বুধবার- ২৬শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১২ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
<span class="entry-title-primary">যে করেছে দান তাকেই করো অপমান</span> <span class="entry-subtitle">ঝালকাঠিতে মসজিদের টাকা আত্ম সাত করে উল্টো দানশীল ব্যক্তির নামে আদালতে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ</span>

যে করেছে দান তাকেই করো অপমান ঝালকাঠিতে মসজিদের টাকা আত্ম সাত করে উল্টো দানশীল ব্যক্তির নামে আদালতে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি:: ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার উত্তর খাগড়াখানা জামে মসজিদ কমিটির সাবেক সভাপতি মুফতি মো. মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠায়, যে করেছে দান, তার নামে আদালতে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।

মসজিদের উন্নয়নের জন্য দান করা ৭ লাখ টাকারও বেশি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ঝালকাঠি নলছিটি উপজেলার উত্তর খাগড়াখানা জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি মুফতি মাহাবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে। তিনি কাগজে কলমে মসজিদ কমিটির সভাপতি হয়েছেন। কিন্তু কাজকর্ম পরিচালনা করছেন তার ভাই মো. মাসুম বিল্লাহ বলেও অভিযোগ করেছেন ওই কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতারা।

শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মসজিদে জুমার নামাজ শেষে এসব অভিযোগ করেন কমিটির নেতারাসহ মুসুল্লিরা।

সরেজমিনে জানাগেছে, নলছিটি উত্তর খাগড়াখানা জামে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০১সালে প্রতিষ্ঠাকাল থেকে মজিদের জমি দাতা দানবীর মো.শহীদুল ইসলামসহ বিভিন্ন দানবীর ব্যক্তিরা লক্ষ লক্ষ টাকা দান করেছেন মসজিদের অ্যাকাউন্টে এবং তার শ্যালক মুফতি মো. মাহবুবুর রহমানকে সভাপতি করে একটি কমিটি করা হয়েছিল ঐ সময়। কিন্তু কমিটির সভাপতি বসবাস করেন ঝালকাঠি শহরে। তাই মসজিদের কাজকর্ম পরিচালনা করেন তার ভাই মাসুম বিল্লাহ।

গত ২০১৯- ২০২০ সাল থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা মসজিদের নামে দান করেন মাসুম বিল্লার ভগ্নিপতি মো. শহীদুল ইসলাম। তিনি বছর খানেক আগে জানতে পারেন তার দেওয়া টাকা মসজিদের খাতায় জমা হয় না? এরপর তিনি এলাকায় আসেন ও মসজিদ কমিটির নেতাদের সাথে কথা বলেন ও তার দেওয়া টাকার বিষয় কেউ জানেন না। উক্ত টাকার বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়।

এসকল ঘটনা এলাকা-জুরে তোলপাড় শুরুহয়েছে। এদিকে মুফতি মো. মাহবুবুর রহমান শহীদুল ইসলাম কে হয়রানি করার জন্য নলছিটি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে দুই পক্ষকে থানায় ডেকে আলোচনা করে জানতেপারেন মুফতি মো.মাহবুবুর রহমান টাকা আত্মসাত করেছেন ও তার কাছে টাকা গুলো মসজিদে দেওয়ার জন্য নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ অনুরোধ করেন এবং স্থানীয় ইউপি সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নতুন কমিটি করে মসজিদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য।

ও সির সাহেবের সামনে দিয়ে দেওয়ার কথা বলে চলে যান সভাপতি ও তার ভাই। পরদিন দানবীর শহীদুল ইসলামকে বিবাদী করে ঝালকাঠি সহকারী জজ আদালতে মসজিদ কমিটির নামে নিষেধাজ্ঞার মামলা দায়ের করে যাহার নম্বর ১৬১/২০২২ ইং।

এবং উক্ত নিষেধাজ্ঞা মামলায় মনগড়া এলাকার কিছু লোকের নাম দিয়ে কমিটি তৈরিকরে,যাদের নামে কমিটি করা হয়েছে তারা কিছুই জানেন না বলেও জানান।

