![বেঁচে থাকতে প্রধানমন্ত্রীর নিকট চিকিৎসা সহযোগীতা চেয়েছেন সেনবাগের সেই আলোচিত কৃষক সাহাব উল্লা বেঁচে থাকতে প্রধানমন্ত্রীর নিকট চিকিৎসা সহযোগীতা চেয়েছেন সেনবাগের সেই আলোচিত কৃষক সাহাব উল্লা](https://spnewsbd.com/wp-content/uploads/2022/10/Screenshot_20221019-090929_.jpg)
বেঁচে থাকতে প্রধানমন্ত্রীর নিকট চিকিৎসা সহযোগীতা চেয়েছেন সেনবাগের সেই আলোচিত কৃষক সাহাব উল্লা
![](https://spnewsbd.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
মোঃ জাহাঙ্গীর আলম শায়েস্তানগরী ,নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর সেনবাগের আলোচিত মডেল কৃষক ছয় সন্তানের জনক কৃষক সাহাব উল্লাহ অর্থের অভাবে সঠিক চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়ে দুই বছর ধরে শয্যা শায়ী। চিকিৎসার জন্য সহযোগীতা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর নিকট আর্থিক চিকিৎসা সহযোগী চেয়ে আবেদন করে সাহার্যের আশায় দুই বছর ধরে অপেক্ষা করছেন তিনি।
জানাগেছে, সেনবাগ উপজেলার নজরপুর গ্রামের একজন কর্মসৃজনশীল কৃষক ছিলেন কৃষক সাহাব উল্লাহ । জীবন ও জীবিকার তাগিদে শতভাগ জড়িয়ে যান কৃষি কাজে। ধীরে ধীরে তিনি হয়ে ওঠেন উপজেলার কৃষকদের সমস্যা সামাধানের ভরসার কেন্দবিন্দু। বীজ উৎপাদন, বিপণন ও সরবরাহে খেতাব হিসেবে উপজেলার মডেল কৃষকের খ্যাতিও পান তিনি। উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের সাহাপুরে ৫০ একর জমি বর্গা নিয়ে সয়াবিন ও আংশিক মুগডাল, নিজ বাড়িতে ভার্মী কম্পোস্ট জৈব সার উৎপাদন, গুটি ইউরিয়া মেশিন, ধান নেওয়া মেশিন, বায়োগ্যাস উৎপাদন বিভিন্ন জাতের শাকসবজির চাষ করতেন।
সেই সময়ে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করে আশার আলো জাগিয়ে তুলে কৃষি দপ্তরসহ সারাদেশে সাড়া ফেলে দিয়েছেন কৃষক সাহাব উল্লাহ। তার গ্রীস্মকালীন টমেেেটা চাষের খবর পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে ওই উৎপাদন খবর দেখে সাহাব উল্লাহ প্রদর্শিত গ্রীস্মকালীর টমেটো খেত এক নজর দেখতে ঢাকা থেকে সেনবাগে ছুটে আসেন তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী এমকে আনোয়ার। কৃষক সাহাব উল্লাহ কৃষিবান্ধব কর্মকাÐ বাংলাদেশ টেলিভিশনে শাইখ সিরাজ তৎকালীন সময়ে সচিত্র প্রতিবেদন প্রচার করে।
কৃষক সাহাব উল্লাহ জানায়, তিনি ব্যবসার পরিধি বাড়ানো জন্য বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সেনবাগ শাখা থেকে ৯ লাখ টাকা সিসি লোন গ্রহন করেন এবং নিজের জমানো টাকা দিয়ে উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের সাহাপুর গ্রামে ৫০ একর জমি বর্গা নিয়ে সয়াবিন ও আংশিক মুগডাল চাষ করেন, নিজ বাড়িতে ভার্মী কম্পোস্ট জৈব সার উৎপাদন শুরু করেন, গুটি ইউরিয়া মেশিন সার উৎপাদন, ধান কাটার নেওয়া মেশিন, বায়োগ্যাস উৎপাদনসহ বিভিন্ন জাতের শাকসবজির চাষ শুরু করেন।
কিন্তু ২০১৫ সালের বন্যায় সয়াবিন ও মুগডাল তলিয়ে যায় কম্পোস্ট জৈব, গুটি ইউরিয়া মেশিন, ধান নেওয়া মেশিন, বায়োগ্যাস উৎপাদনে নষ্ট হয়ে এতে তার প্রায় ২৮ লাখ টাকা ক্ষতি হয় । যার মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সেনবাগ শাখা থেকে সিসি লোনের ৯ লাখ টাকা আটকে যায়। বন্যার কারণে ক্ষতি ও ব্যাংক লোন পরিষদে ব্যার্থ হয়ে চিন্তায় তিনি ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শর্য্যা শায়ী হয়ে পড়েন। কর্মচাঞ্চল্য যে মানুষটি সেনবাগের সকল কৃষকের আশা ভরসার স্থান ছিলো বর্তমানে সে মানুষটি সম্প‚র্ণ কর্মহীন হয়ে রোগে শোকে শর্য্যা শায়ী হয়ে রয়েছে। নিজের চিকিৎসা ও স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য তিনি সিসি ঋণ মওকুফ ও সুচিকিৎসার জন্য ২০২০ সালের ২৮ জুন প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করে আবেদন করেন কৃষক সাহাব উল্লাহ। কিন্তু দীর্ঘ দুই বছরের এই আবেদনের কোনো সাড়া না পেয়ে তিনি আরো হতাশ হযে পড়েছেন।
কৃষক সাহাব উল্লাহ তার সুচিকিৎসা ও তার পরিবারে পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর ও কৃষি দপ্তরের সহযোগিতা কামনা করেন।