মঙ্গলবার- ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মোরেলগঞ্জে জমে উঠেছে ঈদের বাজার

মোরেলগঞ্জে জমে উঠেছে ঈদের বাজার

মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধিঃ পছন্দের পোশাকের খোঁজে ক্রেতারা ছুটছে এক মার্কেট থেকে আরেক মার্কেটে। তাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে বিক্রেতারাও দোকানে নানা রঙের পোশাকের পসরা সাজিয়েছে। রমজানের শেষ দশকে এসে মোরেলগঞ্জে ঈদের কেনাকাটা বেশ জমে উঠেছে। আর বিপণিবিতানগুলোতে ক্রেতা উপস্থিতি এবং বিক্রি বাড়ায় সন্তোষ প্রকাাশ করছেন বিক্রেতারা। আর ক্রেতাদের এমন ভিড় চাঁদরাত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছেন বিক্রেতারা।

গত দু বছর করোনা মহামারির কারণে ঈদের বাজার জমেনি। কর্ম হারিয়ে অনেকেই জীবন সংগ্রামে ছিলেন হতাশ। তবে এবারে সেই ধাক্কা সামলে ঈদের কেনাকাটার উদ্দেশ্যে প্রতিদিন মোরেলগঞ্জ ১৬ ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকেও বিপুলসংখ্যক ক্রেতা ভিড় জমাচ্ছে বিপণীগুলোতে। ফলে সকাল থেকেই ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে কাপুড়িয়া পট্টির বিপনীগুলো। শুধু বিপণিবিতানই নয়, ভিড় থাকে ভ্রাম্যমাণ মার্কেট, ফুটপাত এবং হকার্স মার্কেটেও। পিছিয়ে নেই জুতা ও কসমেটিকস দোকানও। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ক্রেতারা তাদের সাধ্য অনুযায়ী পছন্দসই পোশাক কিনতে ব্যস্ত থাকে। ফলে দিনভর বেচাকেনায় ব্যস্ত সময় পার করেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।

এখনো বেসরকারি সকল চাকরিজীবীদের হাকে উৎসব ভাতা  না পৌঁছালেও বিপণিবিতানগুলোতে ক্রেতাদের দেখা যাচ্ছে। ক্রেতা সমাগম বাড়ায় স্বস্তি প্রকাশ করছে বিক্রেতারা। এ ব্যাপারে নবাব গার্মেন্টস এর মালিক মো: রবিউর ইসলাম বলেন, রোজার প্রথম ১৫ দিন বিক্রি ছিল না বললেই চলে। শুধু দেখতে আসতো। এখন মানুষ শুধু দেখতে আসছে না। পছন্দ ও দামে মিললে পণ্য কিনে নিচ্ছে। সামনে আরো বিক্রি বাড়বে বলে তাদের আশা। এ অবস্থায় এত দিন অনেকটা অলস সময় কাটালেও বর্তমানে কথা বলারও ফুসরত নেই বিক্রেতাদের। ২০ রোজার পরই ক্রেতা বেড়েছে, সামনে আরো বাড়বে। এদিকে এবার সাহারা, সারারা বেশি চলছে। পুরুষদের পাঞ্জাবি ও চলছে বেশ।  সর্ব নিম্ন ৮শ’  টাকা থেকে ৬ হাজার টাকা দামের  পাঞ্জাবি তাদের রয়েছে  বলে নবাব গার্মেন্টসের মালিক রবিউল জানান। এছাড়া  জাহিদ গার্মেন্টস,মামুন গার্মেন্টস, আলামিন গার্মেন্টস, তাজ গার্মেন্টস,আইরিন গার্মেন্টস,ঠাকুরের শিট ঠাকুরের দোকান, হৃদয় ক্লথ,ভাগ্যলক্ষ্মী বস্ত্রালয়,ভৌমিক বস্ত্রালয়,বেপারী বস্ত্রলয়,সহ পায়ের জুতার একাধিক দোকানী গুলির কর্তৃপক্ষও বিক্রয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, এবারের কাপড়ের দাম চড়া। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক মহিলা ক্রেতা জানান কাপড়, কসমেটিকস, জুতা সব পণ্যেরই দাম আগের তুলনায় অনেক বেশি।

৬৯ বার ভিউ হয়েছে
0Shares