এ ব্যাপারে দানবীর মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবত মসজিদের উন্নয়নে দান করে আসছি। আমার মায়ের দেওয়া সম্পত্তিতে এই মসজিদটি নিন্মান করা হয়েছে। কিন্তু গত দুই তিন বছর আগে যে, ২লক্ষ টাকা আমার ব্যাংক থেকে মসজিদের অ্যাকাউন্টে ট্রেন্সফার করেছি। কিন্তু সেই টাকা মসজিদে জমা হয়নি। মসজিদের খাতপত্র বা কোন কাগজ পত্রে আমার নামের টাকার অংক নেই। এই কথা শুনে আমার মাথায় হাত, কিরে ভাই আমার লক্ষ লক্ষ টাকা তাহলে ওরা আত্মসাত করেছে।

এছাড়াও সভাপতি মুফতি মাহাবুবুর রহমানের পরিবর্তে মাসুম বিল্লাহ মসজিদের কর্মকান্ডের পরিচালনা করে আসছেন বলে, অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করবে বলে মুসুল্লিদের হুমকির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তারই প্রতিফলন ঘটেছে। আমার এলাকার মসজিদের জন্য আমি দান করবো এটাই নিয়ম। এখন প্রথমে থানায় আমার নামে অভিযোগ করেছে। থানায় অভিযোগ পুলিশ তদন্ত করে দেখেছে যে, অভিযোগ মিথ্যা। পরের দিন ১৫ সেপ্টেম্বর ঝালকাঠি আদালতে আমাকে বিবাদী করে কমিটির বিরুদ্ধে একটি নিষেধাজ্ঞার মামলা দায়ের করেছে। আমি প্রশাসন সহ স্থানীয় এমপি আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু সাহেবের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মসজিদ কমিটির সাবেক সভাপতি মো.মাহাবুবুর রহমান বলেন, আমার নামে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ এনে হয়রানি করার চেষ্টা করছেন তিনি। আমার নাম আছে কিন্তু সকল কার্যক্রম পরিচালনা করেন আমার ভাই মাসুম বিল্লাহ।যে করেছে দান তাকেই করো অপমান

ঝালকাঠিতে মসজিদের টাকা আত্ম সাত করে উল্টো দানশীল ব্যক্তির নামে আদালতে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি:: ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার উত্তর খাগড়াখানা জামে মসজিদ কমিটির সাবেক সভাপতি মুফতি মো. মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠায়, যে করেছে দান, তার নামে আদালতে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।

মসজিদের উন্নয়নের জন্য দান করা ৭ লাখ টাকারও বেশি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ঝালকাঠি নলছিটি উপজেলার উত্তর খাগড়াখানা জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি মুফতি মাহাবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে। তিনি কাগজে কলমে মসজিদ কমিটির সভাপতি হয়েছেন। কিন্তু কাজকর্ম পরিচালনা করছেন তার ভাই মো. মাসুম বিল্লাহ বলেও অভিযোগ করেছেন ওই কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতারা।

শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মসজিদে জুমার নামাজ শেষে এসব অভিযোগ করেন কমিটির নেতারাসহ মুসুল্লিরা।

সরেজমিনে জানাগেছে, নলছিটি উত্তর খাগড়াখানা জামে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০১সালে প্রতিষ্ঠাকাল থেকে মজিদের জমি দাতা দানবীর মো.শহীদুল ইসলামসহ বিভিন্ন দানবীর ব্যক্তিরা লক্ষ লক্ষ টাকা দান করেছেন মসজিদের অ্যাকাউন্টে এবং তার শ্যালক মুফতি মো. মাহবুবুর রহমানকে সভাপতি করে একটি কমিটি করা হয়েছিল ঐ সময়। কিন্তু কমিটির সভাপতি বসবাস করেন ঝালকাঠি শহরে। তাই মসজিদের কাজকর্ম পরিচালনা করেন তার ভাই মাসুম বিল্লাহ।

