হবে বোরো চাষ

তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরের ইউএনও পংকজ চন্দ্র দেবনাথের হস্তক্ষেপে পৌর সদরে বিল কুমারি বিলের প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে বোরো চাষের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন বলে গভীর নলকুপ সেচ পরিচালনা করা শীতলীপাড়া বঙ্গবন্ধু সমবায় সমিতির সভাপতি কৃষক সারোয়ার ও সম্পাদক হাকিমসহ শতাধিক কৃষকরা নিশ্চিত করেন। রোববার দুপুরের দিকে সমিতির মাধ্যমে সেচ পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়। ইউএনওর এমন নির্দেশ পেয়ে কৃষকরা স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলেছেন। সেই সাথে ইউএনওর এমন যুগোপযোগী সিদ্ধান্তে কৃষকরাও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ফলে বিগত সময়ের মত শান্তিপূর্ণ ভাবে সেচসহ চাষাবাদ করতে পারবেন বলে অভিমত কৃষকদের।
সেচ পরিচালনা করা বঙ্গবন্ধু সমবায় সমিতির ক্যাশিয়ার কৃষক অধির কান্ত দাস জানান, বিগত ২০১৭ সালের দিকে পৌর সদর শেখ রাসেল মিনি স্টাডিয়াম সংলগ্ন শীতলীপাড়া গ্রামে বিলের জমিতে বোরো চাষের একমাত্র ভরসা গভীর নলকূপের অপারেটর হিসেবে নিয়োগ পায় গুবিরপাড়া গ্রামের বখাটে বকুল। সে দায়িত্ব পেয়ে সেচ হার অতিরিক্তসহ প্রচুর ফসলহানি ঘটায়। যার কারনে কৃষকরা বাধ্য হয়ে তাকে বাতিলসহ সমিতির মাধ্যমে পরিচালনার জন্য নির্বাহীর দপ্তরে অভিযোগ করলে, তৎকালিন ইউএনও কৃষকের সুবিধার জন্য  সমিতি  করে দেন। বকুলকেই অপারেটর রাখা হলেও, সেচ পরিচালনা করতে নিষেধ করেন কর্তৃপক্ষ।  কিন্তু প্রতি মৌসুমে সেচ কাজের আগ মুহুর্তে শুধু ভেজাল করে বকুল। গত ২৪ ডিসেম্বর শনিবার বকুল কিছু বখাটে মাদকসেবী দের নিয়ে গভীর নলকুপের তালা ভেঙ্গে সেচ দেওয়ার কার্ডসহ মালামাল চুরি করে। এঘটনায় তার কয়েকদিন পর বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলীকে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। আইনি ব্যবস্থা নিতে সহকারী প্রকৌশলী থানার ওসিকে পত্র দেন। এঅবস্থায় রোববার ইউএনও স্যার সমিতির মাধ্যমে সেচ পরিচালনা করতে বলেন। যার কারনে প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে সুষ্ঠ ভাবে বোরো চাষ হবে।
কৃষকরা জানান, প্রায় আটদিন ধরে অপেক্ষা করেছি। রোববারে শতাধিক কৃষকরা এমপির কাছে অভিযোগ করতেন। কিন্তু এমপি দ্রুত চলে যাওয়ার কারনে মডেল পাইলট স্কুলে নির্বাহী কর্মকর্তা কে অবহিত করলে অতীতে যে ভাবে সেচ পরিচালনা করা হত, সে ভাবে পরিচালনা করার অনুৃমতি দিয়েছেন। এতে করে কৃষকের বোরো চাষ শান্তিপুর্ন ভাবে  করতে পারবেন।
সমিতির সভাপতি সারোয়ার হোসেন জানান, কৃষকের চাষাবাদের জন্য গভীর নলকূপ। কৃষকরা যে ভাবে কম খরচে চাষ করতে পারবেন, সেভাবেই চলবে গভীর নলকূপ। এসব নিয়ে তালা ভাঙ্গা অরাজকতা ছাড়া কিছুই না। আমাকে কৃষকরা দায়িত্ব দিয়েছেন বলে আছি, যাকে দিয়ে কৃষকের সুবিধা হবে তাকে দায়িত্ব দিবেন, এতে তীল পরিমান সমস্যাদি হবে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পংকজ চন্দ্র দেবনাথ জানান, গভীর নলকুপ কৃষকের জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য। এটা নিয়ে কেউ অরাজকতা করলে ছাড় দেওয়া হবে না। বুঝতে হবে বিশ্বব্যাপী খাদ্য ঘাটতি হলেও চাষীদের  বা কৃষকদের জন্য দেশে খাদ্য ঘাটতি হয়নি। কৃষক বাচলে দেশ বাছবে। সুতরাং বিলের জমিতে বোরো চাষের একমাত্র ভরসা শীতলীপাড়ায় অবস্থিত গভীর নলকুপ আর   কেউ যদি ছিনিমিনি করে কোন ছাড় দেওয়া হবে না। কৃষকরা যে ভাবে পটিচালনা করে চাষাবাদে সুবিধা পাবেন সে ভাবেই পরিচালিত হবে। এরপরও যদি গভীর নলকূপটি নিয়ে অরাজকতা করার চেষ্টা করে তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুশিয়ারি দেন তিনি।
৬৯ বার ভিউ হয়েছে
0Shares