রবিউল হক , ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারী-০১ ডোমার-ডিমলা আসনের মাননীয় সাবেক সংসদ ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম তুহিনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করায় নীলফামারীর ডোমার উপজেলা বিএনপিসহ সকল সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল দুপুরে ডোমার উপজেলাসহ জেলার ৬টি উপজেলা, এবং বিভিন্ন ইউনিয়নের দলীয় নেতা-কর্মীরা তাদের প্রানপ্রিয় নেতা সাবেক সংসদ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব তারেক রহমানের খালাত ভাই ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম তুহিনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করায় তারা ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম তুহিনের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।
মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল সকালে তিনি আদালতে আত্নসমর্পণ করেন। এসময় তার সাথে নীলফামারী জেলাসহ বিভিন্ন এলাকার বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী দেখা গেছে তার সাথে।
কর ফাঁকির মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ-৯ কবির উদ্দিন প্রামাণিকের আদালতে আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন।
এরপর তার আইনজীবী অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় বিশেষ জজ আদালত-৭ প্রদীপ কুমার রায়ের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে ওই আদালত ও তার জামিন নামঞ্জুর করেন।
এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তার চিকিৎসাসহ ডিভিশন চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে তার আইনজীবী উল্লেখ করেন তিনি হৃদরোগসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন এজন্য তাকে অ্যাম্বুলেন্স যোগে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করা হয়। আদালত কারাবিধি অনুযায়ী ডিভিশন ও চিকিৎসার নির্দেশনা প্রদান করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ সাকিল আহমেদ রিপন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, কর ফাঁকি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালে ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম তুহিনের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় আলাদা দুটি মামলা দায়ের করেন দূর্নীতি দমন কমিশন দুদক।
এরই মধ্যে কর ফাঁকির মামলায় ২০০৮ সালে আলাদা দুটি ধারায় তিন বছর ও পাঁচ বছরসহ মোট আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে বিধায় তাকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজা ভোগ করতে হবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।
অপর আরেকটি অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ২০০৮ সালে তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। উক্ত রায় ঘোষণার পর থেকে তিনি বিদেশে পারি জমান। দীর্ঘ ১৭ বছর পর তিনি দেশে ফিরে এসে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে তাদের প্রানপ্রিয় নেতা ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভাগিনা ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম তুহিনের মুক্তির দাবি জানান।