গত ২০১৯- ২০২০ সাল থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা মসজিদের নামে দান করেন মাসুম বিল্লার ভগ্নিপতি মো. শহীদুল ইসলাম। তিনি বছর খানেক আগে জানতে পারেন তার দেওয়া টাকা মসজিদের খাতায় জমা হয় না? এরপর তিনি এলাকায় আসেন ও মসজিদ কমিটির নেতাদের সাথে কথা বলেন ও তার দেওয়া টাকার বিষয় কেউ জানেন না। উক্ত টাকার বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়।

এসকল ঘটনা এলাকা-জুরে তোলপাড় শুরুহয়েছে। এদিকে মুফতি মো. মাহবুবুর রহমান শহীদুল ইসলাম কে হয়রানি করার জন্য নলছিটি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে দুই পক্ষকে থানায় ডেকে আলোচনা করে জানতেপারেন মুফতি মো.মাহবুবুর রহমান টাকা আত্মসাত করেছেন ও তার কাছে টাকা গুলো মসজিদে দেওয়ার জন্য নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ অনুরোধ করেন এবং স্থানীয় ইউপি সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নতুন কমিটি করে মসজিদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য।

ও সির সাহেবের সামনে দিয়ে দেওয়ার কথা বলে চলে যান সভাপতি ও তার ভাই। পরদিন দানবীর শহীদুল ইসলামকে বিবাদী করে ঝালকাঠি সহকারী জজ আদালতে মসজিদ কমিটির নামে নিষেধাজ্ঞার মামলা দায়ের করে যাহার নম্বর ১৬১/২০২২ ইং।

এবং উক্ত নিষেধাজ্ঞা মামলায় মনগড়া এলাকার কিছু লোকের নাম দিয়ে কমিটি তৈরিকরে,যাদের নামে কমিটি করা হয়েছে তারা কিছুই জানেন না বলেও জানান।

এ ব্যাপারে দানবীর মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবত মসজিদের উন্নয়নে দান করে আসছি। আমার মায়ের দেওয়া সম্পত্তিতে এই মসজিদটি নিন্মান করা হয়েছে। কিন্তু গত দুই তিন বছর আগে যে, ২লক্ষ টাকা আমার ব্যাংক থেকে মসজিদের অ্যাকাউন্টে ট্রেন্সফার করেছি। কিন্তু সেই টাকা মসজিদে জমা হয়নি। মসজিদের খাতপত্র বা কোন কাগজ পত্রে আমার নামের টাকার অংক নেই। এই কথা শুনে আমার মাথায় হাত, কিরে ভাই আমার লক্ষ লক্ষ টাকা তাহলে ওরা আত্মসাত করেছে।

এছাড়াও সভাপতি মুফতি মাহাবুবুর রহমানের পরিবর্তে মাসুম বিল্লাহ মসজিদের কর্মকান্ডের পরিচালনা করে আসছেন বলে, অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করবে বলে মুসুল্লিদের হুমকির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তারই প্রতিফলন ঘটেছে। আমার এলাকার মসজিদের জন্য আমি দান করবো এটাই নিয়ম। এখন প্রথমে থানায় আমার নামে অভিযোগ করেছে। থানায় অভিযোগ পুলিশ তদন্ত করে দেখেছে যে, অভিযোগ মিথ্যা। পরের দিন ১৫ সেপ্টেম্বর ঝালকাঠি আদালতে আমাকে বিবাদী করে কমিটির বিরুদ্ধে একটি নিষেধাজ্ঞার মামলা দায়ের করেছে। আমি প্রশাসন সহ স্থানীয় এমপি আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু সাহেবের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মসজিদ কমিটির সাবেক সভাপতি মো.মাহাবুবুর রহমান বলেন, আমার নামে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ এনে হয়রানি করার চেষ্টা করছেন তিনি। আমার নাম আছে কিন্তু সকল কার্যক্রম পরিচালনা করেন আমার ভাই মাসুম বিল্লাহ।

৩৩ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS