মঙ্গলবার- ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
লালমনিরহাট কাকেয়া বটতলা সড়কের বেহালদশা

লালমনিরহাট কাকেয়া বটতলা সড়কের বেহালদশা

লালমনিরহাট প্রতিনিধি। লালমনিরহাট সদর উপজেলার ১নং মোগলহাট ইউনিয়নের কাকেয়াটেপা বটতলা মন্দির মোড়-মোগলহাট ট্যাম্পু স্ট্যান্ড আঞ্চলিক সড়কের পুর্ণ সংস্কারের নামে কার্পেটিং ভেঙ্গে খানাখন্দের সৃষ্টি করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর লালমনিরহাট। এতে করে ওই অঞ্চলের মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কটির পুর্ণ সংস্কারের নামে কার্পেটিং ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এ কারণে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে বাই সাইকেল, মোটর সাইকেল চালকদের পড়তে হয় দুর্ঘটনার কবলে। কারণ রাস্তার উঠে যাওয়া খোয়াতে স্লিপ কেটে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় অনেককে।

জানা যায়, ১নং মোগলহাট ইউনিয়নের কাকেয়াটেপা বটতলা মন্দির মোড়-মোগলহাট ট্যাম্পু স্ট্যান্ড আঞ্চলিক সড়কের দূরত্ব প্রায় ৯কিলোমিটার। ইতিপূর্বে একবার এই আঞ্চলিক সড়কটির পুর্ণ কাপের্টিং সংস্কার করা হয়।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর লালমনিরহাটের অধিনস্থ এই সড়কটি ধ্বংস স্তুপে পরিণত হয়েছে, দীর্ঘদিন থেকে কার্পেটিং না করা ও ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, এই সড়কে ট্রাক, মাইক্রো, ট্রলি (বালুবাহী), ইজিবাইক, ভ্যান, ঘোড়ার গাড়ি, রিক্সা, মোটর সাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। এই সড়ক দিয়ে মোগলহাট ইউনিয়নের কর্ণপুর, ফলিমারী, কুরুল, বুমকা, খারুয়া, ইটাপোতা, দুড়াকুটি, ফুলগাছ, বত্রিশহাজারী, কোদালখাতা, ভাটিবাড়ী, কাকেয়া টেপা, কুলাঘাট ইউনিয়নের বনগ্রাম, শিবেরকুটি, ধাইরখাতা, লালমনিরহাট পৌরসভার উত্তর সাপটানা ও কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ীর মানুষ লালমনিরহাট জেলা সদরে যাতায়াত করে। কিন্তু অনেক দিন ধরে কার্পেটিং না করায় সড়কটির বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় কৃষকেরা জানান, এই এলাকা থেকে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন ধরনের পণ্য পাঠানো হয়। কিন্তু এ সড়ক খারাপ হওয়ায় যানবাহনের ভাড়া বেশি দিতে হচ্ছে।

ইজিবাইক চালকেরা জানান, সড়কে নানা স্থানে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া খানাখন্দের কারণে গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ অল্প সময়ের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়। এতে করে লোকসানে পড়তে হচ্ছে তাদের। সময় অনেক বেশি লাগে যাতায়াতে। তাছাড়া ঝাঁকির কারণে যাত্রীরাও উঠতে চায় না গাড়িতে এবং সাধারণ পথচারীরা তো খালি পায়ে হাঁটতে পারেনা।

এ সড়কের দু’ধারের বসবাসরত মানুষেরা বলেন, ধুলা, বালি উরে পরিবেশ বিপন্ন হচ্ছে। এতে করে ঘর-বাড়ি, ফসলের ক্ষেত ধুসর রং ধারণ করেছে। প্রত্যেকের ক্ষতি সাধন হচ্ছে। যা পূরণ হবার নয়।

উল্লেখ্য যে, উক্ত আঞ্চলিক সড়কের ইটাপোতা-মোগলহাট অংশে আংশিক পুর্ণ সংস্কার করা হলেও ইটাপোতা-কোদালখাতা বাজার দক্ষিণ পার্শ্বের ব্রীজ হতে শুধু খোয়া ফেলা হয়েছে এবং কোদালখাতা-কাকেয়াটেপা বটতলা মন্দির মোড় পর্যন্ত এখনও পুর্ণাঙ্গ কার্পেটিং ভেঙ্গে খোয়া ফেলা হয়নি মর্মে জানা গেছে।

১৬ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS