শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা : ফরিদপুরে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ

কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা : ফরিদপুরে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ

শাহজাহান হেলাল,ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি ২৩ অক্টোবর রোববারঃ ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে প্রেমিকের উপর অভিমান করে শনিবার এক কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।

বিয়ের প্রলোভনে প্রবাসীর সাথে শারীরিক সম্পর্কে জড়ানোর পর ওই প্রবাসী বিয়ে করতে অস্বীকার করায় আত্মহত্যার দাবি নিহতের পরিবারের। নিহত কলেজ ছাত্রীর নাম মোসা মরিয়ম পারভীন (১৯)। সে উপজেলার ময়না ইউনিয়নের হাঁটুভাঙ্গা গ্রামের আবুল হাসেম মোল্যার মেয়ে।মরিয়ম পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে দ্বিতীয় ছিল। মরিয়ম এ বছর এইচএসসি পাস করেছেন।নিহতের চাচাতো ভাই আকিদ মোল্যা বলেন মরিয়মের সাথে একই উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের ধোপাপাড়া গ্রামের ভ্যানচালক আলমগীর হোসেনের ছেলে জুবায়ের হোসেনের (২৫) কয়েক বছরের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। জুবায়ের সাড়ে ৪বছর মালয়েশিয়া প্রবাসী। জুবায়েরের মামা নজরুল বিশ্বাসের বাড়ি মরিয়মদের বাড়ির পাশে হওয়ার সুবাদে জুবায়ের মামার বাড়ি নিয়মিত যাতায়াত করতো। এ কারণে মালয়েশিয়া যাওয়ার আগে থেকেই জুবায়ের সাথে মরিয়মের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মালয়েশিয়া যাওয়ার পরেও ফোন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের সম্পর্ক অটুট ছিল। ১৭ অক্টোবর জুবায়ের মালয়েশিয়া থেকে গ্রামের বাড়ি আসে। এরপর শুক্রবার (২১অক্টোবর)সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জুবায়ের ও মরিয়ম একসাথে উপজেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে বেড়ায়। সন্ধ্যায় মরিয়মদের বাড়ির সামনে মরিয়মকে রেখে জুবায়ের চলে যায়। এসময় মরিয়ম জুবায়েরকে ডাকতে ডাকতে জুবায়েরের পিছ পিছ দৌঁড়াতে থাকে। কিন্তু জুবায়ের দৌড়ে দ্রæত স্থানত্যাগ করেন।

আকিদ মোল্যা আরো বলেন,রাতে মরিয়ম আমাকে বলেছে শুক্রবার দুপুরে বোয়ালমারীর একটি স্থানে নিয়ে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জুবায়ের ধর্ষণ করেছেন। কিন্তু পরে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় শনিবার (২২ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে অভিমান করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বিষয়টি পরিবারের সদস্যরা টের পেয়ে দ্রæত তাকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মরিয়মকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ব্যাপারে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা.শারমিন জাহান টুম্পা বলেন মেয়েটিকে আমরা মৃত অবস্থায় পাই। ঘটনাটি থানা পুলিশকে জানালে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।বিষয়টি সম্পর্কে জুবায়েরের বক্তব্য জানার জন্য শনিবার দুপুরে তার বাড়িতে গেলে জুবায়েরকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। এ সময় বাড়িতে তার বাবা-মাও ছিলেন না। জুবায়েরের ভাবি লতা খানম বলেন, জুবায়ের বিদেশ থেকে আসার পর বিভিন্ন আত্মীয়র বাড়ি বেড়াতে গেছে। গত ২/৩ দিন সে বাড়িতে নাই।এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার অফিসার ইন চার্জ মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

২৩ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS