মাচায় মিষ্টি কুমড়া আবাদে লাভবান অমল ব্যাপারী
৭ Views
পটুয়াখালী প্রতিনিধি।। পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বেতাগী-সানকিপুর ইউনিয়নের বেতাগী গ্রামের কৃষক অমল ব্যাপারী মাচায় মিষ্টি কুমড়া চাষ করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় এবং নিজস্ব উদ্যোগে ৬০ শতাংশ জমিতে কুমড়ার চাষ করেন। সেপ্টেম্বর মাস থেকেই এই চাষী মিষ্টি কুমড়ার চারা রোপন করতে শুরু করেন। বর্তমানে মাঁচায় মিষ্টি কুমড়ার সমারোহ বিরাজ করছে। অল্প সময়ে এবং স্বল্প পরিশ্রমে মিষ্টি কুমড়া চাষ করে অধিক লাভবান হওয়া যায়। সবজি হিসাবে চাহিদা প্রচুর থাকায় দিন দিন এই মিষ্টি কুমড়ার চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্থানীয় বেকার যুবকসহ শৌখিন চাষীরা মাচায় কুমড়া চাষের জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছে। অনেক হাসি ফুটেছে। উচু নিচু জমিসহ বাড়ির আঙ্গিনায় কুমড়া চাষে অল্প পরিশ্রমে অধিক পরিমান ফলন পাওয়া যায়। বর্তমানে বাজারে ভালো দামে বিক্রি করা যায় বলে জানিয়েছেন চাষিরা। প্রান্তিক কৃষক অমল বড় জাতের কুমড়া চাষ করে বাজিমাত করে সাড়া ফেলেছে।
উপজেলার বেতাগী-সানকিপুর ইউনিয়নের বেতাগী গ্রামের চাষি অমল ব্যাপারী জানান, ৬০ শতাংশ জমিতে মাচায় মিষ্টি চারা রোপণ করেছি। খামারে এখন কুমড়ার সমারহ বিরাজ করছে। খামারের চারদিকে তাকালে শুধু কুমড়া আর কুমড়া। এই বছর প্রায় ৮০ মন বিক্রি হবে বলে আশা করছি। বাড়ির পাশে পতিত ও অনাবাদি জমিতে কুমড়া চাষ করেছেন। তিনি বলেন, এটি এমন একটি সবজি যা থেকে অল্প সময়ে অধিক লাভবান হওয়া যায়। তেমন একটা খরচ এবং পরিশ্রম ছাড়াই জমিতে দুয়েকটা নিড়ানি ও জৈব সার দিলে এর ফলনে লাভ বেশি হয়। কিছু দিন আগে এই জমির কুমড়া তুলে বাজারে বিক্রি করেছেন। আর জমির বাকি ফল আরও ভালো দামে বিক্রি এবং ঐ জমি থেকে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা আয় হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এই বিষয়ে দশমিনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহমেদ জানান, মিষ্টি কুমড়া একটি বিষমুক্ত সবজি। অত্র উপজেলায় মাচায় দিন দিন চাষীরা মিষ্টি কুমড়া চাষে চাষে ঝুঁকছেন। উপকুলের মাটি কুমড়া চাষের জন্য উপযোগী। সব চাষিদেরকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। অত্র উপজেলায় মিষ্টি কুমড়া চাষে বিপ্লব ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে। কৃষি খামারে কুমড়া ফলের সমারোহ দেখে অনেক কৃষক মিষ্টি কুমড়া চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে।