বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার দায়িত্বহীনতার কারণে মূল বেতন ইএফটি না করে মনগড়া মূল বেতন ইএফটি করায় বেতন কম পাচ্ছে

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার দায়িত্বহীনতার কারণে মূল বেতন ইএফটি না করে মনগড়া মূল বেতন ইএফটি করায় বেতন কম পাচ্ছে

শার্শা(যশোর) সংবাদদাতাঃ যশোরের শার্শা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার দায়িত্বহীনতার কারণে মূল বেতন ইএফটি না করে মনগড়া মূল বেতন ২৪৮৭০/- টাকার পরিবর্তে ২০৪২০/- টাকায় ইএফটি করায় বেতন পাচ্ছে ৩০২৮৮/- টাকা। মূল বেতন ২৪৮৭০/- টাকা ইএফটি করা হলে বিধি মোতাবেক ৩৬৫১৮/- টাকা বেতন পাওয়ার কথা। কিন্তু উক্ত টাকা বেতন না পেয়ে সে বর্তমানে ৩০২৮৮/- টাকা বেতন পাচ্ছে। বিধি মোতাবেক ঐ শিক্ষক প্রতি মাসে ৬২৮০/- টাকা কম বেতন পাচ্ছে। ভুক্তভোগি শিক্ষক কন্যাদহ পশ্চিমপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল বারিক, উর্ধতন কর্মকর্তার নিকট অবিযোগ করেও অদ্যবধি কোন সুরাহা হয়নি। শিক্ষা কর্মর্তার অপরাধ এখানেই শেষ নয় প্রধান শিক্ষক আব্দুল বারিক ০১/০১/১৯৮৫ সালে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করার পর থেকে অদ্যবধি কখনই ঋণ গ্রহণ করেননি। অথচ উক্ত শিক্ষকের নামে ২৫ লক্ষ ২ শত টাকা ঋণ গ্রহন দেখিয়ে প্রতিমাসে কিস্তিতে মূল বেতন থেকে ২০৮৩৫/- টাকা কর্তন করা হচ্ছে। এ ঘটনাটি শিক্ষক সমাজে জানাজানি হলে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। কারণ আব্দুল বারিক জেলা ও উপজেলায় কয়েক বারের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হয়েও তার বিরুদ্ধে এ ধরনের ষঢ়যন্ত্র চালানো ঠিক হয় নি। উক্ত শিক্ষক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে মূল বেতন থেকে ভূয়া ঋণের কর্তনকৃত অর্থ ফেরৎ এবং মার্চ ২০২১ হতে ২৪৮৭০ টাকা হারে ৩৬৫১৮/- টাকার বিধি মোতাকে ইএফটি সংশোধন পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম এক স্বাক্ষাতকারে এ প্রতিনিধিকে বলেন উক্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল বারিক ঋন গ্রহণ করেননি বিষয়টি সঠিক। তার বেতন থেকে কর্তনকৃত টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া তার মূলবেতন ৩৬৫১৮/- টাকার স্থলে ৩০২৮৮/- টাকা ইএফটি করা হয়েছে। এ বিষয়টি আমরা সংশোধন করার চেষ্টা চালাচ্ছি। উল্লেখিত অভিযোগের বিষয় সম্পর্কে যশোর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট জানতে চাইলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন আমি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে দ্রæত সমাধানের জন্য নির্দ্দেশ দিয়েছি।

১২৩ বার ভিউ হয়েছে
0Shares