বুধবার, ১৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নিষিদ্ধ পেকুয়া ছাত্রলীগ নেতা শহিদের পুলিশে এস আই পদে নিয়োগ তদবীরে জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার

নিষিদ্ধ পেকুয়া ছাত্রলীগ নেতা শহিদের পুলিশে এস আই পদে নিয়োগ তদবীরে জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার

১৯ Views
এনামুল হক রাশেদী, চট্টগ্রামঃ কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের মগনামা ইউনিয়ন শাখার বিতর্কিত যুগ্ম-সম্পাদক শহিদুল ইসলাম কি বাংলাদেশ পুলিশের এসআই হিসাবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছে(!) সংবাদে সমগ্র পেকুয়া কক্সবাজার এলাকায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে এসআই পদে নিয়োগ পরীক্ষায় লিখিত, মৌখিক, ফিটনেস সকল পর্যায়ে উন্নিত শহিদকে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে এসআই পদে নিয়োগ নিশ্চিত হলে তা হবে ২০২৪ এর ছাত্র জনতার গণ অভ্যূত্থানে নিহত হাজার হাজার শহীদের রক্তের সাথে বড় ধরনের বিশ্বাষ ঘাতকতা।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার জালিয়াত মামলার আসামী শহিদুল ইসলাম মগনামা বাইন্যাঘোনা এলাকার ভূমিদস্যূ ও দলিল জালিয়াতী মামলার ( সি আর মামলা- ৪৫৪/২৩) সদ্য জেল ফেরত আসামী আবদুল মজিদের ছেলে শহিদুল ইসলাম বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) পদে নিয়োগ পেতে মোটা অংকের টাকার মিশনে নামার খবরে রীতিমত প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন প্লাটফরমে। এই শহিদ স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের প্রেতাত্মা, নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ পেকুয়া উপজেলার মাগনামা ইউনিয়ন শাখার যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক, বিগত ২০২২ সালে শাহ জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি  বিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি করে পরীক্ষা দেয়ার সময় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের হাতে আটক হয়। সেসময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মামলায় দিয়ে থানায় সোপর্দ করে শহিদুলকে, এ খবর দেশের বহুল প্রচারিত পত্রিকা দৈনিক ইত্তেফাকে সচিত্র প্রতিবেদন চাপানো হয়। পরে বহুদিন কারাভোগের পর আদালত থেকে জামিনে বের হয় এ প্রতারক।
বিগত ২০২৩ সালে বাংলাদেশ পুলিশের এসআই পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হলে তখন তথ্য গোপন করে ফের পরীক্ষা দেয়। লিখিত পরীক্ষায় কৃতকার্য হলে অধিকতর তথ্য যাচাইয়ের জন্য পেকুয়া থানাকে নির্দেশনা দেন পুলিশ হেড কোয়ার্টার। নির্দেশনা পাওয়ার পর পেকুয়া থানার  তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক ( ওসি তদন্ত) সুদীপ্ত ভট্রাচার্য সরেজমিনে প্রকাশ্যে ও গোপনে এলাকার সচেতন মহলের কাছে তথ্য যাচাই করে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সুশৃংখল বাহিনী পুলিশে নিয়োগ পাওয়ার অযোগ্য উল্লেখ করে প্রতিবেদন প্রেরণ করেন পুলিশ হেড কোয়ার্টারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর। প্রতিবেদন পাওয়ার পর পুলিশ হেড কোয়ার্টার তার প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করে। গত ৫ আগষ্ট পট পরিবর্তন হওয়ার পর পুলিশে ফের নিয়োগ পেতে অদৃশ্য শক্তির সহযোগিতায় আবারো চুড়ান্ত নিয়োগের জন্য তথ্য চেয়ে ডিএসবি কক্সবাজারকে নির্দেশনা দেন পুলিশ হেড কোয়ার্টার। নির্দেশনা পত্র পেয়ে ডিএসবি কক্সবাজার পেকুয়া থানায় দায়ীত্বরত ডিএসবি’র সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এস আই) আবদু রহিমকে তদন্ত করার দায়ীত্ব অর্পণ করেন। দায়ীত্ব পেয়ে ডিএসবি আবদু রহিম সরেজমিন তদন্তে গেলে শহিদের বাইন্যাঘোনার বাসায় যাওয়ার খবর চাউর হলে প্রতিবাদের ঝড় উঠে সচেতন মহলের মাঝে।
সমাজকর্মী ইউচুপ রোবেল তার ভেরিফাইড ফেইসবুকে লেখেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের পেকুয়া উপজেলার সক্রিয় নেতা ও জালিয়াতী মামলার আসামী পেকুয়ার  ভূমিদস্য ও দলিল জালিয়াতীর গড ফাদার আবদুল মজিদের ছেলে শহিদুল ইসলাম এস আই পদে নিয়োগ পেতে মোটা অংকের টাকার মিশনে নেমেছে উল্লেখ করেছে। তিনি আরো বলেন, এধরণের জালিয়াতকারী লোক যদি আইন-প্রয়োগকারী সংস্থায় নিয়োগ পায় তাহলে দেশ ও জাতি কি আশা করতে পারে। এ বিষয়টি আমলে নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
আনিদ জামালসহ আরো বেশ কয়েকজন তাদের ভেরিফাইড ফেইসবুকে উল্লেখ করেন,চলতি এস আই নিয়োগ পরীক্ষায় নিয়োগ শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযুক্ত দূধর্ষ  পেকুয়ার সেই প্রক্সি সিন্ডিকেট মোঃ শহিদুল ইসলাম পিতা আবদুল মজিদ সাং বাইন্যাঘোনা ৬নং ওয়ার্ড মগনামা পেকুয়া-কক্সবাজার পুলিশের এস আই পদে নিয়োগ পেতে মরিয়া। সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে যে লোক জাল-জিলয়াত করতে পারে তাহলে সে পুলিশে নিয়োগ পেলে দিনকে রাত আর রাতকে দিনে পরিণত করতে মোটেও কার্পণ্যবোধ করবে বলে মনে হয় না। সুতরাং জালিয়াত ও প্রক্সি পরীক্ষার সিন্ডিকেট প্রধান মোঃ শহিদুল ইসলামকে নিয়োগ না দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এ বিষয় জানতে পুলিশের এস আই পদের প্রার্থী মোঃ   শহিদুল ইসলামের পিতা আবদুল মজিদের ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার ছেলের বিরোদ্ধে উত্তাপিত তথ্য মিথ্যা দাবী করে প্রতিপক্ষের সড়যন্ত্র বলে দাবী করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (ডিএসবি) আবদু রহিম জানান, তদন্তে গেলে এলাকার লোকজন শহিদুল ইসলামের নানা অপকর্মের কথা তুলে ধরেন এবং জালিয়াতির (প্রক্সি পরীক্ষা শাহ জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ব বিদ্যালয়) মামলার বিষয়টিও জানান।সুতরাং আমি তদন্তে যা পেয়েছি তা যথাযতভাবে প্রতিবেদনে তুলে ধরবো।
Share This