শনিবার- ১২ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ -২৯শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ English Version

কুুড়িগ্রামে জমি লিখে না দেয়ায় পিটিয়ে মায়ের হাত ভেঙে দিলেন সন্তান

কুুড়িগ্রামে জমি লিখে না দেয়ায় পিটিয়ে মায়ের হাত ভেঙে দিলেন সন্তান

মোঃবুলবুল ইসলাম,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ ২৫.০৭.২০২২ কুড়িগ্রামে জমি লিখে না দেয়ায় পিটিয়ে মায়ের হাত ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বড় ছেলে রবিউল ইসলাম মিঠু এবং ভাতিজা মুন্নার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় কুড়িগ্রাম সদর থানায় অভিযোগ দিলে প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করলেও পালিয়েছে বহুল আলোচিত ধর্ষণসহ একাধিক মামলার আসামী আরিফুল ইসলাম মুন্না। সন্তান কর্তৃক মায়ের হাত ভেঙে দেয়ার ঘটনাটি কুড়িগ্রামে টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের পলাশবাড়ী পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত পনির উদ্দিনের বড় ছেলে রবিউল ইসলাম মিঠু দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ উপায়ে মায়ের নিকট জমি লিখে নেয়ার প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে মিঠু বড়। সে অন্যান্য ভাই-বোনদের অংশের জমি মায়ের নিকট চুপিসারে লিখে দেয়ার জন্য তার মাকে চাপ প্রয়োগ করে। এতে তার মা জোহরা বেগম অসম্মতি জানায়।
২৩ জুলাই (শুক্রবার) সকালে মা জোহরা বেগম বাড়ির পাশের জমিতে সেচ কাজের দেখভাল করতে যান। এ সময় পুত্র রবিউল ইসলাম মিঠু তার মাকে ওই জমি সেচ দিতে নিষেধ করেন এবং বলেন ওই জমি আমার। আমার জমিতে কোন সেচ কাজ চলবে না। তার মা এতে প্রতিবাদ করলে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। ছোট ভাই মাসুদ রানা মিলন বড় ভাইয়ের অবৈধ দাবির প্রতিবাদ করলে সে লোহার রড দিয়ে ছোট ভাইকে এলোপাতারি মার-ডাং শুরু করে। এতে মা জোহরা বেগম এগিয়ে আসলে মিঠু তার মায়ের ডান হাতে স্বজোরে আঘাত করে। এতে ভেঙে যায় জোহরা বেগমের ডান হাত। ছোট ছেলে মিলন মাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার চেষ্টা করলে মিঠুর পক্ষ নিয়ে চাচাতো ভাই চিহ্নিত সন্ত্রাসী আরডিআরএস বাজারে আলোচিত ধর্ষণসহ একাধিক মামলার আসামী আরিফুল ইসলাম মুন্না রামদা নিয়ে মাসুদ রানা মিলনকে কোপাতে আসে। জীবন বাঁচাতে মিলন দৌঁড়ে তার শয়ন ঘরে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করলে মুন্না রামদা দিয়ে মিলনের ঘরে কোপ মারে। এতে কেটে যায় মিলনের থাকার ঘরের দরজা।
মিলনের আত্মচিৎকারে পরে এলাকাবাসী এসে মা জোহরা বেগম ও মিলনকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এতেও ক্ষান্ত হননি মিঠু ও তার চাচাতো ভাই আরিফুল ইসলাম মুন্না বহিরাগত লোকজনকে নিয়ে হাসপাতালে মহড়া চালায়। এতে ভিত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে মিলন ও তার মা। লোমহর্ষক এ ঘটনাটি বেলগাছা ইউনিয়নজুড়ে ব্যাপক উদ্বেগ এবং উৎকন্ঠা ছড়িয়েছে।
অভিযুক্ত রবিউল ইসলাম মিঠু এবং আরিফুল ইসলাম মুন্নার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে এলাকাবাসী।
কুড়িগ্রাম সদর অফিসার ইনচার্জ খান মোঃ শাহরিয়ার বলেন-প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদেরও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
১৭ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS