![নারী ফুটবল দলের দুজন রাণীশংকৈলের মেয়ে এলাকায় আনন্দের জোয়ার নারী ফুটবল দলের দুজন রাণীশংকৈলের মেয়ে এলাকায় আনন্দের জোয়ার](https://spnewsbd.com/wp-content/uploads/2022/09/03-32.jpg)
নারী ফুটবল দলের দুজন রাণীশংকৈলের মেয়ে এলাকায় আনন্দের জোয়ার
![](https://spnewsbd.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
‘‘হাফ প্যান্ট পরে ফুটবল খেলা ঠিক নয়,তাদের নাকি বিয়ে দিতে ঝামেলা হবে অথচ সে আজ জাতীয় দলের খেলোয়ার ’’-স্বপ্না রাণীর বাবা নিরেন চন্দ্র রায়-
সফিকুল ইসলাম শিল্পী, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় নেপালকে হারালো বাংলাদেশের মেয়েরা। গত ১৯ সেপ্টেম্বর কাঠমন্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে ৩-১ গোলে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন হয় নারী ফুটবল দল আর সে দলের হয়ে দ্ইুজন ছিলেন ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার স্বপ্না ও সোহাগী।
এ খেলায় অংশগ্রহণ করেছে উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার রাঙ্গাটুঙ্গি ইউনাইটেড প্রমিলা ফুটবল একাডেমির দুইজন উর্ত্তিণ খেলোয়ার স্বপ্না রাণী ও সোহাগী কিসকু।এমন খবরে তাদের বাসায় ভিড় জমায় লোকজন। শ্রমজীবি বাবার ঘামঝরা আদরে বেড়ে উঠা স্বপ্না রাণী ও বর্গাচাষি বাবার দরিদ্রতা জয় করে সোহাগী কিসকু আজ বাংলাদেশের অগ্রগামী নারী খেলোয়ার।
দারিদ্র স্বপ্না রাণীর বাবা নিরেন চন্দ্র মঙ্গলবার ২২ সেপ্টেম্বর কালের কন্ঠ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘আমার ৩ মেয়ে ১ ছেলে সব চেয়ে ছোট হচ্ছে স্বপ্না রাণী সে আজ জাতীয় দলের খেলোয়ার। শুধু দারিদ্র নয় একসময় আমার পরিবারকে লড়াই করতে হয়েছে ধর্মীয় ও সামাজিক কুসংস্কারের সাথেও। অনেকেই বলতো মেয়ে মানুষকে হাফ প্যান্ট পরে ফুটবল খেলা ঠিক নয়; তাদের নাকি বিয়ে দিতে ঝামেলা হবে।কিন্তু সে বাধা উপেক্ষা করে আমার মেয়ে আজ চ্যাম্পিয়ান হওয়ায় খুব আনন্দ লাগছে।’
সোহাগী কিসকুর বোন ইপিনা কিসকো বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল জয়ী হয়েছে। এতে আমার বোন রয়েছে আমরা সবাই খুশি আর সেই সাথে ঠাকুরগাঁও জেলাবাসী তাদের জন্য গর্ববোধ করছি।’ রাঙ্গাটুঙ্গি ইউনাইটেড প্রমিলা ফুটবল একাডেমির পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘নারী ফুটবল দল চ্যাম্পিয়ান হওয়ায় আমাদের জন্য গর্ববোধ করছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, ‘প্রথমত বাংলাদেশ ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানাই। সেই সঙ্গে এ উপজেলার দু’জন খেলোয়ার জাতীয় দলের হয়ে খেলায় অংশগ্রহণ করায় তাদের জন্য আমরা গর্বিত।