বাঘার আড়ানী ইউনিয়নে পুকুরপাড় ভেঙে পড়ায় চরম দুর্ভোগে স্থানীয় বাসিন্দারা


বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি : রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী ইউনিয়নের ঝিনা মধ্যপাড়া এলাকায় পুকুরপাড় ভেঙে পড়ায় চরম দুর্ভোগ ও ছোট্ট বাচ্চাদের নিয়ে টেনশন পোহাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
জানা গেছে, সোমবার (১২ মে) দুপুরে এলাকাবাসীর পক্ষে কয়েকজন প্রতিনিধি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগপত্র দাখিল করতে গেলে ইউএনও বিশেষ কাজে বাইরে থাকাই অভিযোগ পত্রটি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাবিহা সুলতানা ডলি গ্রহণ করেন। পুকুরটির পাড় ভেঙে গিয়ে পার্শ্ববর্তী রাস্তাঘাট ও বাড়িঘরের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, পুকুর মালিক মশিউর রহমান রাঙ্গা তার ৫৪ শতক জমির ওপর পুকুর হলেও পাড় ভাঙতে ভাঙতে এখন অনেক বড় পুকুর হয়েছে। বিগত বছর ঐ পুকুরে একটি ৮ বছরের শিশু মারা যাই সেই সাথে এলাকাবাসি বুঝতে পারে পুকুরে অতিরিক্ত পানি এবং ইউরিয়া সার প্রয়োগের ফলে পুকুর ভেঙ্গে বড় হচ্ছে এবং রাস্তা ভেঙ্গে পড়ছে। এমনকি পুকুরে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে পুকুরটি বড় করেছে এ সময় গ্রামবাসীরা কোন বিধি-নিষেধ করলে পুকুর মালিকের পক্ষে মোঃ রাজ্জাক বাদী হয়ে বাঘা থানায় কয়েকজনার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন এবং এলাকাবাসীকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। উক্ত পুকুরপার ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হতে চলেছে। উল্লেখ্য, উক্ত গ্রামে প্রায় ৩০০ ঘর বসবাস করে।
এলাকাবাসী রাজ্জাক বলেন, প্রতিনিয়ত পুকুরের পাড় ধসে পড়ছে। আমরা শিশুসহ পরিবার নিয়ে ভীতির মধ্যে আছি। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
পুকুর মালিক রাঙ্গা বলেন, আজ থেকে প্রায় পাঁচ বছর আগে আমি নিজ খরচে পুকুরের পাড় বেঁধে দিয়েছি এবং বিভিন্ন গাছ লাগিয়েছিলাম কিন্তু পারের চারে কল দিয়ে যারা বসবাস করে তারা আমার এই পুকুরের পাড় সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে দেয়নি তারা বিভিন্নভাবে তার বাড়ির পানি আমার পুকুরে প্রবেশ করাতে চেষ্টা করে, তার ফলে পুকুর পাড়ের গাছপালা ভেঙে ধসে যায়। আর পুকুরের পশ্চিম পাড় গোসলখানা বানিয়েছে অর্থাৎ তারা সেখানে দৌড়ঝাঁপ গোসল করে এবং আমি আমার পুকুরের চার পাশ বাঁশ কাঠ দিয়ে ঘিরে রাখছিলাম কিছুদিন পর দেখি সেগুলো আর নেই আমার ধারণা সব বাড়িতে নিয়ে গিয়ে রান্নার কাজে হয়তো ব্যবহার করেছে।
এ বিষয়ে আড়ানী ইউনিয়নের ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার জ্যামি খাতুন বলেন, যে ভাবেই হোক না কেন পুকুরের পাড় টা বাঁধা অনেক জরুরি কারন পুকুরের সাথেই আছে একটি মসজিদ । এবং পঞ্চিম পাড়েড় অবস্থা এতটা খারাপ যে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
আড়ানী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী আমাকে অবগত করেছে আমি বলেছি দুই পক্ষকে একসাথে বসার পরেই সমাধান করা যাবে পরে আমাকে আর এ বিষয়ে কিছু বলেনি ।
এ ব্যাপারে বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাম্মী আক্তার এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি বিশেষ কাজে অফিসের বাইরে থাকার কারণে তাদের অভিযোগ পত্রটি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাবিহা সুলতানা ডলি গ্রহণ করে, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযোগের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৫ বার ভিউ হয়েছে