বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সেনবাগে স্ত্রী,কন্যা ও শাশুড়িকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্ঠা ভাসুর গ্রেফতার-১

সেনবাগে স্ত্রী,কন্যা ও শাশুড়িকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্ঠা ভাসুর গ্রেফতার-১

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম শায়েস্তানগরী,নোয়াখালী প্রতিনিধি নোয়াখালীর সেনবাগে শুক্রবার ভোর রাতে অজুনতলা ইউপির ইদিলপুর গ্রামের ঘরে ঢুকে সাবেক স্বামী কর্তৃক স্ত্রী,কন্যা ও শাশুড়িকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্ত মামলার ২নং আসামি ভিকটিমের ভাসুর বেলালকে গ্রেফতার করেছে সেনবাগ থানা পুলিশ। এখনো গ্রেফতার হয়নি মামলার প্রধান আসামি আমির হোসেন (৫০)। গ্রেফতারকৃত বেলাল সোনাইমুড়ি উপজেলার অম্বরনগর গ্রামের এতিম আলী জমাদার বাড়ির সফি উল্লাহ ছেলে।  ওই ঘটনায় গুরুত্বর আহত দু’জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ওই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের ইদিলপুর গ্রামের ফাতেমার নতুন বাড়িতে।

  হামলা,ভাংচুর ও হত্যার চেষ্টার ঘটনায় শুক্রবার রাতে ফাতেমা বেগম ভাই আমিরুল ইসলাম বাদি হয়ে আমির হোসেনকে ১নম্বর ও তার বড়ভাই বেলালকে আসামি করে দুই জনের মামলা দায়ের করেন।

আহতরা হলেন,অর্জুনতলা ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের ইদিলপুর গ্রামের ছমদ আলী হাজ্বী বাড়ির লোকমান হোসেনের স্ত্রী মাফিয়া বেগম (৬০) তার মেয়ে ফাতেমা বেগম (৩৮) ও নাতনী রাবেয়া আক্তার (১৮)।

ভুক্তভোগী পরিবার স‚ত্রে জানা যায়, ২৬ বছর আগে পারিবারিক ভাবে সোনাইমুড়ীর উপজেলার অম্বরনগর গ্রামের আমির হোসেনর সাথে সেনবাগের ইদিলপুর গ্রামের ফাতেমা বেগমের বিয়ে হয়। কয়েক বছর পর তাদের সংসারে কলহ দেখ দেয়। তিন বছর আগে তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর ফাতেমা দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়ির পাশে ইদিলপুর গ্রামে নতুন বাড়ি করে বসবাস শুরু করে।

 শুক্রবার ভোররাতের দিকে আমির হোসেন তার সহযোগীকে নিয়ে ফাতেমার মুরগীর ঘর ও বসতঘরের ভেড়ার টিন এলো পাথাড়ী কুপিয়ে তছনছ শুরু করে। এসময় টিনের শব্দের আওয়াজ শুনে ফাতেমা ও তার মা দরজা খোলা মাত্র আমির হোসেন দুটি দা ধারালো নিয়ে আকস্মিক তাদের ঘরে ঢুকে সাবেক স্বামী এলোপাতাড়ি কুপিয়ে স্ত্রী ফাতেমা, শাশুড়ি মাফিয়া বেগম ও তার মেয়ে রাবেয়াকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চেষ্টা চালায়। এসময় তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এল সে পালিয়ে যায়।  পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার  করে প্রথমে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মুমুর্ষ অবস্থায় মাফিয়া বেগম ও তার মেয়ে ফাতেমা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তাদের দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

  এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নাজিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এঘটনাঙ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তারা াভিযান চালিয়ে মামলার ২নং আসামীকে গ্রেফতার করেছেন। প্রধাণ অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্ঠা চলছে। গ্রেফতারকৃত বেলালকে শনিবার দুপুরে নোয়াখালী বিচারিক আদালতের প্রেরন করা হয়েছে।

২২ বার ভিউ হয়েছে
0Shares