রবিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, English Version

বিরলের তেঘরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

বিরলের তেঘরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

আতিউর রহমান, বিরল (দিনাজপুর)॥  বিরলের তেঘরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ তৈমুর ইসলাম এর অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে আপনাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৩ এপ্রিল শনিবার বিকেলে বিদ্যালয়ের মাঠে উপজেলা বিএনপি’র প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক ও ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ নুরুজ্জামান মানিক এর আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ মোকসেদ আলী, উপজেলা বিএনপির নির্বাহী সদস্য আরমান আলী, উপজেলা কৃষকদলের সহ কোষাধ্যক্ষ সুমন শাহ, রিয়াজুল ডাঃ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলেরযুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলম , ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম, ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিনাজুল আলী, ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সমসের আলীসহস্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ।
সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ নুরুজ্জামান মানিক লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২ মার্চ ২০২৫ ইং তারিখে মা সমাবেশে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোঃ রফিকুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে নির্দেশ প্রদান করে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ মিলে আলোচনা সাপেক্ষে বিদ্যালয় পরিচালনা এডহক কমিটির সভাপতি সদস্যর জন্য নাম প্রস্তাবের জন্য বলেন। সর্বমহলে সমন্বয় না হলে প্রশাসক এর জন্য নাম প্রস্তাব করতে বলেন। পরদিন এলাকাবাসী সর্বমহলের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে বিদ্যালয় পরিচালনা এডহক কমিটির সভাপতি সদস্যর জন্য ১ নম্বরে দেলোয়ারা বেগম, ২ নম্বরে সুমন শাহ ও ৩ নম্বরে মোঃ হারেছ এর নাম প্রস্তাবনার জন্য প্রধান শিক্ষক মোঃ তৈমুর ইসলামকে আহ্বান জানান। পরক্ষণে জেলা প্রশাসক মহোদয় আব্দুস সালাম এর নাম প্রস্তাবে পাঠানোর জন্য বলেছেন বলে প্রধান শিক্ষক মোঃ তৈমুর ইসলাম জানালে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সম্মান বিবেচনায় ১ নম্বরে দেলোয়ারা বেগম, ২ নম্বরে মোঃ আব্দুস সালাম ও ৩ নম্বরে মোঃ সুমন শাহ এর নাম প্রস্তাব করার জন্য সকলে সম্মত হোন। অথচ ২৭ মার্চ ২০২৫ ইং তারিখে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে আমরা জানতে পারি প্রধান শিক্ষক নিজ স্বার্থ হাসিলের হীন উদ্দেশ্যে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে ২ নম্বর ক্রমিকে থাকা মোঃ আব্দুস সালাম এর নাম ১ নং ক্রমিকে বসিয়ে ১ নম্বর ক্রমিকে থাকা দেলোয়ারা বেগম এর নাম ২ নম্বর ক্রমিকে বসিয়ে পূর্বের পত্রটি পরিবর্তন করে প্রস্তাবনা প্রেরণ করেছে। আরো আশ্চর্যের বিষয় জেলা প্রশাসক মহোদয় জানান বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি সদস্যর বিষয়ে আমি প্রধান শিক্ষক তৈমুর ইসলামকে কারো নাম প্রস্তাব করতে বলিনাই। তাই দৃঢ়ভাবে প্রধান শিক্ষক তৈমুর ইসলাম এর অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা পরিলক্ষিত হয় এবং তিনি নিজের পছন্দমত নাম বসিয়ে ক্রমিক নম্বরের পরিবর্তন করেছেন বলে আমাদের নিকট প্রতীয়মান হয়। জেলা প্রশাসক মহোদয় আমরা পৌছার আগেরদিন কমিটি পাশ করেছেন এবং বাস্তবতা জেনে দুঃখ প্রকাশ করে প্রধান শিক্ষকের এহেন কর্মকান্ডের জন্য চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ফিরে আমরা গ্রামবাসী প্রধান শিক্ষক মোঃ তৈমুর ইসলাম এর নিকট বিয়ষটি জানতে গেলে তিনি বীরদর্পে বলেন মোঃ আব্দুস সালাম আমার মামা হোন। আমি বিগত দিনে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থেকে বিদ্যালয়টিকে এগিয়ে নিয়ে গেছি। আমারমত প্রধান শিক্ষক তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে এনেছি এবং বিদ্যালয়ের ভবন বরাদ্দ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নামে ভবনের নামকরণ করেছি। তাছাড়া আমার নামে জুলাই বিপ্লীদের বিরুদ্ধে কার্যকলাপের দায়ে একটি মামলায় আমাকে ১৩ নম্বর এজাহার নামীয় আসামী করা হয়েছে। আমি আমার চেয়ার রক্ষার জন্য আমার ভাগিনা মোঃ আব্দুস সালাম এর নাম ইচ্ছাকৃতভাবে প্রেরণ করেছি।
উপায় না পেয়ে আমরা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড- দিনাজপুর এর চেয়ারম্যান মহোদয়কে সভাপতি সদস্য মনোনয়ন কার্যক্রম স্থগিত রাখার আহ্বান জানালে তিনি আমাদেরকে আশ্বাস প্রদান করেন।
তিনি আরো বলেন, প্রধান শিক্ষক মোঃ তৈমুর ইসলাম ১লা বৈশাখে বিএনপিতে যোগদান করে আওয়ামীলীগ থেকে সুরক্ষা নিবে এবং বিএনপি’র কতিপয় নেতা তাকে পূণর্বাসন করবে বলে দাম্ভিকতা প্রকাশ করেন। আমরা দৃঢ়চিত্তে বলতে চাই ১লা বৈশাখে কেউ যদি তার সাথে সভা, সমাবেশ বা কর্মসূচি উদযাপন করে তাহলে আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি ২ নং ফরক্কাবাদ ইউনিয়ন শাখার নেতৃবৃন্দ এর প্রতিবাদ করে তার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবো। তাই সকলের প্রতি অনুরোধ বিএনপির কোন নেতাকর্মী যেন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দোসর প্রধান শিক্ষক মোঃ তৈমুর ইসলামের অপকৌশলের ফাদেঁ পা না দেয় উদাত্ত আহ্বান রইলো। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দোসর প্রধান শিক্ষক মোঃ তৈমুর ইসলামের অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণে আপনাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

১৬ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS