শার্শায় ভূমিদোষ্যুদের কবল থেকে ৩শত বিঘা খাস জমি ১৬ বছর পর উদ্ধার
শার্শা (যশোর) সংবাদদাতা \ যশোরের শার্শা উপজেলার বাহাদুরপুর মৌজায় প্রায় ৩শত বিঘা খাস জমি ১৬ বছর পর উদ্ধার করলেন উপজেলা প্রশাষন। স্থানীয় নায়েবদের সহযোগিতায় স্থানীয় ভূমি দৌষ্যু ও সরকারী সম্পত্তি জবর দখলকারি ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান ও সাবেক পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটনসহ ৩০/৩৫ জন দলীয় ক্ষমতা দেখিয়ে দীর্ঘ দিন দখলে রেখে মাছ চাষ করে আসছিল। সরকারী ১নং খতিয়ানের জমি জবর দখল করে জমির শ্রেণী পরিবর্তন, নিজের জমি মালিকানা দাবি করে ভূমি আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভেড়ী তৈরী করে মাছ চাষ করছে। প্রত্যক্ষ ও পরক্ষ দর্শিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য মতে জানা যায় ৩৬নং বাহাদুরপুর মৌজায় সিএস ৫১৬ নং খতিয়ানের সিএস দাগ ১৯১৮, এস এ খতিয়ান ৫৪৫, আর এস বাংলাদেশ সরকার পক্ষে কালেক্টরেট যশোর এর নামে চুড়ান্ত রেকর্ড প্রনয় হয়। বর্তমান আরএস দাগ ৩৩১১ মোট জমি ৯৮.৫৮ শতক যা বর্তমানে ধানী শ্রেণী হিসেবে চুড়ান্ত রেকর্ড প্রকাশিত হয়। সিএস ও এসএ জরিপের সময় বিল শ্রেণীর হিসেবে রেকর্ড চুড়ান্ত হয়। যা বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার পক্ষে যশোর কালেকটরেট নামে বর্তমান রেকর্ড বিদ্যমান। তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে বর্তমানে উলেখিত সরকারী সম্পত্তি এলাকার কতিপয় ভূমি দৌষ্যু স্থানীয় বেনাপোল ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কমিশনাদের সহযোগিতায় জবর দখল করে আসছিল। এ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুসরাত জাহান এক সাক্ষাৎকারে জানান দীর্ঘ দিন ভূমি জবর দখলকারীদের কাছে থাকা ৯৮.৫৮ শতক জমি উদ্ধার করা হয়েছে এবং সরকারের দখলে নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন পর্যায়ক্রমে সকল জবর দখলকারীদের কাছ থেকে সরকারী সম্পত্তি উদ্ধার করার গ্রহন হয়েছে।