মঙ্গলবার- ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
গোপনে স্কুল কমিটি গঠন ও কর্মচারী নিয়োগের প্রতিবাদে পার্বতীপুরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

গোপনে স্কুল কমিটি গঠন ও কর্মচারী নিয়োগের প্রতিবাদে পার্বতীপুরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

আতাউর রহমান। পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের পার্বতীপুরে শিয়ালকোর্ট নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গোপনে স্কুল ব্যবস্থপনা কমিটি গঠন ও কর্মচারী নিয়োগের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী। আজ রবিবার দুপুরে উপজেলার হাবড়া ইউনিয়নের আরজিদেবীপুর গ্রামের শিয়ালকোট বাজারে এসব প্রতিবাদ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন- স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা মো: আমির আলী (৭০), জমিদাতা মোছা: শহিদা বেগম (৬৮), শাহাদত হোসেন (৩৮), গ্রামবাসী মো: মোতালেব হোসেন (৩৫) ও সাইফুল ইসলাম (৩০) প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়টির জন্য যারা জমি দানসহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন বর্তমানে স্কুল পরিচালনা কমিটিতে তাদের কাউকে রাখা হয়নি। উল্টো প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় পাশর্^বর্তী আরজিদেবিপুর আলিম মাদ্রাসার অফিস সহকারি মোজাম্মেল হক তার স্ত্রী ও বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খাদিজা বেগমের সহায়তায় কোন পূর্ব ঘোষনা ছাড়াই তার বড়ভাই মেনহাজুল ইসলাম কে স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি, স্ত্রী ওই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা খাদিজা বেগম কে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছেন। এছাড়াও বিদ্যালয়ের দপ্তরী পদে মোজাম্মেল হকের ছোট ভাই রাশেদুল ইসলাম, পরিচ্ছনতা কর্মী পদে সভাপতি মেনহাজুল ইসলামের মামাতো ভাইয়ের স্ত্রী সাজেদা বেগম, নৈশ্যপ্রহরী পদে মামাতো ভাই মামুন ও অফিস সহকারী পদে সভাপতি মেনহাজুল ইসলামের ভাতিজা শাহাজাদাকে নিয়োগ প্রদান করেন। এতে বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠায় জড়িত ব্যক্তি ও এলাকাবাসীর মাঝে প্রচন্ড অসন্তোষ দেখা দেয়। আজকের বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে তারা গোপনে স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটি ও একই প্রক্রিয়ায় নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের নিয়োগ বাতিল করে সরকারি বিধি মোতাবেক পুনরায় স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন ও কর্মচারী নিয়োগের দাবী জানান।

স্থানীয়ও জানায়, শুরুতে শিক্ষার্থীর অভাবে বিদ্যালয়টি তিনটি শ্রেনি কক্ষ নিয়ে কিন্ডার-গার্ডেন স্কুল হিসেবে পরিচালনা করা হয়। তবে, কাগজ কলমে এ বিদ্যালয়টি একটি নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে নিয়োমিত নথিপত্র পাঠানো হয়। প্রতি বছর জেএসসি পরীক্ষায় আশ-পাশের বিভিন্ন এমপিওভুক্ত স্কুল ও মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কাগজ-কলমে নিজেদের শিক্ষার্থী হিসাবে জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। পরবর্তীতে ২০২২ সালে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হলে এলাকার সচেতন মানুষ হতবাক হয়ে পড়েন। শুরু হয় স্কুল ব্যবস্থপনা কমিটি ও বিভিন্ন শুন্যপদে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের গোপনে নিয়োগদানের প্রক্রিয়া।

১০ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS