সোমবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, English Version

পটুয়াখালীতে ডিলারের বিরুদ্ধে ওজনে চাল কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে 

পটুয়াখালীতে ডিলারের বিরুদ্ধে ওজনে চাল কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে 
পটুয়াখালী প্রতিনিধি।।  পটুয়াখালীতে হতদরিদ্রদের জন্য স্বল্প মূল্যে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজি দরের চাল বিক্রিতে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ডিলারের বিরুদ্ধে। রোববার দশমিনা উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের  সুলিজ বাজারে  চাল বিতণের সময় প্রতি বস্তায় ৩০ কেজির পরিবর্তে ২৮-২৯ কেজি বিতরণ করা হয়। বিক্রীত চাল তার দোকানের সামনে ওজন দিয়ে এ ঘটনার সত্যতা মিলেছে।
সূত্রে জানা গেছে, আলীপুর সুলিজ বাজার ডিলার রবিউল ইসলাম ৩১৬ নামে প্রায় সাড়ে ৯ মেট্রিকটন চাল  এপ্রিল মাসের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজি দরের চাল বরাদ্দ পায় এবং রোববার  সকাল থেকে  সুবিধাভোগীদের মাঝে বিতরণ করা হয়। ডিলার রবিউল ইসলাম প্রায় আড়াই মেট্রিকটন চাল কম দিয়ে বিতরণ করেন। আলীপুর ইউনিয়নের ১ ও ২  নম্বর ওয়ার্ডের ৩১৬জন কার্ডধারীর মাঝে এ চাল বিতরণ শুরু করা হয়। খাদ্য অধিদপ্তরের ১৫ টাকা কেজি দরের ৩০ কেজি চাল দেয়ার কথা থাকলেও প্রকৃত পক্ষে দেয়া হয় ২৮-২৯ কেজি চাল। অবশিষ্ট প্রায় আড়াই মেট্রিকটন চাল ডিলার আত্মসৎ করেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
আলীপুর ইউনিয়নের সুলিজ বাজারের ডিলার রবিউল ইসলাম একটি দোকান থেকে কার্ডধারীরা ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চালের মূল্য দিয়ে চাল নিলেও ওজনে পান ২৮ থেকে ২৯ কেজি চাল। সরকারিভাবে বস্তায় সঠিক মাপ থাকার কথা থাকলেও অজানা কারণে প্রতি বস্তায় চাল দের থেকে ২ কেজি কম।
চাল নিতে আসা একাধিক কার্ডধারী জানান, চাল নিয়ে অন্য দোকানে মাপ দিলে দেখা যায় প্রায় দেড় থেকে ২ কেজি কম। পরে বিষয়টি যাচাই করতে পাশের একটি দোকান থেকে ওজন মাপার যন্ত্র এনে চাল ওজন দিলে প্রায় প্রতি বস্তায় প্রায় দেড় থেকে ২  কেজি কম পাওয়া যায়।
চাল কম দেওয়ার ব্যাপারে ডিলার রবিউল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি স্পষ্ট করে কোনো জবাব দেননি।
এব্যাপারে দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইরতিজা হাসান বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১০ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS