মঙ্গলবার- ১৮ই জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৪ঠা আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
<span class="entry-title-primary">জুয়ায় হেরে যাওয়া টাকা উদ্ধার করতে হত্যাকরা হয় বৃদ্ধ শহিদুলকে</span> <span class="entry-subtitle">ফুলবাড়ীতে শহিদুল হত্যার রহষ্য উদ্ঘাটন</span>

জুয়ায় হেরে যাওয়া টাকা উদ্ধার করতে হত্যাকরা হয় বৃদ্ধ শহিদুলকে ফুলবাড়ীতে শহিদুল হত্যার রহষ্য উদ্ঘাটন

 আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরের আলোচিত চাতাল শ্রমিক শহিদুল ইসলাম (৬০) এর হত্যার রহষ্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ।

জুয়ায় হেরে যাওয়া টাকা উদ্ধার করতেই বৃদ্ধ শহিদুলকে হত্যাকরে করে চার জুয়াড়ী। এদের মধ্যে হত্যাকান্ডে অংশ নেয়া তিন জুয়াড়ীসহ চারকে আটক করেছে পুলিশ।পুলিশ জানায় ঘটনার পর থেকে তারা গাঁ ঢাকা দেয়, ঈদের দিন রাতে বাড়ীতে আসলে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন উপজেলার শিবনগর ইউপির দাদপুর মালিপাড়া গ্রামের কালাচাঁদ এর ছেলে আমিনুল ইসলাম টেম্পু(২৪) পশ্চিম গৌরীপাড়া জোলাপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে জিবন (১৯) একই গ্রামের সরোয়ার্দ্দির ছেলে আশিক (১৮) ও দাদপুর মালিপাড়া গ্রামের আলিম উদ্দিনের ছেলে সোহেল (২১)।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফুলবাড়ী থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক রওশন আলী বলেন আটক তিন জুয়াড়ীর মধ্যে একজন হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা আদালতে স্বীকার করেছে। তার দেয়া স্বীকার উক্তি অনুযায়ী অন্য জুয়াড়ীদের আটক করা হয।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক রওশন আলী বলেন ধৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, ঘটনার দিন ১৭ এপ্রিল দিবাগত রাতে দক্ষিন বাসুদেবপুর একটি নির্জন ইউ বাগানে নিহত শহিদুলসহ কয়েকজন জুয়া খেলছিল, জুয়ায় ধৃত আসামীগণ সকলে মিলে সাড়ে ১০ হাজার টাকা হেরে যায়, আর সেই টাকা জিতে নেয় শহিদুল ইসলাম। এরপর শহিদুল জুযায় জিতে নেয়া টাকা নিয়ে বাড়ীতে চলে আসতে চাইলে অন্য জুয়াড়ীদের সাথে বাক-বিতন্ডা ও ধস্তা-ধস্তি শুরু হয়, এসময় এক জুয়াড়ী শহিদুলের গলা ছুরি দিয়ে কেটে দেয়, অবস্থা বেগতিক দেখে শহিদুল ইসলামকে আফতাব আলীর মীল চাতালের একটি পরিত্যাক্ত ঘরের বারান্দায় গলায় ফাঁশ দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে, শহিদুলের নিকট থাকা জুয়ার টাকা নিয়ে তারা পালিয়ে যায়।

ফুলবাড়ী থানার ওসি আশ্রাফুল ইসলাম বলেন ঘটনার পর প্রযুক্তিগত সহযোগীতা নিয়ে ঘটনার দিন সন্দেহ মুলকস্থানে ধৃত আমিনুল ইসলাম টেম্পুর অবস্থান জানতে পেরে তাকে আটক করা হয়, আমিনুল ইসলাম টেম্পু পুলিশের নিকচ হত্যাকান্ডের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করায়, তার দেয়া তথ্যে ভিত্তিতে অন্য জুয়াড়ীদের আটক করা হয়।

উল্লেখ্য চলতি সনের গত ১৮ এপ্রিল উপজেলার দক্ষিন বাসুদেবপুর আফতার আলীর মীল-চাতালের একটি পরিত্যাক্ত ঘরের বারান্দায় দক্ষিন বাসুদেবপুর গ্রামের মৃত আশ্রাফ আলীর ছেলে শহিদুল ইসলামের গলা কাটা ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় নিহত শহিদুল ইসলামের ভাই রহেদুল ইসলাম বাদি হয়ে ফুলবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

৬৩ বার ভিউ হয়েছে
0Shares